বিশ্বাস চোখ রাঙিয়ে আনা যায় না, বিশ্বাস বাক চাতুরীতে টেকে না, বিশ্বাস বড় অঙ্কের সংখ্যা জন্ম দেয় না। 

বিশ্বাস জন্মায় আরেকটা শুদ্ধ বিশ্বাস থেকে। যেমন প্রাণ থেকে প্রাণ, শিখা থেকে শিখা, তেমন বিশ্বাস থেকে বিশ্বাস। 

ঘরের অন্ধকার
    মেঘের অন্ধকারের চেয়ে 
                     ছিল বেশি

বন্ধ জানলার পর্দাটা
পাখার হাওয়ায় উড়ে বলছিল -
'জানলাটা খোলো
         আমি খোলা হাওয়ায় ভাসি'

দরজা খুললে
রাস্তার আলো 
পথ দেখালো
        তোমায়

দমকা হাওয়া দিল
তুমি রাস্তায় নামলে
    ফিরে তাকালে

আমি নিঃশব্দে বললাম, 
              যেও না

আমার কল্পনা আসে না
তোমায় আমি 'তুমি' বলেই জানি
আমার তুলনা আসে না
তোমায় আমি 'আমার' বলেই মানি
আমার বুকের মধ্যে বোবা অনুভূতি
প্রাণকেন্দ্র তুমি
এতটা জানি
তোমায় হারালে সংসারে আমার
কিছু নেই আর হারাবার
তা প্রতিটা শ্বাসে মানি

মা দূগ্গা, পরেরবার কুমোরটুলিতে আসার সময়, আগে থেকেই বক্ষবন্ধনীটা শ্বশুরবাড়ী থেকে নিয়ে নামিস মা। চিত্রগ্রাহকদের চিত্রের ঠেলায় তোকে যে রুপে দেখতে হচ্ছে... আর তো পারা যায় না মা। আদিরস, ভক্তিরসে মিশে ঘেঁটে একাকার দেখি গো চারদিক। বলি বসন পরাটুকু একটু ধৈর্য ধরলে না গো!

যাবার আগে
   আলোটা নিভিয়ে
দরজাটা ভেজিয়ে যেও
         যেন তুমি আসোনি কখনো

আমি মনকে ভুলিয়ে
     পাপোশটা ঝেড়ে আসব
মুছে আসব চটির দাগ
         এটা আমার রোজকার অভ্যেস

গণতন্ত্র আবার কি? গণতন্ত্র মানে হল, গণ নির্বাচিত রাজতন্ত্র। অভিধানে যাই লেখা থাক, এটাই আমরা বুঝি। 

সেদিন ভিক্ষা নিতে 
হাতে লেগেছিল হাত
পাগল সেদিন থেকে
ভিক্ষা নিতে 
মন না দেয় সাথ

আজকাল 'যোগ্যতা' নিয়ে আলোচনা খুব একটা দেখি না। আপনি কি যোগ্য? এ প্রশ্ন আত্ম-সম্মানে লেগে যাচ্ছে সরাসরি।
     'ইচ্ছা থাকলে মানুষ কি না পারে?' ... 'চেষ্টা করলেই সব হয়' .... 'ও করতে করতে শিখে যাবে' ..... 'জলে না নামলে কেউই সাঁতার শিখতে পারে না' ..... ইত্যাদি সব যুক্তির দোহাই-এ 'কারে দিলে রাজার পাঠ' হয়ে যাচ্ছে যে চারদিকে! যেমন কয়েকটি ঘটনাঃ

ইতিহাস সাক্ষী - একটি জাতির নিকট আরেকটি জাতির পরাজয়, একটি দেশের অপর দেশের নিকট বশ্যতা স্বীকার। কোনো একটি সংস্কৃতির অপর কোনো সংস্কৃতির নিকট নতি স্বীকার। 
কিন্তু অধুনা প্রত্যহ সংবাদপত্র, বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমের দ্বারা যে পরাজয় স্বীকারের ইঙ্গিত মিলিতেছে, সে লজ্জা অবহ, অসহনীয়।