Skip to main content

নাস্তিক অন্তর্যামী


যত ভয় ভাবনা ব্যর্থতা অক্ষমতা
মনের এ কোণ, সে কোণ থেকে
 সব ঝেঁটিয়ে -
        ঝেঁটিয়ে ঝেঁটিয়ে কেঁদে কঁকিয়ে
এনে ফেলি সিংহাসনে রেখে
সামনে আমার ভগবান,
           ইহকাল পরকাল
   আছেন বরাভয় দিয়ে

রক্তবীজ বিশ্বাস


যে পিঠে ছুরি মারবে বলে
       রোজ রাতে ছুরিতে শাণ দেয়
সে দিনের বেলায় মাঝে মাঝে 
        আমার গালে চুমু খেয়ে যায়

তার পিঠের চোখে রাখি চোখ
    দেখি প্রাগৈতিহাসিক ইতিহাস
কালের প্রবাহে বইছে চোরাস্রোতে
   তবু ভেসে আছে রক্তবীজ বিশ্বাস

কিছু মধু এখনো বুকে আছে


পায়ের তলায় মাটি ছিল না কোনোদিন
মাথা ভরা কল্পনাও ছিল না ভিড় করে

আমার চারদিকে, চারপাশে 
              শুধু ইচ্ছা ছিল কিছু

এখনো আছে

বিষাদ সায়রে


বিষাদ সায়রে এক বুক জলে দাঁড়িয়ে
মাথাটা ডোবালে ডোবাতেও পারি
তবু নীল আকাশের দিকে তাকিয়ে

সত্য বস্তু


সত্য বস্তু চিত্তে বাঁধা
তারে খুঁজতে গেল জনম আধা
এমন গোলক ধাঁদায় ঘোরায় যে রে
সে জন কোন জনা?

চিত্ত ক্লান্ত মিথ্যা ভেকে
যারে হন্যে হলেম ডেকে ডেকে
সে যে সব ঘরেতেই আছে বসে
হয়ে একজনা

সত্য বলো, সুপথে চলো
লালন সাঁই এ মন্ত্র দিল
সে ধন পাবে যদি মন সামলে চলো
ভাগাও ছয়জনা

বোঝো?

যখন তুমি সবার ‘হাঁ’-এ
     ‘হাঁ’ মিলিয়ে নিরাপদ
তখন তুমি সাদা মুখে 
  আয়নার সামনে যেও না
  ভয় পাবে 
তার চেয়ে রঙ মেখে এসো
নিজের গলার স্বর শুনে চমকে যাও 
                  জানি

যদি তুমি


যদি তুমি জানতে পারো, তুমি ভগবান
জেনো, তুমি একা হবে

যদি তুমি জানতে পারো, তুমি শয়তান
জেনো, তুমি বোকা হবে

যদি তুমি জানতে পারো, তুমি কিছু নও
জেনো, তুমি বেঁচে যাবে

এই ঢের


পথ ফিরিয়ে দিয়েছিল আমায়
তোমার চোখ পথে টানল ফের
যা না-দেখা ছিল, তারা স্বপ্ন হয়ে এল
পথ না পাই, গতি যে পেয়েছি,
                          এই ঢের

তুমি না চাইলে


সেদিন তুমি 
     দিতে চেয়েছিলে দু'হাত ভরে
নিই নি আমি, 
     ফিরিয়ে দিয়েছি অহংকারে

কালের ঘুর্ণী
     ঘোরালো ছোটালো কি মহাঘোরে
ফিরে এসে দেখি
     শূন্য অহং পূর্ণ হিসাব শূন্য করে

এমনই


দরজায় তোমায় চিনতে পারিনি
পেরেছি পাপোসে পা মুছে ভিতরে আসার পর
তুমি চলে গেলেও, তোমায় হারিয়েছি বুঝিনি
বুঝেছি, আরেকজন দরজায় আসার পর

Subscribe to