নিষ্কম্পমান
একটা অদৃশ্য প্রদীপ জ্বলছে
অদৃশ্য অন্ধকারের বুক চিরে
দমকা এক অদৃশ্য হাওয়া
তাকে নেভাতে এলো
অদৃশ্য আতঙ্কে হৃদয় উঠল কেঁপে
নীরব প্রার্থনা রইল ভোরের কুঁড়ির মত
পূবাকাশে চেয়ে
সারা গায়ে তার শিশির অশ্রুজল
এড়িয়ে যাবে
দহন দানে
অবশেষে কিছু কাদা গা থেকে ঝরে পড়ল
কাদাগুলো গায়ে লেপটে
আমার শরীরের আকার নিয়েছিল
আমার হাঁটতে চলতে পায়ের ছাপে লাগছিল কাদা
ক'দিন তাই পরিস্কার মেঝে এড়িয়ে চলছিলাম
কে বলল কানে কানে –
বাইরে গিয়ে দাঁড়া
সূর্যের তাপ কাদার প্রাণরস নেয় শুষে
নবজাগরণ
সন্ধ্যা আসন্ন। নদীর জলে অস্তমিত সূর্যের শেষ আলোর তরল স্পন্দিত রূপ। মন্দ বাতাস শিরীষ ফুলের গন্ধে প্রমত্ত।
পলাশ
এসেছি কি হেথা যশের কাঙালি
গতকাল থেকে তিনটে ভাষণ নিয়ে মিডিয়া তথা ফেসবুকে বহু উচ্ছ্বাস, স্তবস্তুতি শুনে আসছি। তিনটি ভাষণই বাগ্মীতায় বহু উচ্ছ্বাসপূর্ণ। বহু করতালি, বহু হাসাহাসি, বহু চিমটাচিমটি পরিপূর্ণ। কেউ আবেগের কথা বলেন, কেউ সবাই সমান হয়ে যাওয়ার সেই স্বপ্নটার কথা বলেন, কেউ মান-সম্মানের কথা বলেন।
কেউ আগাম ভারতবর্ষ পদ্মময়, কেউ লালময়, কেউ হাতময় দেখছেন।
সংশয়
তুমি আমায় হারিয়েছ প্রতিবার
আমার সংশয়ের উত্তর দিয়ে নয়
আমার সংশয়কেও অনুমতি দিয়ে
তোমার রাজসভায় আসার
সে সংশয় ক্ষীণ দুর্বল চিত্তে তোমায় স্পর্শ করতে চায়,
অবিশ্বাস করতে চায়
তুমি দু'হাত সরে দাঁড়াও প্রতিবার
সংশয় জিতে যায় নাগাল না পেয়ে
তুমি একটু বোসো
তোমার কি এই বসন্তেই আসার কথা ছিল?
আমার অপেক্ষার পালা এত তাড়াতাড়ি কি করে ফুরালো!
বসার ঘরে কিছু অতিথি আমার এখন
তুমি শোয়ার ঘরে একটু বসবে?
কিছু কাজও আছে আধখানা বাকি
তুমি বসবে ছাদে? ছাদের পাশের পলাশ গাছটায় এসেছে কুঁড়ি।
আমার কিছু লোককে কথা দেওয়া আছে,
তাদের বাড়ি যেতেই হবে, হ্যাঁ গো যেতেই হবে
ওরা
দ্বিধা
মুহুর্তরা সামনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে
লাভ ক্ষতির হিসাব নিল ঝরাপাতা
দু'হাত ঝেড়ে, সামনে তাকিয়ে আছি
কিছুটা দ্বৈধ। যাওয়ার ছিল?
না ছিল কারোর আসার কথা?
(ছবিঃ জয়দীপ ঘোষ)