Skip to main content

আমি কি একটা মানুষ!

- আমার কোথাও বেড়াতে যেতে ভালো লাগে না

- কি জ্বালা, লাগে না তো যাবেন না…

- ওভাবে বলছেন কেন? আপনারা এত জায়গায় বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার অ্যাড দেন, আমি একটাতেও যেতে পারি না, আমার একটা বিবেকবোধ নেই?…

- এতো ভারী মুশকিল হল... আমরা তো আপনাকে জোর করছি না রে বাবা…

সে সদা জাগ্রত

গুরু ধ্যানে বসে আছেন। একজন একজন করে শিষ্যরা এসে বসছে সামনে। আজ বিজয়া। ঘটে পুজো হয়। ঘট বিসর্জন দেওয়া হয়ে গেছে। সন্ধ্যে হব হব।

    গুরু চোখ খুললেন। বললেন, কল্যাণ হোক সকলের।

তুমিই সেই পরমসুন্দরী

কথা হল এমন একটা জায়গায় গিয়ে তো দাঁড়ানোই যায় যেখানে মাস্কহীন হতে মনে বেশি সংশয় জাগবে না। এমনিতে আমার দুর্গাপুজো মানেই ঘরের কোণে নতুন বই নিয়ে সেঁধিয়ে যাওয়া। ছোটো ছিলাম যখন ছিল নানা পূজাবার্ষিকী, এখন হল নানা অন্য ধরণের বই।

বুকুর দুর্গাপুজো

এই বুকু, বুকু….


    বুকু তো ঘুমিয়ে কাদা। ইঁদুরটা এসে কানের কাছে আবার ডাকল, এই বুকু... বুকু…

    বুকু উঠে বসল ধড়মড় করে। খাটের উপর রাস্তা থেকে টুনি লাইটের আলো এসে পড়েছে। সারা রাস্তা জুড়ে লাইটিং হয়েছে তো!

ভ্রম রে ভ্রমিত মন

যত্ন করে মাদুরটা পেতে বলল, বসো। মাদুরটা পাততে পাততে লতার নিজেরই মনে হল শেষ কবে এত যত্ন করে কিছু করেছে? যত্ন করতে ভুলে যাওয়া মানুষ হারিয়ে যায় হঠাৎ। লতা যেমন যাচ্ছিল।

    লতার শ্বশুরবাড়ির বাজির ব্যবসা। বাড়ির সামনেই দোকান। লতা বসে, অভিজিৎ বসে, শাশুড়ী বসে। লতা কিছু সেলাইয়ের কাজ করে। সে তেমন বড়সড় কিছু নয়।

এবার আমার উমা এলে

কাঁপা হাতে চশমাটা খুলে মুছে নিলেন। তারপর কাঁপা কাঁপা হাতে চশমাটা আবার পরে মায়ের দিকে তাকিয়ে থাকলেন। সপ্তমীর সকাল। ভিড় নেই তেমন মণ্ডপে।

    একটা অল্প বয়সী ছেলে এসে বলল, দাদু এই যে চেয়ারটা, বসো। পড়ে যাবে তো। ভোগ খেয়ে যেও।

 স্বচ্ছ নদীর মত

যদি গোটা পৃথিবীটা একবার নিঃশব্দে ঘুরে আসতে পারতাম

কোথাও নিজের কোনো অবশিষ্টাংশ না রেখে

যদি সব কথা শুনে যেতে পারতাম,
  সাক্ষী থাকতাম যা ঘটে যায়, সব কিছুর

কোথাও নিজের কোনো মানদণ্ড না বসিয়ে

যদি ফেরার সময়ে,
    সে সময়ে হোক
        কি অসময়ে

কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য

তুমি ডাকোনি

আমি নিজেই এসেছিলাম

ক্রমশ নিজেকে
তোমার অভ্যাস করে ফেললাম

আমারও অভ্যাস তৈরি হল
তোমার উপেক্ষা ছাপিয়ে 
ভালোবাসার অপেক্ষায় থাকার

তুমি বলোনি
আমি নিজেই ফিরে এলাম

তুমি বললে
আমি অকৃতজ্ঞ

অন্য পূজো

ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী, দশমী --- এই পাঁচটা দিন নিয়েই বাঙালীর রাজকীয় উন্মাদনা, বাঙালীর শারেদাৎসব। দেবী দূর্গার আবাহন, পূজো আর বিসর্জনের মধ্যেই বাঙালীর সাবেকী আর বারোয়ারি আনন্দ, খানাপিনা, ফুর্তি আর আমোদ আহ্লাদ। কিন্তু এই পূজো কি শুধুই আনন্দের? না তো!

তাড়িয়ে দিলেও

বুড়ি কলে মুখ ধুয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল, বোঁচকাটা বগলদাবা করে। পুরোহিত আটকালো। বলল, বুড়ি এই যে তুমি মন্দিরে রোজ দুপুরে আসো, ভোগ খাও, চলে যাও...

    বুড়ি তাকে থামিয়ে বলল, কেন? আমি তো দশটাকা দিয়ে কুপোন কাটি। অবশ্য রোজ কাটতে হয় না। এক একদিন এমনি এমনিও ভোগ দেয়.... কিন্তু কেন জিজ্ঞাসা করছেন?

Subscribe to