যেন
নবমী
রাস্তার ধারে বসে আছে পাগলীটা। তাকে ঘিরে মাছি ঘুরছে ভনভন করে। কালো মোটা বোঁচকাটায় পিঠে ঠেসান দিয়ে আছে মল্লিকদের বাড়ির রকে। সামনে চলেছে লোকের বান। পাগলী আলোর খেলা দেখছে মুখ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে। হঠাৎ কানখাড়া করে কি শুনতে লাগল। মাইকে হারিয়ে যাওয়া মানুষদের ঘোষণা চলছে। তাদের পার্টি অফিসের সামনে দেখা করতে বলছে। পাগলী চুল পাকাতে পাকাতে শুনছে মন দিয়ে। চোখে মুখে উদ্বিগ্নতা। তার চোখে রাস্তায় লাগানো আলোর ঝলকানি।
এক্সপায়ারী ডেট
অষ্টমী
কুসুমের এই সময়টায় অনেক কাস্টমার। কোমরে ব্যাথা হয়। তলপেটটাও টাটায়। তবু অন্যদিনের মত ঘুমিয়ে পড়ে না ভোরের দিকে। পূজোর দিনগুলো ডালা সাজিয়ে প্যাণ্ডেলে যায়। আজ অষ্টমী। পুরোহিত বসে প্রতিমার সামনে। তার আরেক কাস্টমার। পুরোহিতের দুইদিকে দুই নারী। মাটির আর রক্তমাংসের। পুরোহিতের মন্ত্রপড়ার আওয়াজ বেড়ে যায়..ওঁ অপবিত্র পবিত্রবা সর্বাবস্থাং...
মেঘ
সূর্য বাষ্পীভূত করে জলকে
পাত্রকে জলশূন্য করে
আমি বহুকাল আগেই বাষ্পীভূত
তোমার চোখের তাপে
'আমি' শূন্য বুকের খাঁচা এখন
আজ আমি মেঘ
বন্ধুতা (PDF)
সপ্তমী
মেয়েটার বছর বারো বয়েস। একটাই জামা হয় প্রতিবার। এবারেও হয়েছে। বাবার মিল বন্ধ। তাই জুতো হয়নি। জামাটা হলুদ রঙের। ইচ্ছা ছিল একটা লিপিস্টিক যদি দিত কিনে..হলুদ রঙের।
বন্ধুতা
ষষ্ঠী
কাল অনেক রাত অবধি লোকটা বারান্দার রেলিং এ ঝুঁকে লোকের স্রোত দেখছিল। তার বাড়ির সামনে আলোয় আলো। আলোতে ছোটোছোটো পোকার ঘূর্ণী। মাইকে মান্না দে।
শুভেচ্ছা
তাকিয়েছো কি নিবিড় করে
পথের পরে
চেয়েছিলে কি আপনমনে
আমার কাছে
গোপন উপহার?