Skip to main content

সেতু

কয়েক টুকরো ভালোবাসা দিও
   বাকিটা আমি জুড়িয়ে জুড়িয়ে নেবো

নিরবচ্ছিন্ন যা, তা তো মরণ!
   বালাইষাট, প্রেম চাইতে মরণ চাইব নাকি!

সেনেকা

সেনেকার চিঠি পড়ছিলাম। সেনেকা অত্যন্ত প্রিয় দার্শনিক আমার। মনে হল কটা কথা অনুবাদ করে দিলে কেমন হয়। তাই এ ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।

তুচ্ছ বলে যা চাইনি

কোথা থেকে ফিরছিলাম মনে নেই, সন্ধ্যে সন্ধ্যে হবে, বড় রাস্তা পেরিয়ে বাঁকটা ঘুরতে যাব, হঠাৎ মনে হল, কিসে একটা খটকা লাগল যেন? কি যেন নেই?...

খারিজ

ধান ক্ষেতের নাগাল ঘেঁষে থালার মত চাঁদ। ধানগাছগুলো সন্ধ্যের হাওয়ায় সারা শরীর দুলিয়ে শিহরণ জাগিয়ে তুলেছে ক্ষেতে। হালকা সরসর শব্দ উঠছে নূপুরের মত কোনো অলক্ষ্য পায়ের। সে পায়ে যেন আলতা। চাঁদের আলোয় উদ্ভাসিত পাকা ধানের শরীর। বিচ্ছুরিত সাদা

গরহাজির

আজ সারাটা দিন হোক আমায় ছাড়া,
ডেকো না,
আমার অলস ভোরের বিছানা ছাড়ছে না গতকাল।

সব কিছু

সব কিছু সহজ হবে ভেবেছিলাম
সব কিছু সহজ হোক চেয়েছিলাম

নিজের দিকে তাকাতে গিয়ে 
                  মুখ ঢাকলাম

সময়

সময় ডেকে নিয়ে গেল -
          একা

ঠিকানা জানা নেই

চোখ মেলে বসে আছি, 
যদি কোনো ফিরতি নায়ে মেলে দেখা


(ছবিঃ সমীরন নন্দী) 

ঘুম

যে সমাজ সুখ আর নিরাপত্তার বাইরে হাঁটার মনুষ্যত্বের পুঁজিটুকু হারিয়ে ফেলেছে, সে সমাজে একটা ছ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে মারার ঘটনা, নিতান্তই চাঁদে জল পাওয়া যায় কিনা ধরণের ঘটনা। তার ওপরে যখন সে মেয়েটা দিনমজুরের মেয়ে। আমার চারপাশ ভীষণ শান্ত। সব ব্যাপারে অত প্রতিক্রিয়

সাহস

সত্যি বলতে ওর কথায় কিছু আসে যায় কি?
পাপোসের উপর বুড়ো আঙুলটা ঠেকাবার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিপ্লব। পা পাচ্ছে না। জুঁই খাটের এক কোণায় হেলান দিয়ে বসে। দেওয়ালে লোকনাথ বাবার ক্যালেণ্ডারটা পাখার হাওয়ায় বাঁদিক ডানদিক দুলছে।

মৃত্যু নতুন কিছু বলে না

মৃত্যু নতুন কিছু বলে না
সব নতুনকে ঢাকে পুরোনো মোড়কে 
মৃত্যুতে আত্মীয় তো সবাই
সব রাস্তারা অসম্পূর্ণ
          নিত্যঘোর ভাঙে অচেনা চমকে

Subscribe to