ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি
প্রবল
প্রতিটা ধর্মের নিজস্ব মেনুকার্ড আছে। তাই রসনার ধার বোধের ধারের থেকে প্রবল।
প্রতিটা ধর্মের নিজস্ব কিছু বিধান আছে। তাই অনুকরণের মোহ চিন্তার পূণ্যের থেকে প্রবল।
উল্টো ভাঁজ
লুঙ্গিটা পরা, তবে গিঁট দেওয়া নেই
বেড় দেওয়া কোমরের কাছে
একহাতে ধরা,
মনে হয় এক্ষুণি বেসামাল হবে
হয় না। ধরাই থাকে
একটা হাত ধরে থাকতে থাকতে বেঁকে গেছে ধনুকের মত
শান্তি
শান্ত থাকা যায় কি করে? এ প্রশ্নটা বড় ঘোরেল। 'কিছু করা' আর 'শান্ত থাকা' কি এক বস্তু? অনেকে জপ-ধ্যান করে নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করেন দেখেছি। আমিও করে দেখেছি। ওতে কি কাজের কাজ কিছু হয়? আমার মনে হয় না। এ অনেকটা সিনেমা দেখার মত। যতক্ষণ দেখছি, মনটা একাগ্র, স্থির। যেই হল থেকে বেরোলাম, যেই কে সেই। কিছুক্ষণের জন্য মনের বিরাম কি তবে শান্ত হওয়ার লক্ষণ?
কেউ না
বিস্তীর্ণ প্রান্তর
নিস্তব্ধ।
পাখিদের আওয়াজ অবশ্য আছে
পাখিরা বিরক্ত করে না
রোদে পোড়া ঘাসের গন্ধ আসছে
বিকালবেলা। সূর্যডোবার দেরি খানিক আরো।
টুপ!
বাড়ির পাশেই একটা পুকুর থাক
মিছিমিছিই না হয় হল
তেতেপুড়ে যখন তখন নামা যায়
এমন দূরত্বেই থাক
তার জল সবুজ। ঘন সবুজ।
ভুল করলাম কি?
ক্যান্সার খুব স্বাভাবিক ঘটনা। রাস্তায় চলতে গিয়ে কেউ গাড়ি চাপা পড়ে মারা গেছে, এও খুব শোনা ঘটনা। এরকম আরো অনেক দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাই খুব স্বাভাবিক, গা-সওয়া ঘটনা। কতক্ষণ? যতক্ষণ না নিজের পরিচিতের গণ্ডীর মধ্যে ঘটে।
অপূর্ণ
কিসের টান?
যেন পাঁজরগুলো গুঁড়িয়ে যাবে এখনি
দূরের থেকে দেখলাম, তোমার ধ্যানমগ্ন মুখমণ্ডল
কি জ্যোতিতে উদ্ভাসিত, জানি না তো গো
সামনে গিয়ে দাঁড়াই সে সাহস নেই
যেদিক থেকে বাতাস বয়ে তোমার দিকে ছুটছে
কেন লিখছি
ক'দিন ধরে আমাদের রাজ্যে বেশ চাপান-উতোর চলছে। তার সাথে চলছে ফেসবুকীয় বিষোদগার। কি লাভ হচ্ছে সে প্রশ্নে যাব না? যেটা বলার ইচ্ছা সেটা হল, এ সবের গভীরতা কতদূর? মানে হাঁটু অবধিও তো ডোবে না দেখছি। রাজনৈতিক যে কোনো দল কিছু মানুষের দ্বারা গঠিত। যে মানুষেরা বেশিরভাগই এই বাংলার।
...