জলপটি
হরেনের দোকানের চপ খাওয়ার পর প্রতিবারই কাশীরামবাবুর এই সমস্যাটা হয়। আজও হয়েছে। তিনি দিগম্বর হয়ে উপুড় হয়ে শুয়ে, আর ফলতা পিছনে জলপটি দিচ্ছে। কাশীরামবাবু গভীর আবেগ নিয়ে বলতে লাগলেন, আহা জুড়িয়ে যাচ্ছে রে ফলতা... জুড়িয়ে যাচ্ছে।
তুমি নির্বাক
তোমার হাতের স্মৃতিতে আমার শৈশব
আমার হাতের তালুতে মিশে তোমার বার্ধক্য
তুমি নির্বাক। আমিও নিশ্চুপ।
আইসিউতে খালি পা আমি
সময়ের সাথে চটি খুলে রাখা বাইরে
অপেক্ষা আর অসহায়তার গভীর পার্থক্য
ঈশ্বর তুমি বাণী না প্রেম?
ঈশ্বর তুমি বাণী না প্রেম?
চারিদিকে এত কথা চালাচালি কেন?
ঈশ্বর তুমি শাসক না পালক?
চারদিকে এত ধারালো ধাতব শব্দ কেন?
ঈশ্বর তুমি এ বাড়ি না ও বাড়ি
চারদিকে এত বেনামি দলিলদস্তাবেজ কেন?
মানুষকে চিতায় পোড়ানোটা অমানবিক
একদিন আমাদের আইনের ভয় দেখিয়ে বোঝাতে হয়েছিল, ওরে জ্যান্ত একটা মানুষকে চিতায় পোড়ানোটা অমানবিক। "মেয়েছেলে তো?
এমন একটা ভোর আসুক
এমন একটা ভোর আসুক
বাড়ির পিছনের পুকুরটার পাড় ঘেঁষা
নারকেলগাছের সারির মাথা ছুঁয়ে উঠুক সূর্য
আমি দুটো ফুসফুসের
সবকটা কোষ ভরানো শ্বাস নিয়ে
সর্বান্তঃকরণে, নিঃসংশয়ে বলি-
"সবার মঙ্গল হোক"
নিয়ম নেই, সময় অসময় নেই
অবশেষে ছোটোমাসিও চলে গেলেন। কত বয়েস হয়েছিল, ৫১/৫২ হবে। সারাটা জীবনের কত নিয়ম, কত বিধান, কত উচিৎ অনুচিত। অথচ সেই জীবনের যে পরম পরিণতি মৃত্যু, তার আসার কোনো বিধান নেই, নিয়ম নেই, সময় অসময় নেই।
লোকহিত
আমাদের উচ্চ-মাধ্যমিক সিলেবাসে 'লোকহিত' বলে একটি প্রবন্ধ ছিল। প্রবন্ধটা গভীরভাবে নাড়া দিয়েছিল সেই সময়ে। আজ জট ছাড়িয়ে দেয় অনেক সমস্যার।
প্রবন্ধটা 'সবুজ পত্র' তে ১৩২১ সালে ভাদ্র মাসে ছাপা হয়। পরে 'কালান্তর' প্রবন্ধসংগ্রহে যোগ হয়।
কবাডি...কবাডি
জীবন উপসংহার টানার সুযোগ দেয় কই
কবাডি...কবাডি...কবাডি....
কবাডি...কবাডি...
কবাডি....
...... ......... .........
অথ কেশবেশ কথা
কেশ শুভ্র হইল বিদ্যালয় জীবনে।
মা কহিল একি বাছা কোথা পাব কনে।।
বলিলাম আশ্বাসিয়া এত কেন ভাবো।
সময় হইলে সে অবশ্য আসিব।।
দিন যায় কেশ পাকে মাতার বাড়ে ভয়।
সন্তান বুঝি বা তবে চিরকুমার রয়।।
কলেজ অতীত হইলে আনিয়া গার্ণিয়ার।
দুশ্চিন্তা হইতে মাতঃ পাইলেন নিস্তার।।
চলিল সে কেশ রাঙানো পর্ব নিরন্তর।
মাতঃ ভাবেন কনে এবে জুটিবে সত্ত্বর।।
কার ঘড়ি ঠিক?
কোন দেশের গল্প বলতে পারবো না। সেসব প্রশ্ন যদি কেউ করে, এমনকি উইকিপিডিয়ার ঠাকুরদার পায়েও যদি মাথা কুটে মরে তো সে তথ্য পাবে বলে মনে হয় না। তাই সেসব কথা ছেড়ে মূল গল্পটায় আসি।