দারুচিনি
আর ঝরণা না
আর নৈসর্গিক মোহময় রহস্যময়তা না
আমায় গল্প বলো
যে মেয়েটা উদাস চোখে কাজল সামলে
রঙ মাখানো ঠোঁটকে উপেক্ষা করে
পিঠের বাচ্চা সামলে চায়ের জল চড়ালো
তার গল্প বলো
ছোট্ট যীশু - অতীশ
এইটুকুই থাক
ধানক্ষেতের মধ্যখান দিয়ে যে রাস্তাটা গেছে
অতীন্দ্রিয়বাদ-রোম্যান্টিসিজম-ধম্মকম্ম
রোম্যান্টিসিজম এ যদি একটা ক্ষতির আশঙ্কা না থাকত তবে শব্দটা মাহাত্ম্য হারাতো। ভয়কে জয় করে নিজের আবেগ, ভালোবাসাতে প্রতিষ্ঠিত হতে চাওয়ার প্রয়াস অথবা সাধনার ভিত্তিই এই রোম্যান্টিসিজম। নতুনকে নতুন ভাবে দেখতে শুধু রুচি লাগে না, সাহস লাগে, আত্মবিশ্বাস লাগে। প্রথা ভেঙে নতুন পথের ভগীরথ হতে শুধু বিচক্ষণতা লাগে না, ধৈর্য্য, অধ্যবসায় আর প্রাণের তীব্র আকাঙ্ক্ষা লাগে। প্রাথমিকভাবে চারপাশের চূড়ান্ত বিরোধিতা আ
এটা এমনি মিছিমিছি লেখা
এটা এমনি মিছিমিছি লেখা। মনের মধ্যের কথাগুলো, চিন্তাগুলোকে বাইরে সাজিয়ে সাজিয়ে থাকে থাকে রাখা। না রাখলেও ক্ষতি ছিল না, তবু মাঝে মাঝে ভাঁড়ার ঘরের কোণে পড়ে থাকা অবহেলায় ধুলোমাখা ভাঙা সরাটা দেখলে যেমন মনটায় টুক করে একটা ব্যাথা লাগে, এও তেমন ধারা কথা।
স্পন্দন
বাইরে মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে। পুরোহিত সন্ধ্যারতি শেষ করে দরজায় হেলান দিয়ে বসল। কেউ নেই মন্দিরে আজ। এত বৃষ্টি সেই বিকাল থেকে, কে আসবে?
পঞ্চপ্রদীপের মাঝের কর্পূরটা নিভে গেছে। বাদল বাতাসে কেঁপে কেঁপে উঠছে জ্বলন্ত বাকি চারটে শিখা। পুরোহিত অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে সেই দিকে। দেবতাও। যেন এখনি নিভে যাবে।
সত্য
দার্শনিক, সন্ন্যাসী খুঁজে চলেছেন সত্যের সংজ্ঞা
দার্শনিক লিখলেন বই
সন্ন্যাসী গড়লেন মঠ
সত্য ঘুড়ি উড়িয়ে চলল মহাকাশে
লাটাই নিতে চাইলেন সন্ন্যাসী
নিতে চাইলেন দার্শনিক
অর্বাচীন প্রশ্ন
আমার মনে খুব একটা কঠিন প্রশ্ন গজিয়েছে। বলে ফেলি, কি বলেন।
প্রশ্নটা হল, আচ্ছা ফেলুদাকে নিয়ে সত্যজিৎবাবু ছাড়া আর কেউ লিখেছেন?
কিম্বা ব্যোমকেশকে নিয়ে শরদিন্দুবাবু ছাড়া আর কেউ লিখেছেন?
অথবা ঘনাদাকে নিয়ে পেমেন মিত্তির ছাড়া, বা নিদেন কাকাবাবু কিম্বা কর্ণেলকে নিয়ে সুনীলবাবু, সৈয়দবাবু ছাড়া....
মহাকাব্য
আকাশ ছুঁতে চাওয়া
প্রবল বিক্রমে তাকে ছুঁয়ে ফেলা
এতো মহাকাব্যর মুখবন্ধ
তারপর সজোরে পতন
সে কি মহাকাব্য নয়?
সেই তো মহাকাব্যের উপসংহার
নইলে তা মহাকাব্য কিসের?
দোসরা অক্টোবর
সঙ্গীত - ধর্ম(?)- উন্নত সভ্যতা- মেশিনগান
এও একটা সমীকরণ -
দোসরা অক্টোবর?