Skip to main content

আধা এবং আধা

মানুষটা একটা ডোবার ধরে থাকত। ডোবার জলে নাইত। তার মাথায় ছিল দিগন্তলীন অসীম এক সমুদ্র স্বপ্ন।
মানুষটা কুঁড়ে ঘরে থাকত। কুঁড়ে ঘরেই ঘুমাতো। বর্ষা-বসন্ত-গ্রীষ্মের সাথে কুঁড়ে ঘরে একা একাই কাটত। তার মাথায় ছিল জন-অরণ্যের একটি প্রান্তে মানুষে ঘেরা ঘর বাঁধার স্বপ্ন।
মানুষটা সিদ্ধভাত একা একাই দুপুরে-রাতে খেত। ডোবার জলেই আঁচাতো। তার মাথায় ছিল এক বিরাট দাওয়তের স্বপ্ন। অযুত নিযুত মানুষ বসেছে খেতে, কোলাহলে সে ছুটে ফিরছে এদিক ওদিক সেদিক - চৌদিকে তার আনন্দ আনন্দ আনন্দ।

তাকিয়ে দেখো

তাকিয়ে দেখো 
তারাটা অনেকক্ষণ উঠেছে 
   ওটা কি ঈশান কোণ?
...

৩রা জানুয়ারি

শীতকালে আমার ভীষণ ভয়
   শীতকাল যেন ICU এর ঠাণ্ডা ঘর
দু নম্বর বেডে মা
শীতকাল যেন কোমাচ্ছন্ন
   মাথার কাছে জানলা
      জানলা দিয়ে অসীম আকাশ
            দাঁড়িয়ে রথ
...

বিশ্বাসী

এতটাও বিশ্বাসী সেজে থেকো না, যে -
  বাইরের দেওয়াল রঙিন রেখে
...

রামকৃষ্ণদেবের ছবি

‘দেশ’ পত্রিকার এবারের সংখ্যাটা হাতে পেলাম। রামকৃষ্ণদেবের অপূর্ব একটা ছবিতে মন আটকালো। লেখাগুলো মন দিয়ে পড়লাম। প্রথম লেখাটা নিয়ে কিছু বলার নেই, অর্থাৎ মার্টিন কেম্পশেনের লেখাটা, কথামৃতের অনুবাদ সংক্রান্ত।
...

রামধনু

ছেলেটা কাদা মেখে পাড়ে উঠল। হাতে কয়েকটা শালুক ফুল। বাজারে যাবে। পরনের গামছাটা খুলে পাড়েই নিংড়ে নিল। লোকজন কেউ নেই। তার লজ্জাও কম। বয়েস বারো। বাবার সাইকেল সরানোর দোকান। মা ঠিকে ঝি। সে এক ছেলে। 
...

নববর্ষ

কিন্তু তবু নববর্ষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ। হলই না হয় ম্লেচ্ছদের নতুন বছর। তবু ইহাই আমাদিগের নববর্ষ। বামুনে যাই বলুক। বঙ্গাব্দ সরকার মানে না। কণিষ্কব্দের ক্যালেন্ডার মেলে না। আরো কি কি সব অব্দের কথা ইতিহাসে মুখস্থিয়েছিনু, এহন মনে নাই।
...

"টুকরো করে কাছি আমি ডুবতে রাজি আছি"...

রবীন্দ্রনাথের সাথে সহমত হতে নারলাম। কিছুতেই মানতে পারলাম না। সর্বাংশে, নিজের সর্বসত্তা দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে বললুম... না... না.. না.. কভি নেহি... নেহি... নেহি... নেভার.. নেভার...নেভার... চাই না... চাই না... চাই না... দাদা আমি বাঁচতে চাই... চাই... চাই...

যাওয়া - আসার হিসাব

শুধু পুরোনো ক্যালেন্ডারটাই ফেলতে মন কেমন। বাকি আর ছাড়ব কি? যে যাওয়ার সেকি আর অনুমতির অপেক্ষা করে, না তিথি-নক্ষত্রের? আর যে আসে, সেও আসে এমনিই। যাওয়া - আসার হিসাব মেলা দায়। থাক বরং। আমার উঠোনে কত পায়ের ধুলো। ফেলি না। ফেলবও না। কিছু ধুলো চোখে পড়ে জ্বালা ধরিয়েছে। কিছু ধুলো মনে ধরিয়েছে রঙ। মুছেও গেছে কিছু। আবার রয়েও গেছে খানিক। জ্বালাও এসেছে সহ্যের মধ্যে।

যে চলে গেল

যে চলে গেল
  সে জানল না
    কেউ তাকিয়ে ছিল

কেউ তারই জন্য পথ ছেড়ে
    পথের পাশেই বসেছিল

Subscribe to