Skip to main content

খাঁচা

যদি খাঁচা খুলে বাইরে আসো
   যদি দাঁড়াও
      খাদের কিনারার শেষ পাথরটায় সাহস করে
...

রজনী

পয়মালের জামা। রজনী নিজের শুকনো কাপড়টা তুলতে তুলতে খেয়াল করল। পয়মাল ইচ্ছা করে তার শাড়ির পাশে মেলে গেছে। রজনী আড়চোখে একবার নিত্যকে দেখে নিলো। নিত্য খেয়াল করেনি। সে ধান সিদ্ধ করতে মশগুল।
        রজনীর গায়ের রঙ কালো। বিয়ের সময় একেবারে ছিপছিপে গড়ন ছিল। লোকে বলত কেউটে। তার চোখে, চলনে নাকি বিষ। অবশ্য বিষ ছিল বলেই বাপটা মরার পর গ্রামে টিকতে পেরেছিল। নইলে ছিঁড়ে খেত তাকে শকুনের দল।
...

ভিড়

যদি প্রশ্ন করতে
   হয়ত উত্তর দিতাম
প্রশ্ন এড়িয়ে যেতে যদি
   হয়ত চুপ থাকতাম
...

লজ্জা

Shame মানে কি? লজ্জা। Shy মানে কি? লাজুক। তবে নির্লজ্জ মানে কি? Shamless না Shyless? 
        কঠিন কথা।
        "লোকটার লজ্জা নেই গা? এত টাকা মাইনে পায়, তাও এত টাকা ঘুষ নেয়!" কিম্বা "বাড়িতে বউ থাকতেও কেন পরের বউ নিয়ে এত ঢলাঢলি বুঝি না বাপু! লজ্জাও করে না?"
...

দিনগুলো

একদিন এমনও হল
পায়ের উপর ঢেউ গড়ালো
ঢেউ বেয়ে এক ঝিনুক এলো
ঝিনুক ঘেরা মুক্ত মিললো

মকর সংক্রান্তি

বাইরে আছি। বাবার ফোন এলো হঠাৎ। একটু লজ্জা লজ্জা গলা। "হ্যাঁ রে মিষ্টির দোকানে পাটিসাপটা করে না? দেখিস তো পাস যদি আসার সময়। আসলে আজ মকর সংক্রান্তি তো। তোর যদিও এসব জানার কথা না। ..না পেলেও ক্ষতি নেই কোনো"। 
        আমার গল্পের তার কাটল। মকর সংক্রান্তি মনে ছিল। ফেসবুকের নানা ছবিতে মকর সংক্রান্তি আর পিঠের কথাও মনে করিয়ে দিচ্ছিল। বাবারও যে মনে আছে বুঝিনি। আশেপাশের জ্ঞানীগুনী লোকরা বলেন, "বিয়ে না করলে এগুলো সইতে হয়"। শুনে হাসি পায়। ভাগ্যে মিষ্টির দোকানী এই তত্ত্বে বিশ্বাসী নয়। 
...

ছবি তুলিয়ে আমি নই

ছবি তুলিয়ে আমি নই। বাড়ি থেকে কিছুদূর হেঁটে আসতেই সব বদলিয়ে যায়। শীতের দুপুর। ঠাণ্ডা হাওয়া। কুয়াশায়ার আদরে ঢাকা চারপাশ। সব মিলিয়ে মনে হল ফেলি না হয় তুলে কয়খান ছবি। 
        ধানকাটা মাঠ, ছোটো নীল ফুল, সরষে ফুলের সাগর, কুয়াশায় কোমল সূর্যের তেজ কিছু পাঠালাম। যা পাঠাতে পারলাম না তা হল মানুষের কোলহল আর যন্ত্রের আওয়াজহীন পাখিদের ডাক, তাদের নিঃসঙ্কোচ উড়ে যাওয়া, মলিন বস্ত্রে চাল ঝাড়া বৃদ্ধার হাসিমুখে সতর্কবাণী উচ্চারণ ..."কাছে আসবেন না...আপনারা ভদ্রলোক..গায়ে ধুলোবালি লাগবে যে"...

এদিকে টোটো পাওয়া যাবে

বাইক সার্ভিসিং হচ্ছে। দাঁড়াতে হবে বেশ কিছুক্ষণ। মাইকে শুনছি তত্ত্বকথা, "অজ্ঞানের এ সংসার। মায়ায় আবদ্ধ আমরা। কেন একটা থাকলে দুটো চাইবেন? অল্পে তুষ্ট হতে শিখুন। সংসারকে ঈশ্বরের করে তুলুন। গোলকের মত"।
...

বিবেকানন্দের ঈশ্বর কে ছিলেন?

“আপনি কি ঈশ্বরকে দেখেছেন”? 
        উত্তর এলো “হ্যাঁ দেখেছি” শুধু না, “তোকেও দেখাতে পারি”। দেখালেন। তিনি ছুঁয়ে দিতেই নরেনের বিশ্বজড়বোধ লোপ পেয়ে যায়। বিশ্ব চেতনায় উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে তার চেতনা। সেকি ঈশ্বর দর্শন? এরপরেও তিনি শোনেন তাঁর গুরুই এই বিশ্বসংসারের বিশ্বপিতা, “যে রাম, যে কৃষ্ণ, সেই রামকৃষ্ণ”। সেই কি তবে ঈশ্বরদর্শন? না, তাতেও তো শান্তি হল না তাঁর! অথচ শাস্ত্র বলছেন একবার ঈশ্বরকে লাভ করলেই মানুষ চিরশান্তিতে ডুবে যায়, তার নাকি আর কিছুরই তৃষ্ণা, খোঁজ থাকে না? সে নাকি ‘তৃপ্ত ভবোতি... স্তব্ধ ভবোতি... অমৃত ভবোতি’ হয়ে যায়? হল না তো নরেনের বেলায়। 
...

ততটা অনিশ্চিত হয়ত ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে নই

ততটা অনিশ্চিত হয়ত ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে নই, যতটা মানুষের মনুষ্যত্ব নিয়ে হই
জানি আমি আগে বহুবার লিখেছি। আবারও লিখছি। পাকিস্তান হলেও লিখছি। পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তেই ঘটুক না কেন লিখছি। কারণ আমি আর কিছু করতে পারি না। 
...
Subscribe to