মনে পড়ে
সারাদিন কত কাজে থাকি ...
মেরুদণ্ডেরও হৃৎপিণ্ড
যদি মরণ নদীতে পা ডুবিয়ে
অবসাদের দলঘাস কাটো ...
Lotus-Petal Light
Came with a drizzle of love...
The rain kissed my face, my eyes, my lips...
পদ্ম-পাপড়ি আলো
খুব ভোরবেলা থেকে চারদিকে আমার
ঝিরঝিরে ভালোবাসার ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি
আমার মুখে চোখে ঠোঁটে লাগছে
ঝরেঝরে পড়ে যাচ্ছে,
পায়ের পাতা, হাতের আঙুল
ভিজিয়েছে বিন্দু বিন্দু ভালোবাসারা
আমি পুরোপুরিভাবে ভিজে
বিলুজ্যাঠা
লোকটা হনহন করে হেঁটে যাচ্ছিল। সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা হবে। এই গ্রামের দিকটায় এই সময়টা শীতকালে বড় একটা বাইরে কাউকে দেখা যায় না। চারদিকের বাড়িগুলোর জানলা বন্ধ। লোকটা একা একাই হেঁটে চলেছে। মাথাটা মাফলার আর কান ঢাকা টুপিতে মোড়া। শুধু চোখদুটো বেরিয়ে আছে।
ভুল গল্প
দরজা খোলা ছিল। দমকা বাতাস ভিতরে এসে পড়ল। কড়ি-বরগা, দেওয়াল, মেঝে রে রে করে উঠল। গেল গেল গেল সব গেল। কে খুলে রেখেছিল দরজা? - হুঙ্কার দিল ছাদ।
খাটের তলার জমে থাকা অন্ধকার গুটিগুটি পায়ে বাইরে বেরিয়ে এসে বলল, আমি। তার মুখে নম্রতা আছে, কিন্তু লজ্জা নেই। শ্রদ্ধা আছে, অথচ অনুতাপের গ্লানি নেই। সক্কলে তার মুখের দিকে তাকিয়ে রইল। মনে মনে বলল, বেটির ক্ষমতা আছে। মুখে বলল, তবে রে!
দ্বিধা
বলতে আটকাচ্ছে
দ্বিধায় হোঁচট খেলাম ক'বার
(গুনিনি)
চিন্তার রাজ্য অবিভক্ত
কে বলল?
সীমারেখা আছে তো!
আছে বুনো ঝোপঝাড়
না চলা, অতি চলা, কম চলা পথ
অসতর্ক হয়ে কাঁটা ফোটেনি পায়ে?
আচমকা কুয়াশায় রাস্তা হারায়নি?
মেহেদি হাসান
সব প্রেম হারিয়ে গেলে
মেহেদি হাসান আছে
অনেক জন্ম এমনি এমনিই
বন্ধক ওর কাছে
এসো
কেন এসেও এলে না?
আমি অন্যমনস্ক ছিলাম?
না তুমি ছিলে সংশয়ে?
একবার সব ছেড়ে এসো
মনে হবে
একদিন সব ছেড়ে গিয়েছিলে
ভাগ্যে
ভাগ্যে তুমি আমার সামনে অতবড় প্রাচীরটা তুলেছিলে,
না হলে জানতেই পারতাম না - আমি এতটা উঁচুও চড়তে পারি!
ভাগ্যে তুমি আমার সামনে এতটা অন্ধকার তৈরি করেছিলে
না হলে জানতাম কি করে- আমি এত অন্ধকারেও দেখতে পারি!