Skip to main content

ছবি

টোটোর পিছনে নিরুদ্দিষ্ট ব্যক্তির ছবি। মোবাইল নাম্বারটা লাল দাগ দিয়ে কাটা।
চালককে জিজ্ঞাসা করলাম, কার ছবি?
...

অবসেসান

রমাকান্তর আজকের বক্তৃতার বিষয়, "মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ"।

কিন্তু গাড়িতে যেতে যেতে মনটা ভীষণ খচখচ করছে রমাকান্তর। কেন জানি মনে হচ্ছে বাইরের দরজার তালাটা একবার টেনে দেখলে হত। তালাটার একটু গোলমাল আছে। চাবি ঘুরে যায়, কিন্তু তালাটা গলা ঝুলিয়ে কাত হয়ে খুলে যায়। এতক্ষণে কি খুলে গেছে তবে? কেউ ঢুকেছে? যে ঢুকেছে সে চোর না মানুষ?
...

দরদ থাকলে

মিষ্টি কথা ডানা মেলে ডালে গিয়ে বসল।
          সূর্যের আলো এসে পড়ে বলল, এক্ষুণি শুষে নেব তোকে, তুই শেষ হবি আমার হাতে, আমি সত্য।
           মিষ্টি কথা বলল, আমায় শুষে নিতে পারো, আমার যে মাধুর্য প্রাণে জাগিয়ে এলুম, তাকে শুষে নেবে কিসে? শিশিরের গায়ে যে মুক্তো জাগাও, সেও তো মিথ্যা তবে!
...

Katyar Kaljat Ghusali

কানের ভিতর দিয়া মরমে পশিলো গো.... ঠিক তা না... হৃদয় চিরে প্রবেশ করলে...
     এটা সিনেমটার নাম শুধু না, সিনেমাটা নিয়ে বলতে গিয়েও আমার একই অনুভব। সত্যিই হৃদয় ভেদ করে প্রবেশ করল। বহুদিন পর মনে হল শুদ্ধ জলে স্নান করিয়ে গেল অন্তর্লোক কেউ। 
     সিনেমার মধ্যবিন্দু - সংগীত। উচ্চাঙ্গসংগীত। আর একটি দর্শন, তা হল শিল্পীর সব চাইতে বড় শত্রু হল তার অহংকার, যা তার শিল্পকে নষ্ট করে দেয়। 
...

বাদী উপাখ্যান

একজন বলল, আয়না সত্য। আরেকজন বলল আয়নায় ভাসা যা কিছুর সবের ছায়া তারাই সত্য। নইলে তোমার আয়না কেবল কাঁচ। প্রতিবিম্ব দেখলেই যে না আয়না!
          আরেকজন এসে বলল, আয়না সত্য, প্রতিবিম্ব সত্য, দুই-ই সত্য, তবে যে আয়না আর প্রতিবিম্ব দুই-ই দেখছে সে মূল সত্য। 
          তিন দলের লোক হল। একজন হল আয়নাবাদী। একজন হল প্রতিবিম্ববাদী। একজন হল দ্রষ্টাবাদী। 
...

এত জল, এত জল

এত বৃষ্টি বহুকাল হয়নি। সব ভাসিয়ে নিয়ে যাবে যেন।

    পাহাড়ের কোলে ছোটো মন্দির। একটু দূরে নদী। নদী পেরিয়ে গেলেই গাঁ। পুরোহিতের গাঁ। 
    পুরোহিত প্রদীপটা নেভানোর আগে, ভালো করে আবার গোবিন্দের দিকে তাকালো। স্থির, কালো চোখ। পাথর গেঁথে এমন চোখ বানানো যায়! 
    পুরোহিত প্রদীপটা তুলে গোবিন্দের চোখের মণির দিকে তাকালো। উত্তর নেই। গোবিন্দ স্থির তাকিয়ে। অপলক। 
...

তোমার নাম 'অসুবিধা'

আমি তোমার নাম দিলাম 'অসুবিধা'। আমার কলেজের দিন শেষ। আমি চিনছি জীবন। তুমি তখন সেকেন্ড ইয়ার। আমাদের এক কমোন বন্ধু নিয়ে এলো তোমায় একদিন। জৈব রসায়নের একটা জটিল বিষয়ে তুমি আটকে। আমিই নাকি পারব তোমায় দিতে সমাধান। দিলামও। তুমি তাকিয়ে থাকলে। আমার প্রথম অনুভব হল আমার অসুবিধা হচ্ছে। তুমি তাকালে আমার অসুবিধা হচ্ছে। এ অসুবিধা সুবিধার চেয়ে সহজ, কিন্তু সুবিধার চেয়ে তীক্ষ্ণ।
          এরপর অবধারিত ভাবেই আবার যোগাযোগ হল। বুঝতে দেরি হল না তুমি আমার অসুবিধার কথা বুঝে গেছ।
...

যা কিছু লুকালে

যা কিছু লুকালে আড়ালে
যে মন তা জানে
সে মনকে লুকাবে কোথায়? 

জয় মা

নতুন বউকে নিয়ে মায়ের মন্দিরে ঢুকল নতুন বর। নতুন বউ হাঁটু মুড়ে বসে মাকে অনেকক্ষণ ধরে প্রণাম করল। বর আড়চোখে ভুরু কুঁচকে দেখতে দেখতে ভাবল, এত ভক্তি! বাহ্।
             ফুলশয্যার রাত। বউকে বর গদগদ স্বরে জিজ্ঞাসা করল, হ্যাঁ গো, জানো তো, মা ভীষণ জাগ্রত আমাদের! পটলাদার ছেলে হচ্ছিল না। খালি মেয়ে, খালি মেয়ে। শেষে মায়ের কৃপায় ছেলে হল। নাম রেখেছে কালীচরণ। সেকেলে নাম। কিন্তু ভীষণ আধুনিক ওরা।
             বউ বলল, সে তো বুঝতেই পারছি।
...

শান্ত শিব

ট্রেনে পিছনের একটা পা কাটা কুকুরটা রেললাইনের পাশের নির্জন শিব মন্দিরের চাতালে শুয়েছিল সন্ধ্যেবেলা।
          ভক্ত এলো। এসেই এক লাথি মেরে বলল, ভাগ শালা!
          কুকুরটা কাঁপা কাঁপা শরীরটা নিয়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে, ঘুমের মধ্যে আচমকা ধাক্কাটা সামলিয়ে, ধীরে ধীরে নেমে গেল।
...
Subscribe to