Skip to main content

স্বপ্ন

বাবার স্বপ্ন ছিল ছেলে অনেক বড় হবে
ছেলেরও স্বপ্ন ছিল সে অনেক বড় হবে

সমস্যা হল
বাবার স্বপ্নে ছেলে থাকলেও
ছেলের স্বপ্নে বাবা ছিল না ...

সংশয়

যে মানুষ খড়ের গাদায় সূঁচ খুঁজতে নিরাশ
সে মানুষও খড়ের গাদায় হাঁটতে যায় না নিশ্চিন্তে
খালি পায়ে ...

জানলাটা

এই যে জানলাটা
এ বিস্মিত হয় না, উদাস হয় না, মুগ্ধ হয় না, অবাক হয় না

'খিল্লি'

তবে আমরা কোন সমাজে বাস করছি? আমাদের উত্তেজনা,
আমাদের রসবোধ, আমাদের শৃঙ্খলাবোধ এমন জায়গায় এসে পৌঁছিয়েছে যে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মানুষ ছাড়া আমাদের সামলানো যায় আজকের দিনে?
আর যদি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মানুষ না পাওয়া যায় তবে তাকে নিয়ে এমন খিল্লির পর্যায়ে চলে যাবে সব?

ভুলতে গেলে যত্ন করতে হয়

..এমন জায়গায় রেখে দিতে হয়
সহজে যাতে চোখে না পড়ে
আবার খুঁজতে চাইলেই যেন
ধরা দেয় হাতের নাগালে
...

An Unquite Mind

মানুষটা ভালোই ছিল। ভালোই থাকে। প্রচুর উৎসাহ, প্রচুর উচ্ছ্বাস। সব ঠিক চলছিল। হঠাৎ করে
সে বদলে গেল। থমকে গেল। নিঝুম হয়ে গেল।
নিস্তেজ হয়ে গেল। এটা বারবার হতে থাকে। মনের মধ্যে যেন দিন-রাত্রি।

পাকদণ্ডী ও ঝিঁঝিপোকা

ছবি তুলতে জানেন? আমাদের একটা ছবি তুলে দেবেন? এই, এই যে, এই বোতামটা চিপলেই খচ্ করে আওয়াজ হবে, হ্যাঁ হ্যাঁ, এইভাবেই, দেখবেন পিছনে ঝর্ণাটা যেন আসে…

মন বাঁচুক

রান্না করতে সকাল থেকেই ইচ্ছা করছে না। সকাল থেকে শুয়ে। মাথাটা ঝিমঝিম করছে।
সারা শরীর দিয়ে মনে হচ্ছে পোকার সারি হেঁটে যাচ্ছে। জানলাটা খোলা। রাস্তা পাশে। দিনদুনিয়া তার মত জেগে। কত উৎসাহ মানুষের।
তার কিছুতেই কোনো উৎসাহ নেই। এরকম মাসের পর মাস চলে। তবু নিজেকে টেনে হিঁচড়ে স্টেশানে নিয়ে যায়। ট্রেনে ওঠায়।
গলায় জোর এনে চীৎকার করে, দিলখুশ… দিলখুশ… গরম গরম… এখনই খান… বাড়ি নিয়ে যান… টাটকা দিলখুশ…

একফোঁটা জল

কচুপাতার উপর একফোঁটা জল। সে জলের উপর সূর্যের আলো পড়ে মনে হচ্ছে যেন মুক্ত।

পাগল দুই হাতে তালি দিয়ে বলল, মুক্ত, মুক্ত।

চারদিকে খবর রটে গেল। পদার্থবিদ এসে বলল, মুক্ত কোথায় হে? এ যে জল, পাতা আর আলোর একত্রিত অবস্থান।

পদার্থবিদ অঙ্ক কষে জলের মধ্যে আলোর প্রতিফলনের হিসাব করে দেখালো। কেন অমন লাগছে তাও বোঝালো।

পাগল হাসল। বলল, তুমি বাড়ি যাও। আমি মুক্ত দেখি।

Subscribe to