ঝরাপাতা, ওগো ঝরাপাতা
  কার অভিসারে এলি?
   তবে ব্যর্থ হল কি আসা?
কি অভিমানে ধুলাতে শয়ন পাতিস?
         নাকি, পেলি তাঁর দেখা
    শবরীর মত বহু অপেক্ষা শেষে
         সে চরণেতে মাথা রাখিস?

মাঝি,
সাগর জলের নোনা হাওয়া
  তোমার গা ছুঁয়ে
নোঙরখানা আলগা করে
  এলো তরীতে পা দিয়ে

যাই কি না যাই
  বোঝার আগেই মন তুলেছে পাল
তটের ঢেউয়ে আকাশ ছবি
       আমার হৃদয় বেসামাল

(ছবিঃ সমীরণ নন্দী)

("চমস্কী আর পামুক?
ওরাও শেষে নিন্দা দিলেন? এবার লড়াই থামুক!"
~ শ্রীজাত)

নোম চমস্কী করিল নিন্দা
     করিল নিন্দা পামুক
বঙ্গকবি লাফায়ে কহিল
   তবে তো লড়াই থামুক

হায় রে বোধি হায় রে
  পরানুগত্য কি মহীয়সী
দেখিয়া প্রাণ জুড়ায় রে

আমার মাঝরাতেই ভোর হল
   যেই তোমার কিছু কথা মনে এলো

অবশেষে চুপ থাকতে পারলাম না। JNU তে যা ঘটছে তার প্রতিবাদ- সমর্থন জটিলতা নিশ্চই আছে। সে ধোঁয়াশা কাটতে সময় লাগবে। লাগুক। আমি আশ্চর্য হলাম, হতবুদ্ধি হলাম অবশেষে দুটো ঘটনায়।

“কিছু কিছু ছেঁড়া টুকরো কথা
এখানে ওখানে একলা একলা

তার কিছু কিছু তুমি ভুলছ
কিছু ভুলছি আমি

তবু যখন উদাস বাতাস
ওদের বুকে ধরায় কাঁপন

কিছু দীর্ঘশ্বাস তুমি চেপে রাখো
কিছু চেপে রাখি আমি”
 

(ছবিঃ মৈনাক বিশ্বাস)

অহংকারের একদিকটা গরম, আরেকদিকটা ছুঁচালো। তুমি একদিকে, আমি একদিকে। তুমি বিঁধছ, আমি পুড়ছি।
অথচ দুজনেই জানি, চাইলেই একে সরিয়ে দেওয়া যায়। দিই না। নিজেদের মুখোমুখি হতে ভয়। সাধারণত্বের বিনয়, মিথ্যা অসাধারণত্বের মুখোশ। সেই মুখোশেই ভরসা।
জানি না তো, আসলে সত্যিই অসাধারণ কে? তুমি না তো?

সংসার সীমান্তের প্রান্তে
কে তুমি?

কোথা চলেছ
অজানা অচেনাকে সম্বল করে
এ ঘন রহস্য ঘেরা পথে?

ওগো অভিমানী
তবেও যাও

যদি ফিরে আসো
এ পথেই এসো

এ কুয়াশায় থাক ঢাকা
তব নির্বেদ যন্ত্রণার গাথা

আমি কুড়ায়ে নেব

(ছবিঃ সমীরণ নন্দী)

রাত ফুরালো
তারারা ফিরে গেল নিঃশব্দে
 রাস্তার আলোগুলো
    রাতের মহাকাব্যের উপসংহার

আলোগুলো নিভে যাবে
    বুকে করে নিয়ে যাবে
নিশীথের সবটুকু রহস্য মিলিয়ে
         ঈষৎ স্পর্শ রেখে ছায়া উপচ্ছায়ায়

তার কিছু কথা শিশির জানবে
   আর জানবে কোনো নিঃসঙ্গ হৃদয়