ঘোগ
শাসকদল আর বিরোধীদল। যা কিছু হোক, আলোচনাটা এর বেশি এগোতে শোনা আর আমাদের ভাগ্যে জুটছে না। টিভিতে, কাগজে, পত্রিকায়, রাস্তায় ঘাটে - একই বিষয়, শাসকদল আর বিরোধীদল। বার্ট্রান্ড রাসেলের একটা বিখ্যাত উক্তি মনে পড়ে - আমরা ভোট দিয়ে কাউকে একটা মন্ত্রীত্বে বসাই কারণ সব কিছুর জন্য কাউকে তো একটা দায়ী করতে হবে। আমাদের আলোচনাকেও তাই ওর বেশি এগোতে দিতে ভয় পাই। কি জানি বাইরের অন্ধকার যদি ঘরের অন্ধকারের দিকে আঙুল
দম্ভ
সাগরের দাম্ভিক জলকণা
পড়ল বালুতটে, চায় পৃথক অস্তিত্ব
কেন সে থাকবে একাকার হয়ে
প্রকাশ কি করে হবে, ব্যক্তিত্ব!
তবু সে আজ
সাগরের দিকে কাতর নয়নে চেয়ে
আজ বুঝেছে, সূর্য্য কি ভীষণ!
মরণ যে তার মাথার উপরে ছেয়ে
ফিরে এসে
সারাদিনের পর যখন তোমার কাছে ফিরে আসি
মনে হয় দিনের অন্য সব চাওয়াগুলো ব্যর্থ হলেও এমন কিছু ক্ষতি হবে না
ওগুলো শিশিরের মত মিলিয়ে যাবে
বুকে দাগ না রেখেও।
কিন্তু ফিরে এসে তোমায় না পেলে একলা হয়ে যাবো
অন্য সব চাওয়াগুলো ফুটে থাকবে কাঁটার মত বুকে
চারিদিকে নামবে এক চোরাবালি শূন্যতা
তুমি থেকো
আরেকটু হলেই
যেন ছুঁয়েই ফেলেছিলাম আরেকটু হলেই
আরেকটু হলেই যেন জেনে ফেলেছিলাম
বোধায় বুঝেই ফেলতাম প্রথম থেকে শেষ
হল না যে
যবনিকা পড়ল হঠাৎ, যেমন পড়ে
প্রজাপতির মত উড়ে গেল, ফুড়ুৎ!
মন বলল, ইস্, আর একটু হলেই..
প্রাণ বলল, ধুস্
কে যেন বলল, বেশ হয়েছে
ভুল কথা
একটা মাছ জলে ডুবে মরেছিল
একটা মাকড়সা জালে আটকে মরেছিল
একটা মৌমাছি মৌচাকে আটকে মরেছিল
ভুল কথা
একটা মানুষ সংসারে আটকে মরেছিল
ঠিক কথা
প্রার্থনা
দরজা আমার এদিক থেকে
শক্ত করে আঁটা
তুমি যদি ওদিক থেকে খোলো
বেরোতে পাই তোমার টানে
আসা যাওয়ার পথ খুলে যায়
মোহ আমায় বাঁধতে না পায়
যদি তোমার বাঁশি বাজে
আমার প্রাণে
মৃত্যুঞ্জয়
কিছু ধুলো আলোর সাথে উড়ছে
কিছু কাদা স্রোতের সাথে ভাসছে
কিছু কাঁকড় ভিজে রাস্তা বাঁধছে
কিছু ডাস্টবিন কিছুতো খেতে দিচ্ছে
কিছু আস্তাকুঁড় এখনো আশ্রয় হচ্ছে
কিছু প্রতিবাদ অলিতে গলিতে মরছে
তবু ঝোঁপে ঝাড়ে নতুন ভ্রুকুটি উঠছে
সব আশা শেষে, সব চিতা নিভে
বুকের ভিতরে তবু ওটা কি নড়ছে?
স্পর্শ
কেউই হাত বাড়ায় না
বাড়ায় কেবল শর্ত
শর্ত না চাই
চাই হাতের সরল স্পর্শ
আমন্ত্রণ
দেখো, তোমার ভালবাসা গ্রহণমুক্ত আজ
দুঃস্বপ্নের পাখিরা ওই গা ঝাড়া দিল
তোমার বিন্দু বিন্দু অশ্রুতেই হবে সাগর
ততদিন শুধু হাসিটা জীবিত রেখো
কোনো দিগন্তে সূর্যাস্ত যদি দেখো
জেনো, কোনো দিগন্তে সূর্যোদয়ও আজ
রাতের গুহায় কান্না ঘুমিয়ে আছে
তোমার বুকের তলায় গঙ্গোত্রীর ডাক
ঢেউ
পুরীর সমুদ্রে যখন প্রথমবার বাবার হাত ধরে নামি, আমার সে কি উত্তেজনা! ঢেউ আসলেই তার উপর দিয়ে লাফাবার চেষ্টা করছি। এমন সময় একটা বড় ঢেউ আসল। লাফাতে গিয়ে বালির তীরে পড়লাম ছিটকে। বাবা হাসলেন, বললেন, "বড় ঢেউ আসলে লাফায় না বোকা, মাথা নীচু করে দিতে হয়। মাথার উপর থেকে ঢেউটা চলে যায়, আর ছিটকে পড়তে হয় না।"