যেখানে বেঁচে থাকার পুঁজি খুঁজি
প্রতিদিনের মত সান্ধ্যভ্রমণে বেরিয়েছি। ফাঁকা একটা রাস্তা দিয়ে হাঁটছি এমন সময় দুজন ভদ্রমহিলার কথোপকথনের খন্ডাংশ কানে এসে পৌঁছাল -
"ভাই, যে কোনো পরিস্থিতিতেই মানুষ নিজের চলার রাস্তাটুকু করেই নেয়। তা সে যেমনই হোক। সংসারে কোনো অবস্থাতেই মানুষ নিজের চলাকে থামাতে পারে না।"
ঝড়
অভিমান আর প্রেম একসাথে দীঘিতে স্নানে গেল।
আমি এখানে, তোমার জন্য
সিঁড়ির একদম নীচের ধাপটায় বসে আছি
এখানে
এক পা বাড়ালে মাটি
এক পা বাড়ালে জল
এক হাত বাড়ালে ঘাস
এক হাত বাড়ালে বাতাস
সব কাজ মিটিয়ে
আমার কাছে এসো
আমার পাশে বোসো
একবুক শান্তি ঘটে ভরে দেবো
তুমি স্নান সেরে এসো
একটাই কথা মনে রেখো -
উপরের সিঁড়িগুলোতে কিছু ফেলে এসো না
রেখে এসো
আর ফিরতে না হয় দেখো
পারো যদি
তুমি সরে দাঁড়াও
তোমার শরীরে এমন কিছু নেই
যা হৃদয় গুহায় আলো জ্বালাতে পারে
তাই অকারণে নগ্ন হয়ে এসো না
পারো যদি একটা আবেগ জ্বালো চোখে
সত্যি হোক তা
আমার হৃদয় গুহা থেকে আদিম প্রাণ
উড়ে আসুক ওই আলোর দিকে চেয়ে
বসুক নিভৃতে তোমার বুকে
শরীর থাকুক সংযত
প্রাণের উৎসে প্রেমকে করে ধারণ
শুদ্ধ হোক তা
সে
রোজ দেখা হয় না
তবু রোজ দেখা হয়
রোজ কথা হয় না
তবু সব কথা হয়
রোজ হাতে হাত রাখি কই?
তবু সারা শরীরের স্পর্শ
এই তো, এখনও আমার সর্বাঙ্গে
সে -
বাইরে থেকেও ভিতরে থাকে
ভিতরে থেকেও হারিয়ে থাকে
হারিয়ে গিয়েও আমায় খোঁজে
আমি, হারিয়ে গিয়েও তারই মাঝে
দেখেছি
আমি দেখেছি
একবার না, বহুবার দেখেছি
যে অন্যকে ব্যর্থ করার সঙ্কল্পে
এক বুক ষড়যন্ত্র নিয়ে
বাড়ি থেকে বেরোলো ভোরবেলা
তাকে দেখেছি
একবার না, বহুবার দেখেছি
মাথা নীচু করে, নিজেকে ব্যর্থ করে
গোপনে ফিরছে সে চোরের মত, সন্ধ্যাবেলা
তবু তুমি
তোমায় দেখে বুঝেছিলাম
বিধাতা কাউকে নিজের হাতে সাজান
তোমার চোখের ওপর চোখ রেখে বুঝলাম
চোরাবালি শুধু পায়ের তলায় না
বুকের তলায়ও আছে
পলাশ ও জাল
ভুল পথে
যৌথ পরিবারে কোনো বড় মানুষ যখন কোনো অবিবেচক বা আলপটকা মন্তব্য করে ফেলেন, অমনি অন্যান্য বিবেচক মানুষেরা সেটা নিয়ে কথা না বাড়িয়ে বিষয়টাকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। যাতে পরিবারে শান্তি বজায় থাকে। এ অভিজ্ঞতা কম বেশি সব মানুষেরই থাকবে যাঁরা যৌথ পরিবারে মানুষ।
কালবৈশাখী
বুকে হাত রাখল
আমার হৃৎপিন্ড ছুঁয়ে বলল-
এত তাড়াতাড়ি ছোটে?
আমি বেগ কমালাম
আবার এল
হাত রেখে বলল, এত ধীরে?
বেগ বাড়ালাম
সেবার বলল
হয় নি এখনও