Skip to main content

কৌতুক


জোকস পড়ে যতই হাসি পাক না কেন, ছোটোবেলার বন্ধুদের সাথে- সেই অকারণে, অসময়ে, ভুলভাল জায়গায় (তা স্কুলের প্রার্থনার লাইনই হোক, কি খুব কড়া স্যারের ক্লাসই) হাসতে হাসতে, তার চেয়েও বেশি, হাসি চাপতে চাপতে চোখের জলে, নাকের জলে হওয়ার অনুভূতিটার খুব অভাব বোধ করি। 

অবসাদ


অবসাদ আছে
যায়, আবার ফিরে আসে।
কারণেই যে আসে - তা না,
অকারণেও আসে।
ওর উদাস দুটো চোখে চোখ রাখি।
জীবনকে দেখার এও তো দৃষ্টিকোণ -
                                অবসন্নতা।
 

আক্ষেপ

এত বড় জীবন, কটা আক্ষেপ থাকবে না, তাও কি হয়! 

ছোটবেলায় যখন লুডো খেলতাম, তখন খেলার শেষে আক্ষেপ হত না? - ইস্, ছয় পড়ল না কেন? হায় রে এই গুটিটা না খেলে ওই গুটিটা খেললেই ভাল হত...এরকম আরকি। তা সামান্য লুডো খেলতেই যদি এত ক্ষোভ, তো এত বড় জীবনটা কি করে কটা নির্ভেজাল ক্ষোভ ছাড়া হয়!

ভাঙন


চলতে ফিরতে যদি এদিকে তাকাও
তাকিয়ো
আমিও তাকাব
বিনা অনুরোধে
বিনা যন্ত্রণায়
বিনা আশঙ্কায়

বিশ্বাস করব, তুমি ভাল আছো
বিশ্বস্ত থাকব, আমার ব্যাথার কাছে
যে বলেছিল, ওকে আর চেয়ো না
আমি আরেকটা ভাঙন নিতে পারব না।

পরিবর্তন

পরিবর্তন আর জীবন, এ দুটো সমার্থক শব্দ। এ কথা বহুশ্রুত। খাঁটি কথা, সন্দেহ নেই।

তাই

ঘন জঙ্গলে না,
তোমায় পেয়েছি
উত্তাল সাগরে

তাই সারা গা
নোনতা আমার

ভাগ্যের জোরে না
তোমায় পেয়েছি
ভাগ্যের সাথে লড়াই করে

তাই সব হাতের রেখা
রক্তাক্ত আমার

গাছটার গুঁড়িটায়


গাছটার গুঁড়িটায় একদিকে রোদ
একদিকে পিঁপড়ের সারি
আরেকদিকে শ্যাওলার ছোপ

ফেরা


ঘরের আলো নিভিয়ে
দরজায় তালা লাগিয়ে
বড় রাস্তায় এসে দাঁড়ালাম

যেতে যেতে মন ইতঃস্তত
আলোটা জ্বেলে আসাই কি ছিল ভাল
ফেরার পর কেমন হবে -
যদি ঘর-বার দুই-ই থাকে অন্ধকার?

আজ


সেদিন কেউ কেউ কাছে ডেকেছিল,
বেরোনোর দরজা পাইনি।

সেদিন থেকে হাতড়ে হাতড়ে পেলাম
একটা ছোট্ট সুড়ঙ্গ আজ
নিজেকে হেঁচড়ে হেঁচড়ে বাইরে আনলাম

কোথায় গেল ওরা,
যারা ডেকেছিল?

কৃতজ্ঞ


জ্যোৎস্নাকে পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়তে দেখেছি।
জানি না, কে কার কাছে কৃতজ্ঞ থাকে।

জ্যোৎস্না পৃথিবীর কাছে?
সে বুক পেতেছে বলে
না পৃথিবী জ্যোৎস্নার কাছে?
সে বুকে এসেছে বলে।

আমিও জানি না
কে বেশি কৃতজ্ঞ,
আমার 'আমি' না তোমার 'তুমি'?
যে ভাবে তুমি মিশেছ আমাতে।

শুধু জানি আমি ভয় পাই
কালো মেঘ আর গ্রহণের আড়ালকে।

Subscribe to