আশঙ্কা
গোলাপকে দেখে মুগ্ধ হয়েছি
গোলাপ বোঝেনি কোনোদিন।
রামধনুর রঙ চোখ জুড়িয়েছে
মনে মনে বলেছি, বাহ্।
সে শোনেনি কখনো সেভাবে।
নীলাকাশের বুকে চাঁদের শোভা-
এও তো যুগান্তরের মাধুর্য্য
আত্মভোলা আবেগে বলেছি, উফ্
চাঁদ, আকাশ ফিরেও তাকায়নি।
তুমিও কি ওদের মতই হবে?
অবিশ্বাসী
মড়া হাড়ে মালা পরাতে গেলে
মালার ফুলগুলো আর্তনাদ করে ওঠে-
আমরা মরিনি...মরিনি..মরিনি..
তবু পরাতেই হয় মালা
জোর করে মড়ার হাড়ে
সতেজ ফুলের মালা
এটাই তো কৃষ্টি
সতেজকে মারো
মৃতকে করো হিমালয়
যাতে কেউ চড়তে না পারে
উঠতে গেলে, নামাও পা-ধরে
"যত্তসব অবিশ্বাসীর দল"!
রহস্য
ইতিহাসে পড়েছিলাম, সেই আদিম যুগে, মানুষ - বিদ্যুৎ, ঝড়, বন্যা এইসব ঘটনায় ভাবত দেবতারা রুষ্ট হয়েছেন। তাই নানা রকম আচার অনুষ্ঠান করে তাঁদের শান্ত করার চেষ্টা করত। সেই থেকে ডিপার্টমেন্ট অনুযায়ী দেব-দেবীদের নামকরণ ও দায়িত্ব নির্ধারণের একটা কল্প-গল্প মানুষের মনে তৈরী হয়েছিল। বলা বাহুল্য বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সে ধারণা পাল্টাল।
তোমার চোখ
তোমার চোখ
আমার সব আনন্দের খনি
তোমার আশ্বাস
আমার প্রতি হৃদয়ধ্বনি
সে
সে, একটা ছোট বালির কণা হতে পারে
কিম্বা হিমালয়ের চূড়া
একটা গোলাপ
কিম্বা একজন কাছের মানুষ।
সে ইঙ্গিত হতে পারে
অথবা নির্দেশ
পথ হতে পারে বা সাগর
দুঃখ হতে পারে সুখও
আনন্দের জ্যোতিতে আলো।
সে আরো অনেক কিছু হতে পারে
শুধু আমি চাইলেই
আমি চাইব কবে?
ফিরব
তোমার হাত ছাড়িয়ে ছুটলাম
কৌশলে।
সেকি ছুট!
সেকি দৌড়!
সেকি উদভ্রান্ততা!
বন্ধুত্
আজ বন্ধুত্ব দিবস। জানতাম না। অনেকে বললেন বন্ধুত্ব নিয়ে কিছু লিখতে। ভাবলাম কি লিখব? বন্ধুত্ব নিয়ে কি লেখা যায়! এ তো বিশাল বড় কথা - বন্ধুত্ব।
মুক্তি
সময়
বউটার বিষম ব্যামো।
ডাক্তার বললে, কঠিন রোগ
তান্ত্রিক বললে, মা ক্ষেপেছে
জ্যোতিষী বললে, শনি এয়েচে
বন্ধু বললে, হুম বিপদ দেখি
শত্রু বললে, বেশ হয়েছে
স্বামী তাকালো রাতের আকাশে
মন বললে, সময় হয়েছে।
কিছু কথা
কিছু কথা ঝেড়ে ফেলা যাক
কিছু বিশ্বাসের কাছে আবার ফিরে যাই
কিছু নালিশকে বলি, যাও
পুরোনো পথে নিজের পায়ের ছাপ খুঁজে
কিছুটা পথ আবার হেঁটে আসি