Skip to main content

নৈর্ব্যক্তিক

আমার সব কবিতাই তোমায় নিয়ে।
   যে তুমি আমার চেনা-অচেনার আলপথে
               নিশ্চিন্ত আপন অস্তিত্বে।
  সম্পর্কের সুনিপুণ সংজ্ঞায় না -
      যে আলো জাগরণের শেষ সীমানায়
  ঘুমের প্রান্তে আলোর লালিমা ছড়াতে জানে -

কিছু কথা

কিছু কথা উড়ে যেতেই দাও
  আটকিও না
না হলে তুলোর আঁশের মত আঙুলে আটকে থাকবে
  ছাড়াতে গেলে আরো জড়িয়ে পড়বে
শ্বাস নিতে অসুবিধা হবে,
  গলার কাছে দলার মত পাকিয়ে থাকবে

  তুমি কি তবে এড়িয়ে যাবে?
না তো, এড়িয়ে যাবে কেন?
  উড়ে যেতেই দাও
    ওরা বাসা পাবে হয় তো কোথাও
  সেখানে তুমিও থাকবে অন্যভাবে

ব্যথার প্রজাপতি

মুঠো খুলে দিলে
    ব্যথারা প্রজাপতির মত উড়ে যায়
আকাশে, বাগানের গাছে, খাটের কিনারায়
       প্রজাপতির মত রঙিন ব্যথারা
  আড়মোড়া ভাঙা শরীরের মোচড়ে এসে বসে
   সুখের মত ব্যথারা

জগন্নাথ ও রামকৃষ্ণ

দূরদর্শনের বিভিন্ন চ্যানেলের বহু মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রমে বাড়ির টিভির পর্দায় ভেসে আসছে পুরীর রথযাত্রার দৃশ্যাবলী। অজস্র মানুষের অসীম উৎসাহ, নৃত্য-গীত-কীর্তনে মুখরিত মন্দিরের সম্মুখস্থ বড়দাণ্ড বা মহৎপথ। ধারাবিবরণকারীদের বিভিন্ন ভাষায় ভক্তিপূর্ণ ব্যাখ্যান।

সীমা

'তবু আমার শীর্ন দেহে ধরেছে তোমার রঙ'
    নদী এই বলে তাকালো আকাশের দিকে

আকাশ অনন্ত চোখে তাকালো নদীর মুখের দিকে
   তখন দিনান্তের রঙ সারা আকাশ বিছিয়ে
নদীর ছলছল চোখে যে তৃষ্ণা
   সে তৃষ্ণা সন্ধ্যাকাশের আকুল আকাঙ্খায়
মহাকাশের দিকে তাকিয়ে
   অনন্তকাল ধরে

স্বামীজী

নিবেদিতা তাঁর কালজয়ী গ্রন্থ - 'স্বামীজিকে যেরূপ দেখিয়াছি' শেষ করছেন একটা প্রার্থনা দিয়ে, স্বামীজির এই জীবন্ত সত্তা যেন শুধু স্মরণীয় না হয়ে চেতনায় জ্বলন্ত জাগ্রত হয়ে অবস্থান করুক।

শঙ্করদা

ফেসবুকে পরিচয় হয় তো কত মানুষের সাথে। 'ভারচুয়াল' শব্দটা এই ফেসবুকের দৌলতেই বুঝতে শিখলাম। তবে কতিপয় মানুষের সাথে আলাপের তাগিদ, বৈদ্যুতিন মাধ্যমের গণ্ডি ছাড়িয়ে দেখা শোনা ছোঁয়ার জগতে এসে পড়ে। Sankarদা এমনই মানুষের মধ্যে পড়েন।

জাগাও

এ পাঁকের দহ থেকে বাঁচাও
   তৃষ্ণার জ্বলন্ত কুণ্ডে কিছুকাল আমারও তো কাটল
সব ব্যর্থ হত যদি তুমি না ডাকতে ব্যাথার মত ডাকে
     ওরা স্নান সেরে হয় তো এপথ দিয়ে যাবে
 ওদের স্তবমালার একটি সুর আমার প্রাণে জাগাও
       হোক অক্ষয় সে সুর
    প্রাণের সবকটা তার ছিঁড়ে গেলেও

Subscribe to