Skip to main content

সত্যিই আমায় মানায়?

যে মানুষটা 
রাতের বেলা
 একফালি রান্নাঘরটুকু ধুয়ে মুছে 
    আগামীকালের রান্নার জন্য যা যা দরকার গুছিয়ে
    নিশ্চিন্তে শুতে যায়

একান্নবর্তী পরিবার

একজন আমার কাছে খুব দুঃখ করত, "দেখো আমাদের একান্নবর্তী পরিবার। আজকাল তো দেখাই যায় না এরকম। কিন্তু কেমন যেন সব ছাড়াছাড়া। কেউ কারোর ঘরে আসে না। সব আলাদা আলাদা রান্না। ভালো লাগে না।"

    আমি শুনে, 'হাঁ, হুঁ' বলতাম।

আলোর নিশ্চয়তা

যদি বলি,
সে এসেছিল

তারা বলবে 
সে কে? সে কেমন? কি তার রঙ গায়ের? কি ভাষা? কি নীতি? কি চায় সে? সে কি রাজা? না সে ফকির? 

আমি উত্তর দিতে পারব না
    সব প্রশ্ন অবান্তর 

সুরমার সংসার

সুরমার সঙ্গে এটা খুব হচ্ছে। আগে মাসে একবার কি দু'বার হয় তো হত, এখন প্রতিদিন হচ্ছে।

             আজ সকালেই, রান্নার পর গ্যাসট্যাস মুছে বসার ঘরে খবরের কাগজটা নিয়ে বসল। অতীন মিউনিসিপালিটি চলে গেছে। মেয়ে টিউশানে। এখন কেউ আসার নেই। যেই ভেবেছে খানিক বাদেই কলিংবেল বাজল, মাসতুতো দিদি আর তার বর। মানে আবার গ্যাস জ্বালো। নইলে আপ্যায়ন হবে কি করে?

নিন্দুক

ছোটোবেলায় একটা গল্প শুনেছিলাম। গল্পটা খুব ক্লিশে হলেও আরেকবার বলতে ক্ষতি কি আছে?
             একজন লোক সে শহরে এক ধনীর বাড়ি কাজ পেয়ে গ্রাম থেকে চলে যায়। কিন্তু মাঝে মাঝে সে গ্রামে ফিরে আসে, আর এসেই বলে, এই তোমাদের রাস্তা? এই তোমাদের হাস্পাতাল? এই তোমাদের স্কুল? এই তোমাদের পঞ্চায়েত? এই তোমাদের শিল্প? এই তোমাদের সততা? ইত্যাদি, ইত্যাদি। 
             তো গ্রামের বেশিরভাগ লোকেই কিছু বলে না তাকে। আবার কেউ কেউ মৃদু প্রতিবাদ করে। কিন্তু বেশিরভাগ লোকই সে নিন্দুকের শহুরে পোশাক, অনুকরণ করা আচার ব্যবহারে মুগ্ধ হয় না বলে সে নিন্দুক যায় আরো আরো রেগে। 

ঝড়ের মধ্যে এসো

ঝড় থামলে যে শান্তি?
সে শান্তি চাই না


ঝড়ের মধ্যে এসো
পাশে দাঁড়াও 

তখন ঝড় থামুক 
     না থামুক

পরোয়া করি না

শামুক

পাঁচু পাগলা জেটিতে এসে বসেছে। গ্রামে সবাই তাকে এই নামেই ডাকে। লঞ্চ আসতে দেরি আছে আরো আধঘন্টা। হঠাৎ খুব জোরে আওয়াজ শুনে ফিরে তাকালো, একটা লরি করে অনেক লোক এসেছে। বড় বড় বক্স বাজছে। হিন্দী গান হচ্ছে। কি ড্রাম পেটানো আওয়াজ। বেশি লোক দেখলে পাঁচু পাগল জড়সড় হয়ে যায়। এখনও হল। তার পিঠের ব্যাগটা পিঠ থেকে খুলে বুকের কাছে নিয়ে নিজেকে শামুকের মত গুটিয়ে বসল।

সে কুড়িয়ে নেবে

প্রতিদিন ফুল চুরি করার সময় 
   তার একটা কথাই মনে হত
       তার নিজের একদিন ফুলের বাগান হবে

নাকি পৌরুষের প্রয়োগশালা?

ওদের স্কুল আলাদা করো
ওদের রাস্তায় বেরোনো বন্ধ করো
ওদের মুখ দেখানো বন্ধ করো
ওদের উপার্জনের আইন বন্ধ করো
ওদের জনপ্রতিনিধি হওয়া বন্ধ করো

বিস্ময়হীন অলসতা

একজন কেউ অপমান করবে
আর তুমি সেই কাদা
    নিজের গায়ে, মাথায়, চোখেমুখে, হাতেপায়ে মেখে বসে থাকবে?

আর একে তাকে ওকে ডেকে
   অভিমান করে বলবে,
       দেখো কি করেছে,
           দাও জল দিয়ে ধুয়ে দিয়ে যাও?

Subscribe to