Skip to main content

প্যাটেল - বসু উপাখ্যান

হার্দিক প্যাটেল মধ্যপথে অনশন ভাঙিল। কোন সুজাতা পরমান্ন লইয়া আসিয়া ছিল জানা নাই। ইনি আবার 'মধ্যপথে'ও আস্থা রাখেন না। রাজনীতির কেহই রাখে না অবশ্য। নানাপ্রকার ছল-কৌশলই পাথেয় রূপে যথেষ্ট। নিন্দুক আবার কহিয়াছে ইনি গোপনে ক্ষুধাসুরকে নৈবেদ্যও অর্পণ করিয়েছেন। সে নিন্দুকের কথা থাক। কথা হইল, পথের অভিমুখ কি জন-উদ্দেশ্য-সিদ্ধিতে না আত্মসিদ্ধিতে?

ঈর্ষা


ঘুড়ির উপর আলপনা আঁকলে না
   মাঞ্জা চাইলে তীক্ষ্ম
আকাশকে উপেক্ষা করে
     সারাদিন শুধু গুনলে 
          এক দুই তিন...

রুটি বেগুনভাজা

        দু'দিন আগেও বাগানে ঘুরে গেছেন, সবাই বলল। পুকুুনের মা জানত, মাথাটা গরম হলেই বাগানে ঘোরেন। একা একা ঘোরেন। একা একা কথা বলেন। একা একা আকাশের দিকে তাকিয়ে মাটিতে শুয়ে থাকেন। সাদা পায়জামা আর পাঞ্জাবী গায়ে রোগা মানু

১১ই সেপ্টেম্বর

        অসম্ভব ভিড়, বারাকপুর স্টেশান। ধাক্কা দিয়ে এগোনোই যায়। কিন্তু এগোলেন না। পিঠে, বুকে, মুখে ধাক্কা খেতে খেতে একবার ছাদের দিকে তাকালেন। পায়রাগুলো গিজগিজ করছে। সন্ধ্যের সময় প্রতিদিন হয়। তবে আজ অন্যরকম। কেন অন্যরকম তা জানেন না। আজ সারাদিন না ভাবতে চেষ্টা করেছেন। এখন

ব্যস


ব্যস, এতটুকুই তো 
কতটা হাত বাড়িয়েছিলে?

ব্যস, আর না, থামো
কতটা পথ ভেবেছিলে?

"অবকাশ আমার আর নেই"

        বন্যার ভয়াবহতার সদ্য সাক্ষী আমরা। নানা স্তরের মানুষের সাহায্যের সাক্ষীও আমাদের চিত্ত। আবার নীরবতা বা উদাসীনতার সাক্ষীও। 
        ১৯৩১ সাল, বাংলা বন্যায় ভাসছে। রবীন্দ্রনাথ চিঠিতে লিখছেন, ২৩ অগস্ট,

যেখানে দেখিবে ব্রিজ


যেখানে দেখিবে ব্রিজ, 
নাড়াইয়া দেখো ভিত
পড়িলে পড়িতে পারে 
    যখন তখন

"বাংলাদেশে আর নয়"

বাইশে শ্রাবণে কবির অন্তিমযাত্রার যে ভিডিওটা দেখি, তাতে কতটা উন্মাদনা আর কতটা আন্তরিক শূন্যতার হাহাকার --- সংশয় জাগে। রবীন্দ্রনাথকে ভারতবাসী সেদিন কতটা নিজের ভিতরে নিয়েছিল, সন্দেহ হয়। আজও কতটা নিতে পেরেছে জানি না। কয়েকটা কবিতা আর গানেই যেন মানুষটার সব প্রতিভা শেষ হয়ে গেল।
Subscribe to