এখনই
এখনই না
এখনও অনেকে বসে আছে
অনেকে দাঁত দিয়ে নখ কাটতে কাটতে ভাবছে এখনও
এখনও অনেকে বাথরুমের আলো নিভিয়ে
বাথরুমকে অস্তিত্বহীন করে
শোয়ার ঘরে শুয়ে টিভিতে রান্না শিখছে
এখনও অনেকের চোখে-মুখে জরায়ুস্থ শিশুর সরলতার ভান
ঘুমন্ত চেতনায়
তিনশো বছরের পুরোনো কৃষ্ণমন্দির
রথের উৎসব,
মঞ্চে বাউলের উদাত্ত কণ্ঠে আল্লাহ্ নাম
আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে
লালনের পদ
পূর্ণতার জন্য
খুব কমই এমন হয়
কখনও কখনই হয়
যখন একজন মানুষ
আরেক মানুষে
মিশে যেতেই চায়
কামের জন্য না
সুখের জন্য না
শান্তির জন্য না
আশ্রয়ের জন্য না
পূর্ণতার জন্য
অস্তরাগ
বিকালের দিকটায় এই রাস্তাটায় ভীষণ যানজট লেগে যায়। খুব চওড়া না রাস্তাটা। একদিকে রেললাইন আর আরেকদিকে পর পর দোকান। দুপুরটা যা একটু কম ভিড় থাকে, সকাল থেকেই প্রচুর লোকের যাতায়াত। স্টেশান, হাস্পাতাল, স্কুল, বাজার সবই তো এই একটা রাস্তা দিয়েই যেতে হয়।
তোমরাই জানো
কোন রক্তের ঘনত্ব বেশী
কোন প্রাণেতে আনুগত্য
কোন কোন দেহ প্রাণহীন হলে
তোমরা তাকে শহীদ বলো
তোমরা জানো
কখন মাইকে গলা চড়ে
ভোকালকর্ড শীতঘুমে যায়
কখন কাকে তুচ্ছ করে
হঠাৎ ভীষণ উৎসব পায়
তোমরা জানো
অনশন
ওদের বোকা বোকা জেদ
হারতে লজ্জা লাগছে, ইগোতে লাগছে
জানি তো!
সুক্ষ্ম কঠোর অতিমানবিক নজর তোমার
দেখে নিতে চাইছ, মতলবটা কি?
তবু একটা কথা থেকেই যাবে জানো
কতটা দূরত্ব?
সন্ধ্যায় পশ্চিমাকাশে রক্তিম মেঘের বুক চিরে
ঘরে ফিরছিল একঝাঁক পাখি
মেঘের সাথে কতটা দূরত্ব ওদের?
অন্ধচোখ বৃদ্ধার পাশে বসে
হত দরিদ্র সম্বলহীন স্বামী
ঢাকের তালে তালে দিচ্ছে তালি
সুখের থেকে কতটা দূরত্ব ওদের?
হুলো কাঠবেড়ালি উপাখ্যান
কথোপকথন
(ছুঁৎমার্গীরা লেখাটা এড়িয়ে যান প্লিজ)
মেহেদী হাসান
...