Skip to main content

গুরু কহিলেন


গুরু কহিলেন, তবে বাবা সত্য কি?
শিষ্য গদগদ হইয়া কহিল, আপনি যাহা কহিলেন।
গুরু উৎফুল্ল হইয়া কহিলেন, আর আমি কি কহিলাম? 
শিষ্য বলিল, সত্য, গুরুদেব, সত্য কহিলেন।

ফোনটা কেটে দিয়ে, খুঁজুন


সেবার কলকাতা বইমেলায়
   তুমি তো গেলে না
সন্ধ্যে হব হব
সন্ধ্যে হতে শুরু করলে যে মন খারাপটা হয়
   সে আড়মোড়া ভাঙতে শুরু করেছে ততক্ষণে

ফুরিয়ে যাওয়া কথার দলদল


প্রতিদিন সব কিছু গুছিয়ে রাখার পরও 
   যেটুকু অগোছালো থাকে -
       সেটুকুই 
শুধু সেটুকুই কালকের সম্বল
বাকি তো সব গুছিয়ে রাখা
ফুরিয়ে যাওয়া কথার দলদল

আমগাছ

        মানুষটা আমগাছের চারাটা লাগিয়ে, কয়েকদিন মাত্র নিশ্চিন্তে ঘুমিয়েছিল। ভেবেছিল, গাছটা না হলেই ভালো। কিন্তু একদিন ভোর সাড়ে চারটে উঠে বাগানে এসে যেই দাঁড়িয়েছে, তার চোখ ঠোক্কর খেল দুটো সবুজ পাতায়, একটা চারাগাছ জন্মিয়েছে। 

যেমন চলা


ভীষণ ভিড়, যেমন হয়, তেমনই
   একটা ফাঁকা জায়গায় খানিক দাঁড়ানো
                    কিছুক্ষণ, 

যেমন আগুন

ভালোবাসা অমর বলেছিলে। সে মিথ্যা কথা। যে দেশে মৃত্যু নেই, সে দেশে ভালোবাসাও নেই। জীবন আর মরণের দড়ি টানাটানির সুর ভালোবাসা। মৃত্যুকে সরিয়ে দিলে বাঁদিকে দড়ি ধরবে কে? টান দেবে কে? আর টান না দিলে, ন্যাতানো দড়িতে হাই ওঠার আওয়াজ, সেকি আর শুনতে ভালো লাগে বলো? নরম মাটি পাকা হলে ঘর দাঁড়ায়। সে ঘর ভাঙে বলেই তাকে গড়ে তোলার এত সুখ, তাকে টিকিয়ে রাখায় এমন গর্ব। ভালোবাসা মরণশীল, তাই এমন আনন্দ তাতে।
...

এবছরের মত খেলাটা শেষ হল

        এবছরের মত খেলাটা শেষ হল। বড়দের খেলা। চালাকদের খেলা। ধনীদের আমোদ। নেতাদের শক্তি প্রদর্শন। বোকাদের আবেগের তুবড়ি, জ্বলে ধাঁধাঁ লাগিয়ে চোখে, ফুরালো এ বছরের মত। কাছের সব কিছু ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল, এত আলো। এবার শ্লথ পায়ে আসবে অবসাদ। উত্তেজনার পর যা অবধারিত। কাজের গতি বেগ ফিরে পেতে নেবে আর

ফেরিওয়ালা


একটা ঘোর লাগিয়ে দাও
   জ্ঞানও নেশা, যদি তা মাতাল করে
                 LoC ভোলায় 
     আমি প্রেম ত্যাগী সন্ন্যাসী তো নই

ফিরে যাও

উৎসব
তুমি বড় দাম্ভিক
তুমি বড় উন্নাসিক
তুমি বড় নিষ্ঠুর

কেন্নো


মানুষটা রাতদিন অতীতের গল্প বলত
বলতে বলতে অতীতগুলোকে কেন্নোর মত ধরে
     বর্তমানের গাছের শাখায় ছেড়ে দিত
   অতীত হামাগুড়ি দিয়ে এ ডাল, সে ডাল
       এ পাতা, সে পাতা বেড়াতো

Subscribe to