Skip to main content

তত্ত্বকথা


বুকের মধ্যে পায়েস ভরতি কাঁসার বাটি
তর্জনী ডুবিয়ে বসে

অন্ধকার ঘরে পোড়া সলতের গন্ধ


অন্ধকার ঘরে পোড়া সলতের গন্ধ

ধীরে ধীরে ঠাণ্ডা হয়ে আসা প্রদীপের বুক

শিউলির হাতছানিতে স্মৃতির ব্যথার অভিসার

পূর্ব আকাশে খোলা জানলার

      প্রাগৈতিহাসিক প্রতীক্ষা

জিভ

        বাচ্চাটার মুখে একটাই কথা, আমি বড় চিপসটা খাব। মা মুখের দিকে তাকিয়ে বড় চিপসটা হাতে দিয়ে, চারদিকে তাকাল। চিপসের প্যাকেটটা মাটিতে পড়েছিল, মা কুড়িয়ে পেয়েছে। মুখটা খোলা, তবু, বাচ্চাটা চাইছে, কি আর হবে?!

ফুলটা নিঃশব্দেই ফুটেছিল

ফুলটা নিঃশব্দেই ফুটেছিল
তাকাবো না-ই ভেবেছিলাম

আঙুলে কাঁটা ফোঁটার পর বুঝলাম
    অজান্তেই তাকিয়েছিলাম
 

কিছু না

হঠাৎ করেই হারিয়ে গেল

সন্ধ্যের আকাশের সামনে দাঁড়িয়ে বললাম
    হারিয়ে গেল

সন্ধ্যের আকাশ বলল, একটু দাঁড়াও

সারারাত দাঁড়িয়ে রইলাম

শেষ রাতে হলাম অধৈর্য, বললাম
    কিছু বললে না যে

তুমি তো মহাকাল নও

ইতিহাসের কয়েকটা পাতা ছিঁড়তে চাইছ
ছেঁড়ো
সে ছেঁড়া পাতাগুলো রাখবে কোথায়?
তুমি তো মহাকাল নও!
 

পান্নালাল


        জনবহুল রাস্তা। আলোয় আলো চারদিক। দুর্গাপূজোর জামা দ্বিতীয় দফায় কালীপূজোতে বেরিয়েছে আবার। কচিকাঁচা, কিশোর-কিশোরী, যুবক-যুবতী-বয়স্করা রাস্তায় --- ঠাকুর দেখতে, প্যাণ্ডেল দেখতে, আলো দেখতে, মানুষ দেখতে।

বোধ

 অনেকটা রাস্তা চলে আসার পর বুঝল পাকা রাস্তাটা ছেড়ে গেছে অনেকক্ষণ হল। একটা জঙ্গলের মধ্যে অন্যমনস্কভাবেই চলে এসেছে অনেকটা। মাটিতে বসল। যাবে কোথায়? কোনোদিকেই যাওয়ার নেই। কিন্তু দাঁড়াবার জোও তো নেই। মানুষ মনের গুণে ঘুরে মরে। আমি কিসের খোঁজে ঘুরছি তবে? ঈশ্বরের মৃত শরীর দেখে এসেছি নিজের চোখে।

কাটাকুটি খেলা চলছে


        কাটাকুটি খেলা চলছে। হঠাৎ কে একজন চীৎকার করে বলে উঠল, আমার পুট পড়েছে, পুট.. পুট.. পুট। যেই না বলা, অমনি একজন কাছা খুলে মেঝেতে ডিগবাজি খেয়ে বলতে লেগেছে, আগডুম বাগডুম ঘোড়াডুম সাজে। কেউ নেচে উঠে বলল, ছু কিত.. কিত.. কিত... কেউ হামাগুড়ি দিয়ে কারোর পিছনে লুকিয়ে বলল, টুকি! 
Subscribe to