ওগো আদিকবি
কেউ কেউ তবে কাব্য বোঝে?
তোমার রচিত বিশ্বরাজ যে
কোন ভক্তের কি মোহ ঘোরে
আজ সে মাটির আসন খোঁজে?
বল্মিক যত বল্মিক আজ
ধুলোয় ধুলোয় ওড়ে
ওগো আদিকবি,
শানিত অস্ত্র, হুংকার কেন
পূজা স্তবমালা ঘিরে?
জোনাকি পথ
লোকটা জানত মারা যাবে। মারা তাকে যেতেই হবে। ব্যথার কথা বলে না। খিদে কমে যাওয়াটা লুকিয়ে যায়। অল্প বয়েসী মেয়েটার মাথায় সিঁদুরের দাগটা দেখলে বুকটা টাটায়। দুটো ঘুমন্ত বাচ্চার মুখে এসে পড়া স্ট্রিট লাইটের আলো, জানলার পর্দা উড়িয়ে ঘরের ভিতরে এসে জমে - সে দেখতে দেখতে আন
এমন নয়
এমন নয়
তবে?
জানি না। তবে এমন নয়।
চেনা?
না, তবে অচেনাও তো নয়
তবে কেমন?
জানি না। তবে এমন তো নয়!
এত কথা কেন?
কখনও কখনও সম্পূর্ণ লিখতে পড়তে না জানা মানুষদের, যাদের আমরা চলতি কথায় 'অশিক্ষিত' আর তার সাথে গরীব হলে, অবতার-সাধু না হলে 'ছোটোলোক' বলি, তাদের মুখে এক একটা কথা শুনে মনে হয় কবিতা জিনিসটা যত বেশি হৃদয়ের কাছে থাকা যায় তত বেশি শুদ্ধ হয়। লেখাপড়া না জানা মানুষ কথা বলে
দাদা ক’টা জারোয়া দেখলেন?
আন্দামানে সে গিয়েছিল যীশুর বাণী প্রচার করতে। বোকামি? ধর্মান্ধতা? ভক্তি? বিশ্বাস?
জানি না।
বহুতে এক
অচ্ছুৎ টুইটার ও ব্রাহ্মতন্ত্র
১) “বাহ্যেন্দ্রিয় ও অন্তরিন্দ্রিয়ের সংযম, কায়িক, বাচিক ও মানসিক তপস্যা; অন্তর্বহিঃ শৌচ, ক্ষমা, সরলতা, শাস্ত্রজ্ঞান ও তত্ত্বানুভূতি এবং শাস্ত্রে ও ভগবানে বিশ্বাস – এই সকল ব্রাহ্মণের স্বভাবজাত ধর্ম” - গীতা
পরকীয়া ঘোল
ওরে কে যেন হইল ভ্রষ্ট?
চারদিকে উঠিল শোরগোল
দিকে দিকে ফিরিল নীতিবাগীশ
মুখেতে শাস্ত্রের বুলি, হট্টগোল
শ্লেষ, তির্যক দিঠি, ক্লেদের বন্যা
মাখো মাখো সবে,
আজিকে পাঁকের দোল
হেঁসেলের সহমর্মিতা
ঈশ্বরের গল্প সব শেষ হলে
ঈশ্বরের গল্প সব শেষ হলে
মানুষ ফিরে আসে
কয়েক পশলা বৃষ্টিতেই
মেঘের গল্প ভাসে