Skip to main content

দেখ না ওরে

এ পূজোটা তোদেরই থাক
   বাবার মুঠোতে আঙুল পুরে
    বিস্ময় চোখে ঘুরে ঘুরে

পুরোনো রাস্তাটা ধরে

পুরোনো রাস্তাটা ধরে আবার হেঁটে এলাম
    কয়েকটা ঝরা হলুদপাতা ফুটপাথের ধারে পড়েছিল সেদিন
    এত বছর পরেও সেভাবেই রয়ে গেছে দেখলাম
         কয়েকটা পাতা হাতে নিয়ে ভাবলাম ফিরি
    তবু কি জানি কি ভেবে

সরি, ভুলে গিয়েছিলাম

ছাদের ধারে কার্নিশ ঘেঁষে দাঁড়িয়েছিলাম
    একাই ছিলাম। রাত কটা হবে তখন?
        সাড়ে বারোটার কাছাকাছি
    দূরে কিছু কুকুর জটলা করে ডাকছে
           কয়েকটা বাড়িতে আলো জ্বলছে

বর্ণপরিচয়

১৯ পাঠ

গোপাল অতি সুবোধ (বা)লোক। সে কাহাকেও ধর্ষণ করে না। যাহার সহিত তাহার বৈবাহিক সম্পর্ক তাহার ইচ্ছার বিরুদ্ধেও যৌন সংসর্গ করে না। যাহা পায় তাই খায়, যাহা পায় তাই পরে। ভাল খাব, ভাল পরিব বলিয়া অফিসে ঘুষ নেয় না। সবার আগে অফিসে যাইয়া নিজের কম্পিউটার খুলিয়া বসে। মন দিয়া কাজ করে। দ্বিপ্রহররের কর্মবিরতির সময় বন্ধুদের সাথে গল্প করে, ফেসবুক করে, ওয়াটস অ্যাপ করে। কোনো মহিলা কর্মচারীর সহিত অসভ্য ব্যবহার করে না। কাউকে কোনো ঘরে আলাদা ডাকিয়া লইয়া নিজের পদের ও অঙ্গের অসদ্ব্যবহার করে না। বাড়ি ফিরিবার কালে কি অফিস যাওয়ার কালে ট্রেনে বাসে নিজের হাত, জিভ ও চোখের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকে। ট্রেনে পর্ণ দেখে না। কাহারও কোনোরূপ উদ্বিগ্নতার কারণ হয় না। বাড়ি ফিরিয়া আসিয়া কিছুক্ষণ টিভি দেখে। স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের সহিত গল্প করে। বন্ধুদের আড্ডায় যায় আবার বেশি দেরি না করিয়াই ফিরিয়া আসে। রাতের খাবার পরিবারের সাথে একসাথে খাইয়া শুইয়া পড়ে। ...

ট্যু গণ্ডগোলস


"Reformation of society in line with 'BARANASHRAMIC (বর্ণাশ্রমিক)' tradition, creation of a state and then a world's state without the so called Democratic system"
'অর্থাৎ আমরা আমাদের বর্ণভেদ ব্যবস্থার আস্থায় তোমাদের তথাকথিত গণতন্ত্রের বিশ্বাসকে হটিয়ে নতুন পৃথিবী গড়ার শপথ নিচ্ছি। এটাই আমাদের লক্ষ্য।'

সত্য পরিচয়


===
জানলা দরজা বানাতে গেলে
  আগে দেওয়াল বানাতে হয়

বোকার হদ্দ তুমি!

জানলাকে বলো - আকাশ
দরজাকে বলো - মুক্তি


===
চিড় ধরা দেওয়াল থেকে বাঁচায়
    আকাশ, খোলা মাঠ, নদীর জল

দৃষ্টি

সন্ন্যাসী সব ত্যাগ করল
শুধু ত্যাগ করল না তার ত্যাগের স্মৃতি

ভোর থেকে সন্ধ্যে সে তার ত্যাগের সমতুল বস্তু খুঁজে বেড়ায়। পায় না।

ঈশ্বরকেও তুচ্ছ মনে হয়। সে তো জগৎভোগী!

সন্ন্যাসী তাকালে ভস্ম হয়
  জীবজন্তু গাছপালা, এমনকি মানুষও

আত্মহনন আর না

(বড্ড বেশি বাড়ছে আত্মহত্যা। সব আত্মহত্যা ঠেকানো সম্ভব কি না জানি না। তবু বহুলাংশে সম্ভব হয়ত। একটু শুনতে চাওয়া। নিজের সাধ্যমত।)


সমাজ মানে তো সহস্রহাত
  হাত বাড়ালে একটা না একটা হাতে ঠেকবেই

শরৎ অভিসার

কাশ বর্ষাকে দেখে ইতস্তত করল খানিক
বর্ষা বলল, আমার হল যাওয়ার দেরি, তুমি এসো

কাশ দ্বিধা ভরে আকাশের দিকে চাইল
সেখানে কালো মেঘের ঘনঘটা
দীঘির জলের দিকে চাইল
সেখানেও কালো মেঘের ছায়া

কাশের মুখ হল ম্লান।
তবে কি শরতের সাথে হবে না মিলন?
  ব্যর্থ হবে এবারের আসা?

মূর্তিগুলো

এই মূর্তিগুলো দুদিন আগেই মণ্ডপ আলো করেছিল। মন্ত্র, স্তব, আরতি, ভোগ, মালা, চন্দন, ভক্তি - সব এই মূর্তি কেন্দ্র করেই (অশালীন আচরণ ভক্তির নামেও প্রবল, সে না হয় অপসংস্কৃতি। তা তো শাস্ত্রে লেখা ছিল না।)
        আজ সেগুলো সার দিয়ে গঙ্গার তীরে রাখা। মাটির সাথে মিশে যাবে, বৃষ্টির জলে ধুয়ে। তবে কি হিন্দু মূর্তিপূজক? পৌত্তলিক? তবে এরা এত অনাদরে অবহেলায় কেন?

Subscribe to