বুদবুদ
পরিচয়
কিছু পরিচিত মানুষ ছিল
নাগালের বাইরে তারা আজ
নাগালের মধ্যে যারা
রক্তের পরিচয়ে অপরিচিত
তবু কোথায় যেন চির-পরিচিতের সাজ
প্রার্থনা শুধু এই
প্রার্থনা শুধু এই
সজনে বিজনে
আঁধারে আলোতে
সম্পদে বিপদে
নিন্দা খ্যাতিতে
সত্যভ্রষ্ট যেন না হই
বন্ধুতা
আমার সাথে ভাব করবি মেঘ?
আমি যুগযুগান্ত এখানেই ঠাঁয় দাঁড়িয়ে
সময়ের দাঁড়ি।
তোমায় দেখি খোলা আকাশটার বুকে কেমন রঙ পাল্টিয়ে পাল্টিয়ে খেলো
জানো কতবার ভিজে গেছি তোমার ঢালা জলে
গর্বে বুক ফুলেছে। সবাইকে ডেকে বলেছি দেখ, ওই আকাশের জল আমারও সারা গায়ে!
পরেরদিনই সব জল শুষে নিয়েছে ওই আকাশের সূর্য, আমার যেন অধিকার নেই আকাশের জলে ভিজে থাকার!
মিথ্যার মত সত্যি কথা
ছেলেটা একলা হাঁটল অনেক দূর
মেঘের সাথে দেখা হল। সে বলল, যাবি?
ছেলেটা বলল, চল
মেঘের সাথে এক যুগান্ত হেঁটে এল
নদী বলল, যাবি?
ছেলেটা বলল, যাব
নদীর সাথে এক সমুদ্র বেড়িয়ে এল
এভাবে সে এক জঙ্গল হাঁটল গাছের সাথে
এক তেপান্তর হাঁটল দিগন্তের সাথে
এক স্বর্গ হাঁটল দেবতার সাথে
এক নরক হাঁটল অসুরের সাথে
শিক্ষার দোষ
দিলীপকুমার ও সায়রা বানু
মমি
হাত বাড়ালে
স্পর্শ দিও
শর্ত দিও না
অনেক হাত
শর্ত নিয়ে
থমকে আছে
মমির মত
সবার উপরে মানুষ সত্য
মানুষ মানুষের চাইতে অতিরিক্ত বেশি কিছু চায়। অতিমানবিক ক্ষমতা চায়, অতিমানবিক ঈশ্বর চায়, অতিমানবিক দর্শন চায়। কিন্তু সে সবই তার বিকারের চাওয়া। কথামৃতে একটা গল্প আছে, একজন বিকারের রুগী ঘরে শুয়ে শুয়ে বলছে, “ওরে আমি এক জালা জল খাব রে, ওরে আমি বিশমণ চালের ভাত খাব রে।“ বদ্যি বাইরে দাওয়ায় হুঁকো খেতে খেতে বলছেন, “ওরে খাবি খাবি, আগে জ্বরটা সারুক।“
যে হাতদুটো
যে হাতদুটো প্রবল উৎসাহে জানলার কপাট দিত
দরজায় খিল দিত
এখন তার জানলা দরজার আগল খুলতেই মুক্তির স্বাদ
সিঁথির সিঁদুরের দাগ কাঁপা
দ্বিধায়
সাতপাকের সুতোয় ঘিরছে ফাঁসের ঘের