Skip to main content

ওরা

সত্যি বলতে আমি জানতাম না। আমার কোনো ধারণাই ছিল না। জিজ্ঞাসা করলাম, সকালে কি করো?

আম্বেদকরজী

ডিসেম্বরের 9 তারিখ, 1946, বি আর আম্বেদকরজী একটা বক্তব্য রাখেন আসন্ন গণতন্ত্রের আনুষ্ঠানিক সূচনার উপর। তা পড়তে পড়তে বেশ কিছু জায়গায় চমকে উঠতে হল। মনে হল প্রতিটা কথা কি সাংঘাতিক রকম প্রাসঙ্গিক আজও। অতবড় ভাষণটা তো আর দেওয়া যায় না, তার কিছু কিছু অংশ, যা আমাকে ভাবালো, তা তুলে দিলাম আম্বেদকরজীর ভাষাতেই।

কালের যাত্রার ধ্বনি

কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজে যখন রুগীকে নিয়ে যাওয়া হল, তখন তিনি অচৈতন্য। সেরিব্রাল অ্যাটাক। বয়েস ৪৬। প্রাথমিক কিছু পরীক্ষার পর চিকিৎসক বললেন, “এখানে কোনো নিউরোর ডাক্তার নেই, আপনারা কলকাতায় নিয়ে যান, নইলে ওনার যা অবস্থা উনি বাঁচবেন না।" বাঁচলেনও না। কলকাতায় যাওয়ার যাত্রা শুরু হতে না হতেই জীবনযাত্রার অন্তিম অধ্যায় অ্যাম্বুলেন্সেই সমাধা হল।

অতীন্দ্রিয়বাদ-রোম্যান্টিসিজম-ধম্মকম্ম

রোম্যান্টিসিজম এ যদি একটা ক্ষতির আশঙ্কা না থাকত তবে শব্দটা মাহাত্ম্য হারাতো। ভয়কে জয় করে নিজের আবেগ, ভালোবাসাতে প্রতিষ্ঠিত হতে চাওয়ার প্রয়াস অথবা সাধনার ভিত্তিই এই রোম্যান্টিসিজম। নতুনকে নতুন ভাবে দেখতে শুধু রুচি লাগে না, সাহস লাগে, আত্মবিশ্বাস লাগে। প্রথা ভেঙে নতুন পথের ভগীরথ হতে শুধু বিচক্ষণতা লাগে না, ধৈর্য্য, অধ্যবসায় আর প্রাণের তীব্র আকাঙ্ক্ষা লাগে। প্রাথমিকভাবে চারপাশের চূড়ান্ত বিরোধিতা আ

মধ্যরাতের প্রমোদাগার

অপু দিদির সাথে কাশের বনে ছুটেছিল। শরতের সেই দৃশ্যই হয়ত বা বাঙালীর মনে শেষ ডক্যুমেন্টেড শরতের দৃশ্য তার আগে পরে আরো ছিল আর হবেও বা। কিন্তু সেই দৃশ্যটাই আমাদের শরতের সিগনেচার টিউন।

ট্যু গণ্ডগোলস


"Reformation of society in line with 'BARANASHRAMIC (বর্ণাশ্রমিক)' tradition, creation of a state and then a world's state without the so called Democratic system"
'অর্থাৎ আমরা আমাদের বর্ণভেদ ব্যবস্থার আস্থায় তোমাদের তথাকথিত গণতন্ত্রের বিশ্বাসকে হটিয়ে নতুন পৃথিবী গড়ার শপথ নিচ্ছি। এটাই আমাদের লক্ষ্য।'

সমস্যার সমস্যা

আদৌ কোনটা সমস্যা আর কোনটা সমস্যা না, সেটা বোঝাই একটা জটিল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোনটা তৈরি করা হয়েছে আর কোনটা নিজে থেকেই একটা সমস্যার রূপ নিয়েছে সেটা বড্ড গোলমেলে ব্যাপার। যেমন রোহিঙ্গা সমস্যাটা কিছুটা তৈরি করা আর বাকিটা ঐতিহাসিক জটিলতা। জল ঘোলা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মহল যতটা উদ্বিগ্ন হওয়া দরকার তা হয়ে উঠছে না। এ ওকে, সে তাকে দোষারোপ, চাপসৃষ্টি ইত্যাদিতেই সীমাবদ্ধ থেকে যাচ্ছে। এমনকি যথেষ্ট পরিমাণ

ধর্ম-সত্য-বিজ্ঞান

বর্তমানে কর্পোরেট গুরুমহলে সদগুরুর নামটা বহুল পরিচিত। জাগ্‌গি বাসুদেব। তার দাবী তিনি আলোকপ্রাপ্ত পুরুষ। তিনি মানবকল্যাণে নিয়োজিত। সে কল্যাণে বহুল অর্থ-বিত্ত-নেতা ইত্যাদির যোগ। একজন বরিষ্ঠ সাংবাদিক তাকে রামরহিম, আশারাম ইত্যাদি ধর্মগুরুদের বিষয়ে মতামত জিজ্ঞাসা করেন। তিনি উত্তর করেন, তাদের আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি না, মিডিয়ায় আমার বিশ্বাস নেই, আমি নিজের অনুভবের বাইরে কিছু বলি না, আর দেশের আইনের পথে

মাটি না ধূমকেতু?

মানুষের চাহিদার শেষ নেই। ধন,মান,যশ ইত্যাদি ইত্যাদি। কত কত মহাপুরুষেরা সাবধান করে গেলেন যুগ যুগ ধরে, 'ওরে অত চাস নে, চাস নে', তা কে শোনে কার কথা! আমিও শুনিনা, তুমিও শোনো না, রাম শ্যাম যদু মধু কেহই শোনে না।

নীল তিমির গ্রাস

"All happy families are alike; each unhappy family is unhappy in its own way"

        'Anna Karenina' র বিখ্যাত প্রথম লাইন। আমার কথাটা মাথায় এলো 'নীল তিমি' খেলার প্রসঙ্গে। তবে কি নিঃসঙ্গতাই এর কারণ? নিঃসঙ্গতার কারণ অনেক হতে পারে।

Subscribe to প্রবন্ধ