Skip to main content

fact আর value


গীতায় বলা হল হৃদয়ের দুর্বলতা ছেড়ে দাঁড়াও। আবার বলা হল হৃদয়ের মধ্যেই ঈশ্বরের অবস্থান। প্রথম কথাটা ব্যাসদেব প্রথমেই বললেন কৃষ্ণের বয়ানে। দ্বিতীয়টা একদম শেষে, সেও কৃষ্ণের বয়ানে।


    এখন কথা হল একই হৃদয় দুর্বল আবার ঈশ্বরের অবস্থানে সবল হয় কি করে? তবে কি আমাদের দুটো করে হৃদয় আছে?

প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

এমন মানুষের সামনে তো আমাদের বসতেই হয় যে মানুষটা হয় তো আর কয়েক মাস পরে মারা যাবে। ডাক্তার বলে দিয়েছেন। যে মানুষটা মারা যাবে সে অনেক সময় স্পষ্টভাবে জানে, অনেক সময় আন্দাজে জানে। বেশির ভাগ সময়েই সে তথ্যে জানে না, কিন্তু অনুভবে জানে, সে আর থাকবে না। আমি দেখা করতে গেছি, যেমন আপনারাও কখনও না কখনও দেখা করতে গেছেন, 'অন্য কথা' খোঁজার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। 'স্বাভাবিক আচরণ' করার আ

সত্য কি?

জগৎ সংসারটা আমার বুদ্ধি-বোধের ক্যানভাসে? না আমার বুদ্ধি-বোধ জগৎ সংসারের ক্যানভাসে?

অনুভব না জন্মালে

মানুষ মানেই ভয়। 'সাহস' ঠিক ভয়ের বিপরীত শব্দ নয়। সাহস হল ভয়কে প্রতিরোধ করার শব্দ। বা আরো সাদা ভাষায় ভয়ের সঙ্গে যোঝার শব্দ। 'অভয়' শব্দটা ভয়হীনতা, সে সবার আসে না। সক্রেটিস, ব্রুনো, চৈতন্য, খ্রীষ্ট, স্পিনোজা, গ্যালিলিও প্রমুখ যেসব বিখ্যাত মানুষদের কথা ইতিহাসে শোনা যায়, যারা নিজেদের জীবন বিপন্ন করে হলেও একটা আদর্শকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন। তাদের নিয়ে কথা নয়। ভয় হয় তো তা

স্বেচ্ছা আত্ম-অবমাননা

মানুষ দুঃখ থেকে ত্রাণ চায়। সে কোন দুঃখ? খিদের দুঃখ, পরাধীনতার দুঃখ, অপমানের দুঃখ।

পরিচর্যা

দিল্লী থেকে ফিরছি, ট্রেনে খুব অসুস্থ হয়ে পড়লাম। বেড়াতে গিয়েছিলাম বন্ধুরা সবাই, সঙ্গে কয়েকজন বন্ধুর পরিবারের লোকেরাও ছিলেন। দুরন্ত এক্সপ্রেস। থামার জায়গা কম। বন্ধুরা বেশ একটু উদ্বিগ্ন, কি হবে আমার এই নিয়ে। যা হোক রাতের দিকে সুস্থ হতে শুরু করলাম।

শূন্য করিয়া রাখ তোর বাঁশি

ভাগবত একটা কথা বলে বসলেন, দেখো, এই যে মাটি, এই যে মাটিকে শুকিয়ে তুমি নানা বাসন বানাও, কাউকে বলো থালা, কাউকে বলো ঘটি, কাউকে গ্লাস, আদতে তো সব মাটি, তাই তো? এখন যদি বলো মাটি সত্য না বাসনগুলো সত্য? আমি বলি কি, তুমি সব কিছুকে মাটি বলে খেলাটাকে মাটি করে দিও না, মাটি যে যে রূপ ধারণ করেছে, সেই সেই রূপে না হয় ডাকলে তাকে। সেই হোক বাস্তব। 

সম্ভাষণ

যখন ছোটোবেলায় মামাবাড়ি যেতুম, মানে উড়িষ্যায়, আমার মামারা প্রবাসী বাঙালি, সেখানে রাস্তায় কারোর সঙ্গে দেখা হলেই, হয় "জুহার আঁগিয়া" বা "রাম রাম" এরকম কোনো একটা সম্ভাষণ আসত। বড়দের মধ্যেই অবশ্য। এর পর ভারতের নানা জায়গায় দেখেছি দেখা হলেই প্রথমে হয় "রাম রাম" নয় "রাধে রাধে" ইত্যাদি বলে সম্ভাষণের একটা প্রচলন আছে। 

অনুভবটা বাস্তব

অন্ধকারে ভূত কল্পনা করে যেমন ভয় হয়,তেমনই এ বিশ্বসংসারের একজন চালক আছে কল্পনা করে ভক্তি হয়। 

    মজা হল, কল্পনাটা কল্পনাই, কিন্তু অনুভবটা তো বাস্তব। তাই অনুভবটা বাস্তব বলে মানুষ এরপর কল্পনাটাকেও বাস্তব বলে ভ্রমে পড়ে। ফলে ভগবান আর ভূত দুই-ই সত্যি হয়ে দাঁড়ায়। 

জীবনশৈলী

একটা সময় ছিল কুঁজো, ওয়াটার বোতল নিয়ে ট্রেনে উঠতাম। স্টেশান এলেই দৌড়ে গিয়ে জলের বোতল ভরে নিতে হত। বা অনেকক্ষণ ট্রেন থামার থাকলে কুঁজো নিয়েও দৌড়াতে হত। এ স্মৃতি অনেকেরই থাকবে। 

    একটা সময় ছিল যখন চাপাকলের জল ভারী এসে ড্রামে ঢেলে দিয়ে যেত। সেই ছিল কলের জল, রান্নার জল। 

Subscribe to প্রবন্ধ