Skip to main content

ফিরতে চাইব না

চোখ বন্ধ করলে
একটা পাহাড়ি পাখি 
ডেকেই চলেছে মাথার মধ্যে
কুয়াশা কুয়াশা
সবুজ একটা গ্রাম
নির্জনতা 

এই রাস্তাঘাট, ঘর, ছাদ
দরজা, জানলা
রান্নাঘর, বাথরুম
মোবাইল, ল্যাপটপ রেখে
বাইরে কোথাও
যেখানে আত্মপরিচয়
ক্ষয়িষ্ণু যাযাবর 

মন্থন

মানুষ আগুনকে জেনেছে
         রান্না করেছে 
            ঘর গ্রাম জ্বালিয়েছে

মানুষ বুদ্ধিকে জেনেছে
          সত্যকে পেয়েছে
              মিথ্যাকে জানিয়েছে যুক্তিতে

স্লেটে

সব কিছু গুনে দেখতে চাইলে
কড় শেষ হল। খাতা শেষ হল। 

গোনার ইচ্ছা শেষ হল কই? 

একদিন সব গোনাগুনতি 
শেষ হয়ে যাবে
       দেখবে
যে গুনছে
    তাকে কোনো গুনতির মধ্যেই 
           ফেলতে পারলে না

হয় তো বা তুমিও চেনো

সারাদিন মানুষটা যা বলে
    বিশ্বাস করে না
একটা বাক্য তিনবার বলে
    "ভীষণ ভালো"
       "ভীষণ ভালো"
          "ভীষণ ভালো"
বিশ্বাস করে না
    তিনবার কেন
      মানুষটা জানে 

এই সই

তুমি নও
আমিও নই

যাদের খুঁজতে এসেছিলাম,
তাদের লুকিয়ে
এই যে আমরা রোজ বাঁচছি মুখোমুখি 

এই তো প্রথম নয়

এই তো প্রথম নয়
সব জানলা দরজা বন্ধ করে কেউ বলল
    এই আলো। এই সুখ। এই নির্ভুল ব্যবস্থাপনা। 

এই তো প্রথম নয়
প্রাণের বিনিময়ের শর্ত হল স্বাধীনতা
    কিম্বা পরাধীনতার বিনিময়ে জীবন 

এই তো প্রথম নয়
জরায়ুর থেকে বিচ্ছিন্ন হল 
    হৃদয়, শুভবোধ, আত্মসম্মান

দখল


====
দখল চাইছি
    তোমার 


    চলে যাও

মুক্ত করো নিজেকে
        বাঁচাও আমায়



====
সমস্ত দখল করে বসে আছি
       এত ভালোবাসা আমার 



====
একদিন সব দখল ছেড়ে দেব
    একদিন আর দখলকে বলব না ভালোবাসা

তোমায়

ধরো ঘটেই গেল পরজন্ম
সময় এসে দাঁড়ালো ফর্দ হাতে

রবি ঠাকুর ও লোকনাথ সংবাদ

কহিলেন লোকনাথ
     রবি ঠাকুরেরে
তোমাতে আমাতে মিল
    বেশ দেখি যে হে
তিরোধান দিবস স্মরি
     বাঙালির প্রাণ
কিবা যোগে করে সবে উৎসব মহান

Subscribe to কবিতা