Skip to main content

আবদার

কথা বলার দরকার নেই
একটু বসতে তো পারিস
ভাল লাগে তো সব কিছু তা হলেই
ঝুল নোংরা লাগে না
ধূলোতে অসুবিধা লাগে না
আঁচের ধোঁয়ায় চোখ তো জ্বলে, রাগ হয় না
শুধু তুই পাশে বসলেই

নিজের জন্য

সারাদিনে অন্তত একটা জানলা নিজের জন্য খুলো
যে আকাশটা দেখতে চেয়েছিলে, পুরোটা না হোক তার খন্ডাংশই দেখো
সে জানলা দিয়ে একটু বাতাস আসুক
আর আসুক কিছুটা আলো

কিছু ধুলো আসুক না হয় ঝরাপাতা নিয়ে
কিছু অবসর হঠাৎ আসুক
বুকের ভিতর অচেনা পথ দিয়ে

জেনে গেছে?

রাস্তার ধারে চাদরে ঢাকা একটা আস্ত মানুষ
ঘুমাচ্ছে
একটা কুকুর শুঁকে দেখে গেল, বেঁচে আছে!
একটা মানুষ (ভাল পোশাক পরা) লাথি মেরে বলল, বেঁচে আছে শালা!
কিছুটা দূরে কল থেকে, ভাঙা কানা উঁচু থালায় জল ভরে তার বাচ্চা মেয়ে
কয়েকটা যমদূতের মত গাড়ি ডিঙিয়ে লোকটার পাশে এসে বলল, বাবা ছাতু মাখ্

কে তুমি?

একটা হারানো বিকাল আমার ছাদে এসে দাঁড়াল
একটা কাক আর একটা বুনোফুলের গন্ধ নিয়ে
আমার সামনে দাঁড়িয়েই থাকল
নাছোড়বান্দা সেলসম্যানের মত
যতক্ষণ না পুরোনো, রঙ চটা, জং ধরা তালাটা খুললাম

আমার বন্ধুরা


আমার বন্ধুরা মাথা ঘামায় না
আমি কি পারি তা নিয়ে
তারা জানে, জানে শুধু না
হাড়ে মজ্জায় জানে, আমি কি কি পারি না
সেগুলোকে তারা এমন ভাবে ঢেকে রাখে,
যেন আমিই পৃথিবীর সবচেয়ে নিখুঁত মানুষটা
অথচ আমি জানি, বেশ জানি
ওদের মত হাড়ে মজ্জায় শুধু না
শিরায় ধমনীতে জানি
ওরা না থাকলে আমি জীবনে অনেকগুলো
সূর্যোদয়ই দেখতে পেতাম না

শপথ

শপথ করবে যদি করো
কোনো বইয়ে হাত রেখে না
কোন গত মানুষের নামে না
এমনকি ঈশ্বরের নামেও না
শপথ কর নিজের বুকে হাত রেখে
যেখানে হাত রাখলে সমুদ্রের গর্জন শোনা যায়
যেখানে হাত রাখলে আগ্নেয়গিরির উত্তাপ পাওয়া যায়
যেখানে হাত রাখলে ঝড়ের বাতাস ছোঁয়া যায়

বুকের ওপর রাখো হাত
আর বলো তোমার শপথবাক্য
যে বাক্যের মরণ আবীরে রাঙা হয় জীবনের মুখ, পরমানন্দে

নোঙর খুলে

জীবনটাকে পুকুর ভেবে ঝাঁপ দিয়েছিলাম
ঝাঁপ দিয়ে বুঝলাম, কি ভুল করেছিলাম
এ যে বর্ষার উত্তাল সমুদ্র
যাতে সুখের নোঙর ফেলতে চেয়েছিলাম
সে নোঙরে একা আমিই গেলাম আটকে
বুঝতে পারিনি
ঢেউ এর পরে ঢেউ এর চাবুক খেয়েছি শুধু
ভাসিনি

এখন আর নোঙর ফেলি? - পাগল!

সাঁতার শিখে গেছি
তাই নোঙরও লাগে না, হাল-পালও লাগে না,

তিনটি কবিতা


==
অনেক কিছু বদলে গেছে
কিছুটা পাল্টেছি আমি
কিছুটা পাল্টেছো তুমি
আর কিছুটা পাল্টেছে সময়



==
গাছের শিকড় কি বুঝতে পারে
কখন বসন্ত এলো?
সে জানে বর্ষাকে
যখন সে পায় মাটির সোঁদা গন্ধ তার সারা গায়ে

ঘুমায় নি এখনো


আমার কান্নাগুলো এখনো জেগে আছে
ওরা ঘুমায় নি
কাছে গেলেই আমার কাঁধে হাত রেখে
জিজ্ঞাসা করে, কিছু বলবে?
আমি বলতে তো চাই অনেক কিছু
একটু হাসার চেষ্টা করি ওদের মুখের দিকে তাকিয়ে
তবু চোখ গড়িয়ে নামে জল, ঠোঁটের হাসি ছুঁয়েই
ওরা বলে, আবার এসো, আমরা আছি চিরকাল, ভয় নেই আমরা ঘুমাবো না
সবাই ফিরে গেলে এসো কাছে
তুমি ক্লান্ত হয়ে শুয়ো আমাদের ঘেঁষে

দিও না

ওরা কাড়তে চাইছে
ছিনিয়ে নিতে চাইছে
সরিয়ে দিতে চাইছে

তুমি কি দেবে, ওদের-
কেড়ে নিতে?
ছিনিয়ে নিতে?
সরে যেতে?

Subscribe to কবিতা