কবিতা

একটানা বৃষ্টির আওয়াজ
বাইরের দরজায় খিল দিয়ে
মন মেঝেতে অ্যালবাম ছড়িয়ে বসে,
হাসে, কাঁদে, উদাস হয় আনমনে।

বৃষ্টি তার সব কথাই জানে।
ছাদের উপর
পাতার উপর
টুপ টাপ যেই পড়ে
সে যেন তার ছোটবেলার হাত, আনে
বুড়োবেলায় খেলতে যাওয়ার ডাক,
অবশ্যই মনে মনে।

মনকে বলেছি, ভেবো না
চোখকে বলেছি, চেয়ো না
হৃদয়কে বলেছি, শান্ত হও

সময়কে বলেছি, বয়ে চলো
বৃষ্টিকে বলেছি, ঝরে চলো
রক্তকে বলেছি, ছুটে চলো

ওরা শুনেছে হয় তো

আমি শুনেছি কি ?

এখানে খুব বৃষ্টি হচ্ছে জানো
তোমার ওখানে?

তোমার সাথে বৃষ্টিতে ভিজেছি
                      সারা সকাল
            তোমায় না বলে।

ঘুরে ফিরি
    তোমার মুখের দিকে চাই
তুমিও চাও
বুঝি, তুমি চেয়েই থাকো -
তা জেনে
    প্রাণে নিবিড় শান্তি খুঁজে পাই।

আবার ফিরি সংসারেতে
আবার কাজে জড়াই
ভয় নেই তো
পড়ি যদি, ধরবে তো গো-
তোমার দু'হাত বই 
    আমার, আর যে কিছু নাই।

আমার সাথে ফিরো না
কি হবে হেঁটে?
আমি তো বাজারে যাব না।
আমার কেনার মত কিছু নেই,
পাওয়ার মত একটা কিছু আছে অবশ্য,
                          নিজেকে।

শুধু বাইরে না,
হারায় মানুষ ভিতরেও।

খুঁজবে কি করে?
সে ভাবেই খোঁজো,
যে ভাবে খোঁজো বাইরে,
আলো জ্বেলে।

আলো জ্বালবে কি করে?
বিশ্বাসে।

যুক্তির নুড়ি
বিশ্বাসের আকাশকে ছোঁয় না।

প্রতিটা সমস্যার নীচে
ছোট্ট করে লিখে রাখি
                   PTO
প্রতিটা ভালো মুহুর্তের নীচে
বড় করে লিখে রাখি
                   PTO
পাতা উল্টে চলি,

ক্ষোভ এই জন্য না, যে পাইনি
পেয়েছি যোগ্যতার চেয়ে অনেক বেশি।

ক্ষোভ এই জন্য যে, দিতে পারিনি
                 যতটা দিতে চেয়েছিলাম।
আমার ছোট হাতে যতটুকু কুলিয়েছে
তা তোমার মান রাখেনি 
ছুঁতে পারেনি তোমার তৃপ্তির সব চাইতে নীচের রেখাটাও।

ঘুম থেকে উঠে রোজ গ্রীলের পাশে আসেন।
ভোরের আকাশ তখন সূর্যোদয়ের অভ্যর্থনায় ব্যস্ত।
তিনি মনে মনে বলেন, আমিও আছি।

তোমায় কিছু বলার নেই আমার
কোনো অঙ্গীকার করানোর নেই
কোনো অভিমান, কোনো অভিযোগ নেই

সব বোঝো তুমি
সব জানো।