Skip to main content

বিজ্ঞাপিত প্রেম

তুমি রক্তাক্ত পায়ে এলে
এসেই বললে-
  দেখো, তোমার জন্য

নিজেকে নিয়ে একা

যারা যারা, যা যা
     খুঁজতে এসেছিল
      চাইতে এসেছিল
        দেখতে এসেছিল

প্রশ্ন

প্রশ্ন করতে বারণ কোরো না
   হারিয়ে যাবে

যেমন হারিয়ে গেছে
   অনেক দেবতা
    অনেক ধর্ম
    সমাজের অনেক
       তথাকথিত অভিভাবক

প্রশ্ন শুনতে ভয় পেয়ো না
 মিলিয়ে যাবে অস্তিত্বের সংকটে

স্বীকারোক্তি

তখন অল্প পরিচয়
  অন্ধকারই বেশি, খুব স্বল্প আলো
তোমাকে লাগল ভাল
আলোতে ছায়াতে মিশে
  তোমার যে মূর্তি মনে আঁকলাম
বুঝিনি তো যে
 তাতে সত্যের চেয়ে কল্পনা আছে বেশি
  যা দেখি তা নয় ঠিক
সত্য ঢেকেছে মাধুরী ছদ্মবেশে

নাম কথা

জবা টগর রজনীগন্ধা ইত্যাদি
     মাত্র কয়েকটা ফুলই চিনি
   দেখেছি হয় তো আরো অনেক রকম ফুল।
  নাম জানি না।
    তাতে কি আর এসে যায় বলো?
          ফুল তো ফুলই।
        যেমন তোমার কথা।

তুচ্ছ

ধানের খোসা ছাড়িয়ে চাল পুঁতলে মাটিতে
        গাছ হবে নাকি চালেই
খোসাটা অপ্রয়োজনীয় ভীষণ - অতিরিক্ত!

গাছ হল না।

 রাগে ফেটে পড়লে ধূর্ত মাটির উপর
      অকৃতজ্ঞ হল চাল

আপন

রঙ তো কতই আছে
সে রঙই তোমার মনে ধরে
      যে রঙ তোমার চোখের কোণায়

কথা তো কতই আছে
সে কথাই তোমার মনে বেঁধে
     যে কথা তোমার বুকের তলায়

সুর তো কতই আছে
সে সুরই তোমায় কাঁদিয়ে ছাড়ে
    যে সুর তোমার গভীর ব্যথায়

যেন পাশাপাশি

সবাই পাশাপাশি আছি
যে যার গন্তব্যের অপেক্ষায়
   গন্তব্য আসেনি এখনো, অপেক্ষাতে আছি
     তাই পাশাপাশি আছি
         একসাথে চলার মত যাচ্ছি
    সবাই তবু অপেক্ষাতেই আছি
       সবাই যেন পাশাপাশিই আছি

তবু মন প্রসন্ন থাক

মনকে প্রসন্ন রেখো
    সে যে ভাবেই হোক
ঈশ্বর তোমার পাড়ায় থাকুন
             চাই না থাকুন
  মনকে প্রসন্ন রেখো
মনের সাথে চিরকালীন বাস
   মনের মধ্যে তাই না থাক দীর্ঘশ্বাস
মনে করো না, ঈশ্বর গেছেন বেড়াতে
 গেছেন তীর্থে - পুরী কিম্বা জেরুজালেম অথবা মক্কাতে

অবুঝ

শরীরে মনে আগুন জ্বাললে প্রবল ক্ষুধায়
    আত্মত্যাগের অনল শিখা দীপ পেল না
ভিক্ষাপাত্র সম্বল করে পথে নামলে
     প্রেমকে বুকে শ্বেতশুভ্র আসন দিলে না

Subscribe to কবিতা