Skip to main content

তবু এলো তো

আমার আজ ভীষণ বিষণ্ণতা
     তোমার জন্য।

মুক্তপথ

বিশ্বাস আমার ব্যক্তিগত
     গোপনীয় নয়

উপলব্ধি আমার বোধগত
     কুক্ষিগত নয়

প্রেম আমার চিত্তগত
     আত্মগত নয়

দু'পা

দু'পা পাশেই তো চলতে চেয়েছিলাম
পা দাপিয়ে ধূলো উড়ালে কেন?

তোমার না হয় অনেক দূরের পথ
রাস্তা বাঁকা অনেক চড়াই উতরাই
তবু মাঝপথেতে বসে পড়লে কেন?

রাস্তা আমার খানিক দূর যাক
তোমার সাথে তোমার পাশে থেকে
তারপরেতে যেখানে নেবে বাঁক
আপনি গতি ফিরিয়ে নেব বেঁকে

চলা

মনের কিছু খবর রাখি
   আমার কিছু খবর রাখে মন
বেশির ভাগটাই অন্ধকারের ভাগে

মকরন্দ


---
ফুলের বুকে মকরন্দ
আমার বুকে তুমি
একলা রাখতে সাহস পাই না
তাই দোসর অন্তর্যামী!


---
আয়নাও তোমার সামনে ভয়ে ভয়ে দাঁড়ায়
তুমি সরে গেলে
ওর বুকের থেকে চিরবাঞ্ছিত তোমার ছায়াও মিলায়

অনর্থক

আকাশ ভরতি তারা
  আমি বিস্তীর্ণ নির্জনতায় একা বসে
চারদিক নিঝুম অন্ধকার
   পাহাড়ের অস্পষ্ট চূড়ারা নিশ্চুপ
জীবনের অর্থ কি?
   এর কোনো উত্তর পাইনি এখনো
 কোনো ধর্ম, কোনো দর্শন না
    কেউ দিতে পারেনি সে উত্তরটা
      যে উত্তরটা শুনে মন বলবে, হ্যাঁ

কাঁটা

বাঁধাবাঁধি, গোছগাছ সব সারা হয়ে গিয়েছিল। তার ফিরতে হবে ঘরের দিকে।

ফেরার পথে পায়ে ফুটেছিল কাঁটা
 সে মাথা নীচু করে কাঁটাটা বার করছিল যখন
  আচমকাই ছড়িয়ে পড়ল সব মাটিতে তখন
   কি করে?
জানি না। হয় তো আলগা ছিল বাঁধন।
   আর ফেরা গেল না। ফিরে এল।

উপেক্ষা

উপেক্ষার জবাব দিতে জানত
   দিতও হয় তো
দিল না,
   উপেক্ষাকে উপেক্ষা করার মত ঔদাসীন্য ওর পায়ের নখে এখন
তাই চলতে ফিরতে ওর চোখের মণিতে এখন লক্ষ নক্ষত্রের বাস
     ও নিজেই নিজের উত্তর দক্ষিণ
          নিজেই নিজের কম্পাস

 

অস্পষ্ট অন্ধকার

কি সাবলীল বাচনভঙ্গি তোমার
  অথচ কি বিষ পরতে পরতে
যেন কতদিনের জমানো অবসাদ
      ভুল ভুল ভুল

ওরা বোঝে না

কেউ বলেনি আমায় তোমার কাছে নিয়ে যাবে
আমি তবু নিশ্চিন্তে খেয়া পারাপারের ঘাটে বসে আছি

কেউ বলেনি তুমি আমার অপেক্ষায় পথ চেয়ে আছো
আমি তবু কয়েকটা করবী ফুল একটা কচু পাতায় মুঠো করে নিয়েছি
               তোমার জন্য

Subscribe to কবিতা