Skip to main content

স্মৃতির উড়ো বালি

 জলের নীচে বুদবুদ
একটা দুটো তিনটে

তাতে প্রতিচ্ছবি
এর ওর তার

উপরে উঠে ফেটে যাবে
হাওয়ার সাথে মিলিয়ে যাবে

কিছু গাছ, কিছু ফুল, কিছু কথা
মাটির উপরে রোদ বসে পোয়াবে

তুমি ওদের গল্প শুনে বুঝবে
ওরা ওই বুদবুদের গল্প বলছে

তুমি চিনতে পারবে
বলতে পারবে না

ওরা বুদবুদ না এখন
ওরা মিলিয়ে যাওয়া হাওয়া

একাকিত্ব

 একা ঘরে একাকিত্বের এক্কা দোক্কা
     পর্দা উড়ছে
   আলোতে ছায়াতে সোহাগ চলছে খাটে
 পরিপাটি করা বিছানার চাদর
    হাত বুলিয়েছে কে কবে?
 দেওয়ালের আছে কান
       চোখ তো নেই,
     তার স্পর্শটুকু ইঁটেতে রেখেছে ঢেকে

তৃষাগ্নি

খুব জ্বর তোমার
  পুড়ে যাচ্ছে শরীর ভিতর তল
থার্মোমিটারে পারা উঠছে না দেখো
  পায়ে পায়ে ঘনিয়েছে রসাতল

তবু কি হাঁটবে?
   তবু থামবে না জানি
তারা খসাতেই সার্থকতার খোঁজ
        পথ টানছে নাবাল ভূমি

জীবন

জীবন মানে নদী?
নাকি একটা ঘূর্ণিপাক?
গড়গড়িয়ে ছুটছি?
নাকি বোঁ বোঁ চর্কিপাক?
আশা মানে সামনে?
নাকি পিছন টেনে আগে?
হতাশ মানে ব্যর্থ?
নাকি 'সত্যি' গেছে জেগে?
আকাশ সে কি অসীম?
নাকি শেষ না হয়ে থমকে?
প্রেম মানে কি সুখ?
নাকি খানিক গরম কলকে?
কার মানে কি করবে
সেটা মনের উপর দাঁড়িয়ে
সব কি বোঝা যায় রে?

আকাশের মত

চেকচেক লুঙ্গিটা হাঁটুর উপর তোলা
    দুটো বিস্তীর্ণ ক্ষেতের মাঝে যে বাঁকাপথ
সেখানে সাইকেলে পিঠ দিয়ে দাঁড়িয়ে

ভোর

আমার কেন জানি মনে হয়
    বারবার মনে হয়, খুব মনে হয়
বিশেষ করে রাতে শুতে গেলে
    অন্ধকার ঘরে জানলা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকতে থাকতে মনে হয়
    এক আকাশ তারাও আমার কথাটায় আমার ভাবনাটায় সায় দিচ্ছে।

অপেক্ষা

ঘন কালো এলো চুল ছড়িয়ে সে দাঁড়িয়ে
   এক মাথা সিঁদুর
  বুকের মধ্যে সারা দিনের কথাদের প্রত্যাবর্তন
               পাখিদের ঘরে ফেরার ক্লান্ত ছন্দে

ছল

চেয়েছিলে সাজির ফুল
   বলেছিলাম, এ নৈবেদ্যর!

বন্যা


----
শেষ রাতে প্রদীপের বুক পোড়ালো যে আগুন
প্রথম রাতে সে আগুনই ছিল তার প্রেয়সী হয়ে

ভদ্রসত্য

সত্য তবে কি মিথ্যার আয়ুষ্কাল?
    না কি মেঘ চিরে আসা আলো?

অন্ধকারে আমি তুমি সব এক
    আলোতে জাগা তফাতগুলো কি ভালো?

মিথ্যাগুলোই থাক তাই তবে বেঁচে
    মুখে গাই সত্যের জয়

অর্ধসত্য বন্ধুর মত আসে
    পূর্ণসত্যে তাই এত ভাই ভয়!

Subscribe to কবিতা