অতলে
অপরিচিত একটা মুখ
রোজ আমার জানলায় এসে দাঁড়ায়
কখনো কাঠবিড়ালি, কখনো কাক
কখনো ভোরের বাতাসের আলতো ছোঁয়া সাথে
সাগর কথন
১
----
বুদ্ধি নিজে না বুঝেও বোঝাতে পারে
সে তো নাক উঁচু তাই দাম্ভিক
অনুভব নিজে বুঝেও কি বোঝাতে পারে?
সে কবে হল ভাই তার্কিক?!
চুপ করে শোনো
চুপ করে শোনো
তারারা ফিরে যাওয়ার আগে কি বলে গেছে
দেখো ফাতনা না ডুবলেও লোকটা বসে আছে
এই আড়াই ঘন্টা হল
বাচ্চা মেয়েটা স্কুলে যাওয়ার ব্যাগ নিয়ে রাস্তায়
স্কুলের থেকে রাস্তাটা টানছে বেশি
তুমি
তোমার গলার আওয়াজ শুনলে
আমার ফুটোফাটা দুঃখগুলোতে
চুণকাম পড়ে যায়
তুমি ফিরে তাকালে
আমার যত ব্যর্থ চেষ্টাগুলোর ঝোঁপে
প্রজাপতি ডানা মেলে পা ছড়িয়ে বসে
স্রোত
নদীর স্রোতে পা ডোবাতো
মাথা ভিজিয়ে স্নান করত
তার উছ্বল স্রোতের সুরে গান গাইত
ভালোই ছিল
কে বলল, ওকে ঘড়ায় যদি বাঁধতে পারিস
তবে ও চিরকালের তোর!
সে ঘড়ার জলে নদী বাঁধতে চাইল
ঘড়া ভরা জল ঘরের কোণে রাখল
নৈর্ব্যক্তিক
আমার সব কবিতাই তোমায় নিয়ে।
যে তুমি আমার চেনা-অচেনার আলপথে
নিশ্চিন্ত আপন অস্তিত্বে।
সম্পর্কের সুনিপুণ সংজ্ঞায় না -
যে আলো জাগরণের শেষ সীমানায়
ঘুমের প্রান্তে আলোর লালিমা ছড়াতে জানে -
কিছু কথা
কিছু কথা উড়ে যেতেই দাও
আটকিও না
না হলে তুলোর আঁশের মত আঙুলে আটকে থাকবে
ছাড়াতে গেলে আরো জড়িয়ে পড়বে
শ্বাস নিতে অসুবিধা হবে,
গলার কাছে দলার মত পাকিয়ে থাকবে
তুমি কি তবে এড়িয়ে যাবে?
না তো, এড়িয়ে যাবে কেন?
উড়ে যেতেই দাও
ওরা বাসা পাবে হয় তো কোথাও
সেখানে তুমিও থাকবে অন্যভাবে
ব্যথার প্রজাপতি
মুঠো খুলে দিলে
ব্যথারা প্রজাপতির মত উড়ে যায়
আকাশে, বাগানের গাছে, খাটের কিনারায়
প্রজাপতির মত রঙিন ব্যথারা
আড়মোড়া ভাঙা শরীরের মোচড়ে এসে বসে
সুখের মত ব্যথারা
সীমা
'তবু আমার শীর্ন দেহে ধরেছে তোমার রঙ'
নদী এই বলে তাকালো আকাশের দিকে
আকাশ অনন্ত চোখে তাকালো নদীর মুখের দিকে
তখন দিনান্তের রঙ সারা আকাশ বিছিয়ে
নদীর ছলছল চোখে যে তৃষ্ণা
সে তৃষ্ণা সন্ধ্যাকাশের আকুল আকাঙ্খায়
মহাকাশের দিকে তাকিয়ে
অনন্তকাল ধরে
জাগাও
এ পাঁকের দহ থেকে বাঁচাও
তৃষ্ণার জ্বলন্ত কুণ্ডে কিছুকাল আমারও তো কাটল
সব ব্যর্থ হত যদি তুমি না ডাকতে ব্যাথার মত ডাকে
ওরা স্নান সেরে হয় তো এপথ দিয়ে যাবে
ওদের স্তবমালার একটি সুর আমার প্রাণে জাগাও
হোক অক্ষয় সে সুর
প্রাণের সবকটা তার ছিঁড়ে গেলেও