Skip to main content

স্পর্ধা!

মুড়ি বিক্রী করতে আসেন
    পঁয়তাল্লিশ ঊর্দ্ধ, চশমা চোখে ছিপছিপে মহিলাটি

জল

গোলাপগুলোয় আগুন জ্বলছে
   জল অভিমানী নাকি বীতশ্রদ্ধ?
    তাকে ডাকলেও সাড়া দিচ্ছে না

অযাচিত

পুড়ছিলাম একা
        ধূপের মত

ফটক

আমি কোনো দূরের তারার গতিবিধিতে চোখ রাখিনি কোনোদিন

আকাশের দিকে তাকিয়ে কোনো অসীম অস্তিত্বের দিকে হাত বাড়াইনি কখনো

আমার বুকের মধ্যে বারবার ঢুকেছি
   সেখানে আছে মস্ত একটা ফটক
বাইরে আসার। নিজেকে ছেড়ে বাইরে দাঁড়াবার, নিজের দিকে পিছন ফিরে।

'আমি'

আমি আকাশকে নীল আর মাঠকে সবুজ প্রথম তাকিয়েই বুঝেছি।
তুমি শুধু শব্দদুটো দিলে - নীল আর সবুজ।
আমি মায়ের জন্যে কান্না আর অপরিচিত হাতের থেকে দূরত্ব রাখা জন্মলগ্নেই জেনেছি।
তুমি দুটো শব্দ দিলে - ভালোবাসা আর ভয়।
আজ থাকা আর ছেড়ে যাওয়া দুজনকেই দেখছি পাশাপাশি।
তুমি দুটো শব্দ দিলে - জীবন আর মৃত্যু।

তুমি জানতে?

আমার ভালোবাসার সাক্ষী কি কেবল আমিই ছিলাম? না তুমিও ছিলে?

ভয় করে
    ভুল শুধু আমিই বুঝলাম
             না তুমিও

   খালের জল খরস্রোত হল
     তুমি ওপারে কখন গেলে?
        তুমি কি জানতে বান আসছে?

অপেক্ষা

কেন তুমি বানিয়ে বানিয়ে অপেক্ষা করো?

কোনো একদিন না হয়

কোনো একদিন না হয়
  অকারণেই দরজার বাইরে পা রাখলে
ভিড় সরিয়ে, চেনা চোখ এড়িয়ে এলে
         বুকের একটা অচেনা দরজার সামনে

টোকা দিলে
  ঠক    ঠক    ঠক

দরজার ওপাশে শুনলে কার চুড়ির আওয়াজ
  নূপুরের রিনিরিনি শব্দ উঠল যেন মৃদু ঝংকারে

ফুটেছে কি?

দীর্ঘ না অল্প পথ সামনে
       জানি না।
ধুলোয় নিজের পায়ের ছাপ মিলাতে দেখেছি কতবার, অতীতে।
সামনের পথটাতেও সে ছাপ থাকবে না জানি
    আমি হেঁটে যাওয়ার পর।
অভিমান হয় খুব
    তবে এত আয়োজনের কি খুব দরকার ছিল?

যেন

আকাশটা ঝাঁ চকচকে
    বিকাল অবধি হল ভারী বৃষ্টি
সন্ধ্যেবেলায় দেখি
   ঝকঝকে তকতকে আকাশ
     আর মাঝ আকাশে অ্যাত্তোবড় চাঁদ!

Subscribe to কবিতা