মেঘ
সূর্য বাষ্পীভূত করে জলকে
পাত্রকে জলশূন্য করে
আমি বহুকাল আগেই বাষ্পীভূত
তোমার চোখের তাপে
'আমি' শূন্য বুকের খাঁচা এখন
আজ আমি মেঘ
শুভেচ্ছা
তাকিয়েছো কি নিবিড় করে
পথের পরে
চেয়েছিলে কি আপনমনে
আমার কাছে
গোপন উপহার?
পারো?
ক্ষমা চাইতে হাতজোড় করতেই হবে?
না তো!
ভালোবাসি বোঝাতে সংলাপের সুর আনতেই হবে?
না তো!
কুহক
দূরত্বই থাক
কিছুটা কুহকে বাঁচুক ভালোবাসা
খাদের ধারে দাঁড়িয়ে
সামনে পথ নেই জানি
তবু কুহকে ঢাকুক পথের নিরাশা
পথ
শেষমেশ কোথায় যাবে?
কোনোদিন জানতে পারবে না
কেউ পারেনি জানতে
তবু রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে পোড়ো না
এক পা এক পা করে এগোও
শুধু
ধুলো শুধুই ধুলো হত
যদি তোমার পা না ছুঁতো মাটি
বাতাস শুধু বাতাস হত
যদি তোমার শ্বাসে না পেত বাস
আলো শুধু আলো হত
যদি তাতে চোখ না মেলতে চেয়ে
জল শুধু জল হত
যদি তোমার তৃষ্ণাকে রাখত তৃষ্ণার্ত
আকাশ শুধু আকাশ হত
ছায়া
হাত ধরেনি
হাত ধরতেও দেয় নি
লজ্জায়
শুধু হাঁটতে হাঁটতে দেখছিল
নিজেদের ছায়াগুলো বেহায়ার মত
একে অন্যের গায়ে মিশছে
প্রকাশ্যে, অসঙ্কোচে রাস্তায়
বৃষ্টিও মুক্ত
বৃষ্টিও মুক্তো হয়
তোমার চুল ভিজিয়ে
মাথার গন্ধ নিয়ে
মাটি ছুঁতে যখন দ্বিধান্বিত
ঠিক তখন
মাটিতে কি মুক্তো ছড়ায়?
ওদের পাশে তুমি নেই যে
দেউলিয়া হলাম জানো
যেদিন প্রথম তাকালাম
অসমাপ্ত কাজগুলো ডেকে ডেকে ফিরে গেছে
বুঝে গেছে আমার আর ফেরা হবে না ওদের কাছে কোনোদিন
সন্ধ্যাবেলার যে উদাসীন রঙ সামনের বটগাছটার মাথায়
ওই রঙটা যেন এই পৃথিবীর নয়
ওকি চিঠি তোমার?
শুধুই
আমার শুধু শুধুই তোমায় ভালো লাগে
কেন ভালো লাগে জানতে চেয়ো না
এর কোনোদিন কোনো উত্তর হয় না
যদি হত -
তবে আগমনীর সুরে বিঁধত
নবমী নিশির দ্বিধা
সন্ধিপূজোয় প্রদীপ জ্বলত না