Skip to main content

দিও

কিছু বাতিল হয়ে যাওয়া সময়
  কিছু কেউ না শোনা কথা
    কিছু না হারাতে চাওয়া ব্যথা

  আমার জন্য রেখো
    আমি সময় করে নিয়ে আসব

তোমার

তোমার মুখের সাথে আমার অনেক সকালের আলো জড়িয়ে

         সরে যেও না

তোমার গলায়, আঙুলের ভাঁজে
 আমার অনেক অসম্পূর্ণ আবদার জড়িয়ে

           ভুলে যেও না

তোমার শ্বাস-প্রশ্বাসের উষ্ণতায়
 আমার অনেক গভীর কান্না শুকিয়েছে

ঝড়ের দিকেই নাও ফিরালি?

ভালোবাসব বলেছিলাম
নিজেকে লাটাইয়ের সুতোর মত ছাড়ছিলাম
   সুতোর শেষটায় এসে হ্যাঁচকা টান লাগল লাটাইয়ে
   তোমার মুখের দিকে তাকিয়ে মনে হল -
      তুমি আরো চাও

সুতো ছিঁড়ে দিলাম লাটাই থেকে
  রক্তাক্ত হল হাত
    হোক না! সামনে যে তুমি!

স্মার্টফোন

পাগল পাগল লাগত তো বউটার
     এখনো লাগে।
ঘোমটা দিয়ে যখন শাশুড়ির পাশে বসে
  বাইরের লোকের সামনে দাঁড়ায়
  মনে হয় একটা লাথ মারে
         সব ভণ্ডগুলোর মুখে

মারেনি কোনোদিন

পুরস্কার

আমার যাতায়াতের খবর তুমি রাখোনি কোনোদিন
আমার ছায়া তোমার বাড়ির সামনের রাস্তাটায় পড়েছে কতবার
   ধুলোর সাথে লুটিয়ে ফিরে এসেছে আবার আমার পিছু পিছু,
  সেই ধুলোয় আছে হয় তো তোমারও পায়ের ছাপ।
   আমার চোখ কতবার পড়েছে তোমার মুখে
   ছদ্ম উদাসীনতায় তোমার চোখের তারায় রেখেছি চোখ
     শরতের সাদা মেঘের দল ছুটিয়ে

হতেই পারে

এমন তো কথা ছিল না
   আমার রাস্তার দুধারে থাকবে শুধুই গোলাপঝাড়।
   মাঝপথে আমার সাথী হবে সে
        যাকে আমি খুব একা লাগলে আঁকি মানসপটে।
      সব চেষ্টা, সব ইচ্ছা, সব স্বপ্ন - ডানা মেলে উড়ে যাবে সকালে

এভাবে

এ ভাবে আমার আকাশ পাতাল এক করা কিছু কথা
          বলছি তোমার কানে
এ ভাবে আমার অসীমকে ছোঁয়া ব্যাকুল প্রাণের সুর
           দিগন্তলীন গানে

এ ভাবে আমার প্রতিদিন হয় একটা পাঁপড়ি খুলে
এ ভাবেই আমি তোমার সভায় দাঁড়াই নিজেকে ভুলে

না থাকলে

তোমায় তো রোজ দেখি
তোমায় দেখতে দেখতে আমার
     সকাল থেকে সন্ধ্যে
         ফিরে রাত আবার হয় সকাল

 তবু কথা ফুরালো না। চোখের তৃষ্ণা ফুরালো না।

এলে না

তুমি আসবে বলে সারাগায়ে রাতের অন্ধকার মেখে বসেছিলাম
         একা
তুমি এলে, তুমি ছুঁলে চাঁদ উঠত অন্ধকারে
 আমার সারা গা থেকে রাত্রি চুরি করে,
                            গোপনে

আলো

প্রদীপ পুড়তে চায়
    পুড়তেই চায়
        সে জানে পোড়া মানে আলো

Subscribe to কবিতা