Skip to main content

শক অ্যাবজর্বার

আশ্রমে ঢুকতেই দেখি গোঁসাই টোটোতে উঠছে, আমায় দেখেই বলল, যা রে তোর বিয়েবাড়ির বাস আর ছেড়ে যাবে না…

আধখানা চাঁদ

     জল পড়ছে বিন্দু বিন্দু। চালা চুঁইয়ে। এমন বৃষ্টি, বাড়ি ফেরা হল না। আশ্রমে থেকে গেলাম। গোঁসাই খাটিয়ার উপর বসে একতারায় মাঝে মাঝে ঠুং ঠুং আওয়া

সু-অভ্যাস

গোঁসাই বলল, তোমার বুদ্ধি খোঁজে সূত্র, চিত্ত খোঁজে আনন্দ।

অধ-লৌকিক

 

গোঁসাই বলল, তিনশো ষাট ডিগ্রি না ঘুরলে?

চেতনার আমেজ

যা আছে, তা-ই আছে। নতুন যা, সে যে দেখছে তার কাছেই নতুন। যেমন ধরো তুমি চোদ্দোবার পুরী এসেছো। তোমার কাছে এই সমুদ্র পুরোনো। আমেজটা হয় তো প্রতিবার নতুন। কিন্তু দে

কলঙ্ক

গোঁসাই বলল, দেখো, যে দীঘিতেই নামো, শরীর ভিজবে। কিন্তু মন ভরবে না। যদি একবার নিজের দীঘির সন্ধান পাও, হারিও না। এ দীঘি, সে দীঘির জলে নেমে শরীর ভিজিয়ে বেড়িও না। মন থেকে যাবে শুষ্ক। রিক্ত। একা।

কানে না, প্রাণে

গোঁসাই বলল, হৃদিযন্ত্র ধুলায় রেখেছো, হাটের মাঝে। যে পারে এসে তারে দেয় টোকা, দেয় টান। ওঠে শব্দ। সুর কই? রাতদিন যে যন্ত্র নিয়ে তত্ত্ব করো, সে যন্ত্র বাজবে কবে হে? 

     বললাম, সুর শিখিয়ে দাও। বাজাই। 

কান্না ধন

গোঁসাই বলল, দেখ, মহাপ্রভু পেয়েছিলেন ডেকে, রামকৃষ্ণদেব পেয়েছেন কেঁদে। উনি তাই বলতেন না, কাঁদতে পারো? লোকে মাগ ছেলের জন্যে ঘটি ঘটি কাঁদছে। ঈশ্বরের জন্য, ভগবানের জন্য আর কে কাঁদছে বলো? 

     গোঁসাই বলে চলল, ঠাকুরকে যে ঠিক ঠিক ডেকেছে, ঠাকুর তাকে কাঁদিয়েছেন। 

     চমকে উঠে বললাম, একি বলো গোঁসাই… এ তো ভয়ের কথা….
...

রথ

স্থির রোদ। গাছের ছায়া লুটোপুটি খাচ্ছে মাটিতে। রোদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলা। মাটি কোল পেতে বসে। 

     মাটি জানে খানিকবাদে রোদ থাকবে না, ছায়া থাকবে না। গাছটাও একদিন থাকবে না। সে থেকে যাবে। 

     গোঁসাই বসে গাছের তলায়। চাঁদের আলোয় ছায়ারা খেলছে। গোঁসাই এ ছায়া রোদের আলোতেও দেখেছে। চাঁদের আলোয় মায়া বেশি। সত্যে আর কল্পনায় মেশানো যে! রোদের আলো বড্ড স্পষ্ট। জ্ঞানের অহংকারের মত। জ্ঞানের চেয়ে জ্ঞানী বাজে বেশি। চাঁদের আলো অনুভবীর। সে অনুভবী জ্ঞানী রসের খবর জানে না শুধু, সে জ্ঞানী রসিকও। রসের সমঝদার!
...

মোড় ফিরিয়ে দে

গোঁসাই ভাবল স্টেশানে গিয়ে বসে। কিন্তু এই ফাঁকা রাস্তা। পাশে দীঘির জল। ঠাণ্ডা বাতাস, জুড়িয়ে যাচ্ছে শরীর। গোঁসাইয়ের সন্ধ্যে থেকে ভিক্ষা জোটেনি। যা হোক, না জুটুক। গোবিন্দের ইচ্ছা। সামান্য একটু মুড়ি ছিল। তাই খেয়ে একতারাটা বার করল। নাম গাইবে। নিঃসহায়ের সম্বল নাম ছাড়া আর কি? নাম মানেই প্রেম। প্রেম মানেই নাম। প্রেম মানেই সত্য। সত্য মানেই প্রেম। একতারায় সুর উঠল। নাম, প্রেম, সত্য - এক হল।
Subscribe to গোঁসাই