কথায় করে ছলো
বিরুপাক্ষের ডিসেম্বরের শেষ তারিখ এলেই মন খারাপ লাগে। বছর শেষ হচ্ছে বলে নয়, ক্যালেন্ডারটা ফেলে দিতে হবে বলে। অ্যাদ্দিন মুখোমুখি কাটানো। গোটা একটা বছর। কম কথা!
মা
মা
কবীর ও পুরুষোত্তম আগরওয়াল
এই যে প্রতিদিন
এই যে প্রতিদিন লিখতে চাইছি
এমন একা অহংকারী
সাইকেলটা একটু দূরে দাঁড় করিয়ে রেখে, সে মাঠের মাঝখানে বসে আছে। মুখে খোঁচাখোঁচা দাড়ি। পরে আছে গেরুয়া মোটা গেঞ্জি, আর ঢোলা একটা প্যান্ট। দুটোই ময়লা।
শাস্ত্রীজীর বাড়ি
জয়ী হয়ে
দুজনে একসঙ্গে ঢুকল প্রসাধনী কক্ষে
কেক
পাটালিগুড় আর কেক নিয়ে বসে বুড়ো। কেক ক'টা বিক্রি হলে বাঁচে। ওদের গো
বীজ
বড় অসময়ে চলে যাওয়ার ধুম উঠেছে। কেউ নিজেই দরজা ভেজিয়ে চলে যাচ্ছে। কেউ নাচতে, নাচতে, ব্যায়াম করতে করতে, হাঁটতে, বসতে চলে যাচ্ছে। রিলে ভিডিও দেখা যাচ্ছে। লক্ষ ল
এক্কাদোক্কা
কপালে শেষ ট্রেনই ছিল। কাঁচরাপাড়ায় নামলাম। ঠাণ্ডা জাঁকিয়ে পড়েছে। যা ভেবেছিলাম তাই। কিচ্ছু নেই। আমার গন্তব্য হাঁটাপথে আধঘন্টা এখন।
ঘুম আর চেকমেট
দুঃসময়ে ঘুম বড় শত্রু। সবটা মানিয়ে নেওয়ার তুমুল চেষ্টা চলছে। "ভাগ্যে যখন আছেই... কত মানুষের সঙ্গেই তো হয়"...
ভুলে গেল
মানুষটা ধীরে ধীরে ভুলে গেল, দস্তুরমত ভুলে গেল,
কঠিন না, অর্থহীন
তিনি সকালে উঠে, নিজে প্রেসারের ওষুধটা খেতেন। স্ত্রীকে দিতেন।
আকাশ
খাঁচা যদি না খুলে দাও
ধোঁয়া
পরিত্রাহি কীর্তন চলছে। সুর নেই। প্রবল শব্দ আছে। শীতের রাত। দুটো কুকুর নিজেদের দিকে তাকিয়ে মুখোমুখি বসে। পাশে মোবাইলের ইয়া লম্বা টাওয়ার। টাওয়ারের মাথায় আটকে এ
সকল দ্বন্দ্ব-বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো
কোনো মানুষই কি আদতে ত্রুটিমুক্ত হয়? মহৎ মানুষের ত্রুটি কি তার মহত্বের ক্ষুণ্ণতা, নাকি সেটাই বাস্তবতা?
পূর্বশর্ত
যা কিছু করো
মাইক্রোওভেন
শীতের কামড়ে গা এলিয়ে কল্যাণী সীমান্ত স্টেশানে বসে আছে মদন। রোদ এসে গা শুঁকে যাচ্ছে। কিন্তু কব্জা করতে পারছে না। পা
মাগো, এক্সট্রা টাইম যাতে না হয়!
আছেও, নেইও
তো সে কি করল, একটা মন্দির বানালো। কিন্তু মন্দিরে কোনো মূর্তি, বা ঘট কিছুই রাখল না।
তারা আসছে
টুনটুনিদের দুই ছেলেমেয়ের বিয়ে হয়ে গেল। এখন তাদের ঝাড়া হাত-পা। রোজ নতুন করে পুরোনো গল্পগুলো করে, নতুন করে পুরোনো রান্নাগুলো করে, নতুন করে পুরোনো হাসি হাসে, পু
ধারালো যুক্তি
সংকীর্ণ হৃদয়ের ধারালো যুক্তি ভীষণ ভয়ংকর। ফুলকে সে গাছের জননাঙ্গের বেশি ভাবতে পারে না। তার সে কথায় যুক্তি আছে, কিন্তু কি যে নেই, সে না তো বোঝে, না তো তাকে বোঝ
দশকৌণিক
সানাই বাজছে বেহাগে। লগ্ন সন্ধ্যায়। এই তো লগ্ন। এই তো সন্ধ্যা। বেহাগের সঙ্গে শুরু হল মন্ত্র উচ্চারণ।
কোলোনীয় অত্যাচার
বাঙলায় সে যুগ ছিল, যখন হয়েছিল কলোনীকাল। সাহেবদের কলোনীয় অত্যাচার। আর এই বিয়ের মরশুমে শুরু হল কোলোনিক অত্যাচার। শরীর যেটুকুন নিল তো নিল, কিন্তু বাকিটুকুন এই য
প্রশ্ন
"মাগো, রামপ্রসাদের বেড়া বাঁধতে আসার সময় পেলি, আর আমার মেয়েটাকে যখন ওরা মেরে ঝুলিয়ে দিল, একটু সময় করে এসে ঠেকাতে পারলি না মা?"
দু মুখো সুচ
দু মুখো সুচকে নিয়ে কি হবে?
শিশির আর শূন্যতা
সব জানলাগুলো বন্ধ। বুকে জমা কফের আওয়াজ ঘড়ঘড় করে যাচ্ছে। আগের থেকে ভালো।
আসবেন, কাজ আছে
অনবরত কড়া নাড়ল, ফিরে যাবে ভাবল। ভিতরে কেউ ছিল? নাকি ছিল না। কাঁচে নাক ঠেকালো। শ্বাসের বাতাস কাঁচে ঘুরে, সব ঝাপসা করে বলল, নেই।
দূরে কুকুর ডাকছে। জঙ্গলের ভিতর থেকে। এত গভীর জঙ্গলে একা একা দাঁড়িয়ে কেন? রাস্তায় পায়ের ছাপ নেই। চলাফেরার নিশানা নেই। হাতলে ধুলো জমে আছে। তবু মনে হচ্ছে কেউ আছে।
ক্যারামবোর্ড
প্রতিটা মানুষের একটা ব্যক্তিগত গন্তব্য থাকে। যা তার চারপাশ আর তার ইচ্ছা-সামর্থ্য তৈরি করে।
বাঘ নয়। মানুষ
ন'বছরের মেয়েটা
আধখানা চাঁদ
খবর
নমস্কার, খবর পড়িতেছি, শ্রদ্ধানবদ্ধ মুখোপাধ্যায়,
কেন যাবে?
কোনো কোনো চোখ বড় বিচ্ছিন্ন হয়
জুতো, দর্শন থেকে রসিকতায়
বোধিচর্য্যাবতারে শান্তিদেব লিখছেন,
"সমস্ত ভূমিকে ঢাকিবার জন্য চর্ম নাই। জুতার চর্মমাত্রের দ্বারাই সমস্ত ভূমি আচ্ছাদিত হয়। সেইরূপ প্রতিকূল বাহ্যভাব সকলকে নিবারণ করা আমার সাধ্য নহে। অতএব নিজের চিত্তকেই নিবারণ করিব; অন্যকে নিবারণ করিয়া আমার কার্য কি?" (5/13-14)