বাঙলায় সে যুগ ছিল, যখন হয়েছিল কলোনীকাল। সাহেবদের কলোনীয় অত্যাচার। আর এই বিয়ের মরশুমে শুরু হল কোলোনিক অত্যাচার। শরীর যেটুকুন নিল তো নিল, কিন্তু বাকিটুকুন এই যে কোলোন ছেড়ে রাখল আমাদের দায়িত্বে, তা নিয়ে কি করে মানুষ?
এই সময়ে আমি মানুষ দেখি না। কোলোন আর স্টম্যাক দেখি। চোখ মেনুকার্ড পড়ল। জিভ অপেক্ষা করল, লালারসের ভাণ্ডার নিয়ে। দাঁতেরা অপেক্ষায়, সেনাবাহিনী নিয়ে। সে না হয় হল। কিন্তু প্রমাদ গুনছে কোলন। বারবার সে পাকস্থলী আর ক্ষুদ্রান্ত্রকে জিজ্ঞাসা করে, দাদা পারবেন তো…. সবটা আমার ঘাড়ে দেবেন না প্লিজ….
মহাদেব ফিক ফিক করে হাসেন। বলেন, ওহে, আমার উপর দুধ ঢাললে যারা মানুষকে বিবেকের পাঠ দিস, তারা এত এত খাবার নষ্ট, তেলা মাথায় তেল দেওয়া মানুষগুলোকে কিছু বলিস না তো! বল গিয়ে এ সব খাবার যারা খেতে পায় না তাদের দিন…. তা না! নিজেরা গাণ্ডেপিণ্ডে গিলবে… নোলা ঝরিয়ে ডুববে… আর ওদিকে সব গেল গেল করে হাপিত্যেশ করবে।
কোলন বলে, থাক না স্যার… ওসব তিতা কথায় কাজ নেই। বলি আমার কি হবে সেটা বলুন না!
সব চুপ।
কোলন কান পেতে শুনছে, মালিক প্রার্থনা করছে, দেখো বাবা আর যা হোক কাপড়ে চোপড়ে যেন হয়ে না যায়।
কোলন চীৎকার করে বলার চেষ্টা করল, আমিই কথা দিতে পারছি না… উনি কি করবেন? উনি তো হৃদয়ে থাকেন রে বোকা…. এদিকটা তো আমিই সামলাই। আমি জানি না আমি ধরে রাখতে পারব কিনা…. নিজে একটু সামলে নিলেই তো হয়!
মস্তিষ্কের দুটো গোলার্ধ তখন দু'দিকে মুখ করে বসে। একপক্ষ জিভ আর চোখের দিকে। অন্যপক্ষ কোলনের দিকে।
শেষে কে জিতবে?
জানেন কোলনযামী।