নৃপেনবাবু
খুশীতে কাটিয়ে দিলেন। কিন্তু অঘোরবাবুর মনে দুঃখ আর যায় না। একদিন সারা ভারতের
আনাচে কানাচে ঘোরা অঘোরবাবু তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কোথাও না গিয়ে এত্ত মজাসে থাকেন কি করে?
যে যারে উদ্ধার করে সেই তার ঈশ্বর
সে মতুয়ার বুদ্ধি মানে কি? নিজের মত সম্বন্ধে অন্ধবিশ্বাস। অবশ্যই রামকৃষ্ণদেব যতবার মতুয়া শব্দটা উচ্চারণ করছেন,
ততবারই নিন্দাত্মক ভাবেই উচ্চারিত হচ্ছে। ফলে আমার ধারণা জন্মেছিল খুব সঙ্কীর্ণ অন্ধবিশ্বাসী কোনো সম্প্রদায়ের কথা রামকৃষ্ণদেব নিশ্চয় বলছেন।
অভিমানী বাইডেন
টুক করে গুলি করে খুন করে চলে এলো তার বর। কেউ এট্টুও প্রশংসা করল না মানুষটার
কেউ বলেনি
ভালোবাসতে হবে
তবু না ভালোবেসে কোনো রাস্তা পাবে না
দেখো
...
সেমিকোলন আর দীর্ঘশ্বাস
এই তো
একের পর এক সহ্য করে যাচ্ছি সব
বর্ষা বসন্ত গ্রীষ্ম শীত
এই তো
একের পর এক সহ্য করে যাচ্ছি সব
প্রেম, অপ্রেম, ঈর্ষা, অপমান, শোক
এই তো
সব সহ্য হয়ে যাচ্ছে
কপটতা, ছলনা, ষড়যন্ত্র, প্রতারণা
এই তো
সহ্য হয়ে গেল দেখো
দুলে উঠল তারারা
রুটি আমি গিয়ে না করলে, করবে?
ঝরাপাতা
ছেঁড়া চটি
বিশ্বনাথ বক্সি নাস্তিক মানুষ। কিন্তু হলে কি হবে, ঠিক কালী মন্দিরের সামনে এসেই চটিটা ছিঁড়ে গেল। এখনও অনেকটা রাস্তা। এইবার?
গ্রহণ গ্রহণ খেলা
নিজেকে বক্সিং এর রিং এ ঢুকিয়ে নিজেকেই ঘুঁষিটুসি মেরে, নিজেকে বিব্রত করে যে কি সুখ পাও বুঝি না বাবা
..
সেই ভিখারিটা
কোন প্ল্যাটফর্মে বসলে বেশি ভিক্ষা পাবে
ঠিক করতে না পেরে
যে ভিখারিটা প্রথমে জ্যোতিষী
তারপর ঈশ্বরের কাছে গিয়েছিল
...
চেতনা মানে
চেতনা মানে গুচ্ছের তথ্য মুখস্থ করে পরীক্ষা পাশ দেওয়াও নয়। চেতনা মানে জেগে থাকা, তাকিয়ে দেখা, কানে শোনা, চেখে দেখা, ছুঁয়ে বোঝাও শুধু নয়।
চেতনা মানে অনুকম্পাও। চেতনা মানে সহমর্মিতাও। ...
রঙের বালতিটা
এরপর থেকে সে যতবার রাস্তা দিয়ে যায় ততবার রাস্তায় রঙের ছাপটা দেখে। অল্প অল্প করে মিলিয়ে যাচ্ছে। নোংরা হয়ে যাচ্ছে।
...
মধুপ
বলে ঈশ্বরের উপর নির্ভর করো… একি কথা গোঁসাই? যাকে দেখা যায়, ছোঁয়া যায়, যার কথা শোনা যায় তার উপরেই নির্ভর করা যায় না, এদিকে বলে কি যে দেখাশোনার বাইরে তার উপর নির্ভর করো? একি কোনো কাজের কথা হল গোঁসাই?
গোঁসাই আজ ভীষণ সেজেছে। তার গলায় মালা। পরনে কি চমৎকার নীল কাপড়! মাথায় একটা শিখীপাখা… কি সাজ গো গোঁসাই এ?
এক বিন্দু জল
তর্জনীর মাথায় নিয়েও
সেখানে আকাশের ছবি খুঁজতে
আমি এক সমুদ্র জলের সামনে দাঁড়িয়েও
সব ব্যাটাকে চিবিয়ে খাব
সম্রাট অশোক, শিবাজী থেকে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল কেউ বেঁচে নেই জেনে সজনীকান্ত ডাক ছেড়ে কাঁদতে শুরু করল। কেউ থামাতে পারে না। বাড়ির লোক, পাড়ার লোক, মিউনিসিপালিটির চেয়ারম্যান কে না এলো। কিন্তু সজনীকান্ত কখনও হাউমাউ করে, কখনও ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদেই চলেছে।
শুনতে পাচ্ছ?
আড়াইটে বাজতে তিন মিনিট বাকি। এত রাতে টয়লেটে যেতে বিরক্তই লাগে। কিন্তু উপায় কি?
উঠল, টয়লেটের দরজায় ঠেলা দিল। দরজা বন্ধ। ভিতর থেকে।
অবিনশ্বর মরিয়াপনা
ভাঙবি না কোনোদিন
ট্রেনটা একদিন ছাদের কার্ণিশ থেকে পড়ে
স্প্রিংট্রিং বার করে হাঁ হয়ে পড়েছিল কুয়োপাড়ে
প্রথম থেকে ভাবো
আটান্নোটা বসন্ত মাড়ানো মানুষটা
যে যেতে আসতে হাসিমুখে
কাঁচের দরজাটা খুলে দেয়
তুমি না
আমি বিশ্বাস করেছি
তুমি এলে আমি ভালো থাকব
তুমি না
আমি এই বিশ্বাসকে লালন করেছি
স্বপ্নে, প্রশ্রয়ে, আদরে
ঝড়ের পরে ঘুম পায়
ছোটো একটা মাকড়সা এক কোণে বসে থাকে। মমকে দেখে। মমকে বলে,
আমি তো পাঁচিলের এক কোণে আছি দেখো। তোমাদের এতবড় বাগান, আমার কি একটুও জায়গা হবে না?
শৈশব সুরক্ষিত হোক
মুখে পুরতে চায়। সে আকাশে ওড়া প্লেন দেখে 'ট্রেন' বলে ধরতে যায়। চলতে চলতে আমাদের গল্প হয়।
যদিও আমাদের ভাষায় স্বরবর্ণেরই আধিক্যই বেশি। হাসিতে, চুমুতে, আদরেই আমাদের কাজ চলে যায়। ...
পাখি তুমি উদাস কেন
পাখি তুমি উদাস কেন? কি হারালে? ...
চাঁদের আলো আর গীতবিতান
ঝুলবারান্দায় বসে বসেই বেলা এগারোটা বেজে গেল। সকাল থেকে খাওয়া বলতে এক কাপ করে চা।
আমি কি জানি!
গোবিন্দপদর রাস্তাতে বেরিয়েই মাথাটায় আগুন খেলে গেলো। আজ দোলের দিন, কোথায় মহাপ্রভুর জন্মদিনে মানুষ হরিনাম করবে,
অখণ্ডতা' আর 'সততা'
টেলিগ্রাফের তারে ফুটো থাকলে খবর যায় না, তখন বলতে চাইছেন তো এই অখণ্ড অনুভবের কথাই?
অস্থাবর
এই যে সে
চায়ের দোকানের সামনে উবু হয়ে বসে
সে কি করছে?
স্বপ্ন
ছেলেরও স্বপ্ন ছিল সে অনেক বড় হবে
সমস্যা হল
বাবার স্বপ্নে ছেলে থাকলেও
ছেলের স্বপ্নে বাবা ছিল না ...
সংশয়
সে মানুষও খড়ের গাদায় হাঁটতে যায় না নিশ্চিন্তে
খালি পায়ে ...
ঝরাপাতা পুড়িয়ে
মেকি শুদ্ধতার মোহ আমার নেই ...
জানলাটা
এ বিস্মিত হয় না, উদাস হয় না, মুগ্ধ হয় না, অবাক হয় না
'খিল্লি'
আমাদের রসবোধ, আমাদের শৃঙ্খলাবোধ এমন জায়গায় এসে পৌঁছিয়েছে যে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মানুষ ছাড়া আমাদের সামলানো যায় আজকের দিনে?
আর যদি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মানুষ না পাওয়া যায় তবে তাকে নিয়ে এমন খিল্লির পর্যায়ে চলে যাবে সব?
ভুলতে গেলে যত্ন করতে হয়
সহজে যাতে চোখে না পড়ে
আবার খুঁজতে চাইলেই যেন
ধরা দেয় হাতের নাগালে
...
An Unquite Mind
সে বদলে গেল। থমকে গেল। নিঝুম হয়ে গেল।
নিস্তেজ হয়ে গেল। এটা বারবার হতে থাকে। মনের মধ্যে যেন দিন-রাত্রি।
পাকদণ্ডী ও ঝিঁঝিপোকা
ছবি তুলতে জানেন? আমাদের একটা ছবি তুলে দেবেন? এই, এই যে, এই বোতামটা চিপলেই খচ্ করে আওয়াজ হবে, হ্যাঁ হ্যাঁ, এইভাবেই, দেখবেন পিছনে ঝর্ণাটা যেন আসে…
মন বাঁচুক
সারা শরীর দিয়ে মনে হচ্ছে পোকার সারি হেঁটে যাচ্ছে। জানলাটা খোলা। রাস্তা পাশে। দিনদুনিয়া তার মত জেগে। কত উৎসাহ মানুষের।
তার কিছুতেই কোনো উৎসাহ নেই। এরকম মাসের পর মাস চলে। তবু নিজেকে টেনে হিঁচড়ে স্টেশানে নিয়ে যায়। ট্রেনে ওঠায়।
গলায় জোর এনে চীৎকার করে, দিলখুশ… দিলখুশ… গরম গরম… এখনই খান… বাড়ি নিয়ে যান… টাটকা দিলখুশ…
একফোঁটা জল
কচুপাতার উপর একফোঁটা জল। সে জলের উপর সূর্যের আলো পড়ে মনে হচ্ছে যেন মুক্ত।
পাগল দুই হাতে তালি দিয়ে বলল, মুক্ত, মুক্ত।
চারদিকে খবর রটে গেল। পদার্থবিদ এসে বলল, মুক্ত কোথায় হে? এ যে জল, পাতা আর আলোর একত্রিত অবস্থান।
পদার্থবিদ অঙ্ক কষে জলের মধ্যে আলোর প্রতিফলনের হিসাব করে দেখালো। কেন অমন লাগছে তাও বোঝালো।
পাগল হাসল। বলল, তুমি বাড়ি যাও। আমি মুক্ত দেখি।
ভগবতীদেবী
আধ্যাত্মিক বা শাস্ত্রীয় বা দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গী থেকে বলছি না। একদম খাঁটি বিশুদ্ধ সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গী থেকে
বলছি। আমার বোধবুদ্ধির বয়েস হল বাম শাসনের যুগে। ...
ডোন্ট লুক আপ
তারা জানত ইউক্রেনের মানুষের শরীর সম্বন্ধে পড়ে এলে ভারতীয়দের শরীর বুঝতে অসুবিধা হবে না। এই বিশ্বাসেই আরো আরো দেশ থেকে আরো আরো অনেকে এসেছিল,
যারা জানত ইউক্রেনের মানুষের শরীর নিয়ে পড়লেও তাদের নিজেদের দেশে ফিরে মানুষের শরীরের চিকিৎসা করতে, মনের চিকিৎসা করতে বাধা হবে না। বিজ্ঞান একই ভাষায় কথা বলে সারা বিশ্বে। ...
টিফিন
সোনাইয়ের খুব ইচ্ছা সে ক্যাডবেরি বানাতে শেখে। আকাশে ছড়ানো সব জেমসগুলো কুড়িয়ে নিয়ে আসে পকেট ভরে। বড়দের খালি খালি কেন যে সব বাজে বাজে খাবার খাওয়ার ইচ্ছা হয়, সোনাই বুঝে উঠতে পারে না। বাবা কেন রোজ ফুচকা খায় না?
ভক্ত মশা ভগবান
কিন্তু কেন? কারণ খিদে। আমি আছি বলেই ও বেঁচে। আমার রক্তের জন্যেই ওর জন্ম। ..
বেশ
বইমেলা 2022
সবাই দাঁড়িয়ে পড়ুক যে যার জায়গায়, স্থির।...
সে আসবে আবার বাড়ি চিনে
রামকৃষ্ণদেবের জন্মতিথি
ঠাকুরকে নিয়ে লেখার যোগ্যতা কই আমার? অভিমানের পাহাড় যে সামনে।
বিদ্যা বিনয় দেয়। ...
উৎকণ্ঠা
কি অসহ্য লাগছে। কেউ উঠছে না সিংহাসন ছেড়ে।
কেউ গিয়ে দুঃশাসনের হাতটা চেপে ধরছে না। সবাই চুপ। টিভির স্ক্রিন জুড়ে শুধু কান্না আর চীৎকার, আর্তনাদ। আর কাদের কাদের অট্টহাসি।...
Easily
গুরুদেব ও রেললীলা
UN ও WHO সংবাদ
বুঝবে সমুদ্র
শূন্যই অনন্তকাল
যখন নিজের চার দেওয়ালের মধ্যে নিজেই অপরিচিত
আমার আর হবে না দেরি
সবাই উপোস করেছে বাড়িতে। এমনকি তার ন'বছরের ছেলেটা অবধি। মা, বউ, মেয়েও। হরিশের খুব ইচ্ছা সেও একটা মোটর লাগানো বোট কেনে। সারাদিন বৈঠা টেনে টেনে হাতের পেশীগুলো লোহার মত হয়ে গেছে। একটা
বিবেকের অন্ধবিশ্বাস
উপোস করা, কোথাও কোথাও পুজোর নামে বলি দেওয়া -
এ সব অন্ধবিশ্বাস, নিশ্চয়ই অন্ধবিশ্বাস। তবে আজ ফিকে লাগছে। ...