আড়াইটে বাজতে তিন মিনিট বাকি। এত রাতে টয়লেটে যেতে বিরক্তই লাগে। কিন্তু উপায় কি?
উঠল, টয়লেটের দরজায় ঠেলা দিল। দরজা
বন্ধ। ভিতর থেকে।
আবার এসে শুলো। পাশে জয়তি নেই। ও-ই
গেছে। শুয়ে পড়ল।
কিন্তু খানিকবাদেই আবার ঘুম ভেঙে গেল।
জয়তি তো আমেদাবাদে। সে তো সোদপুরে।
আবার উঠে টয়লেটের দিকে এগোলো। এবার
ভয় লাগছে। গলাটা শুকিয়ে যাচ্ছে। আগেরবার কি আস্তে ঠেলেছিল?
টয়লেটের দরজাটায় ঠেলা দিতেই খুলে গেল।
আলো জ্বালালো। টয়েলেটে কেমন একটা গন্ধ। অচেনা। কিন্তু চেনাও যেন।
আলো নিভিয়ে খাটে উঠতে যাবে, চোখে পড়ল,
বাইরের দরজাটা হাঁ করে খোলা। সিঁড়ির আলোটা ঘরে ঢুকছে। আগে খেয়াল করেনি কেন খাট থেকে
নামার সময়?
বাইরের দরজাটা লাগাতে যাবে, হঠাৎ জোরে
একটা শব্দ হল। টয়লেটের দরজাটা জোরে বন্ধ হল।
ঘাম হচ্ছে। গলা শুকিয়ে কাঠ। তবে কি
জয়তি? ঠাট্টা করছে। আগেই এসে গেছে। লুকিয়ে ছিল?
খাটে উঠে জয়তিকে ফোন করল। প্রায় কেটে
যাওয়ার আগে ওপার থেকে ঘুম জড়ানো গলায় জয়তি বলল, কিগো... সব ঠিক আছে?
শুভ্রাংশু বলল, হাত লেগে গো... সরি....
না না... ঠিক আছে.... এই শোনো... আমার
সেই মাসতুতো বোন আছে না... মলি... আরে সেই আমাদের ফ্ল্যাটে এসে ছিল না পরীক্ষা দেবে
বলে কি একটা.... আরে রাতদিন টয়লেটে ঢুকে থাকত... তুমি বিরক্ত হতে... ও না গলায় দড়ি
দিয়েছে জানো.... কি যে খারাপ লাগছে....
টয়লেটের দরজাটা অল্প খোলা। দরজাটা
হাওয়ায় দুলছে। একটা মিষ্টি গন্ধ আসছে ভেসে। একটা আবছা শরীর... এদিকে তাকিয়ে।
ওপাশে জয়তির গলা... হ্যালো.. কি গো
শুনতে পাচ্ছ... হ্যালো... হ্যালো...