যেদিন ও কাঁদবে
পরিতোষ আকাশের দিকে তাকিয়ে, গঙ্গার জলে পা ডুবিয়ে বসেছিল। তার একমাত্র মেয়ে, পনেরো বছর বয়েস, তার পুড়ে যাওয়া শেষ। এবার তার নাভি খুঁজতে নামবে ডোম। সারাজীবন কত মানুষের নাভি সে কুড়িয়েছে কে জানে? জাহ্নবী চলে যেতোই। তার রোগের চিকিৎসা আবিষ্কার হয়নি যে। একজন মানুষ আর কতদিন বিছানায় বন্দী হয়ে কাটাতে পারে? বরং ভাবনা ছিল, সে চলে গেলে রাখি মেয়েটাকে নিয়ে একা পারবে? ...
দ্য ব্ল্যাঙ্ক স্লেট
আসো, যদি নিজের মধ্যে ডুবে দেখো, দেখবে অবাস্তব থেকে বাস্তবের দিকে চুঁইয়ে চুঁইয়ে যা নামছে, সে অনুভবের নাম, ইচ্ছা। সে অন্ধকার থেকে রূপ নিচ্ছে। সে নিজেকে জন্ম দিচ্ছে। ইচ্ছা। ...
কুয়াশার আড়ালে
কিছু লুকিয়ে রাখতে নেই ...
Behind the veil of mist
Nothing should be kept hidden
সতর্ক আর সচেতন
মোটে চারটে অক্ষর
স্পষ্ট, সুরে উচ্চারণ, সত্যিই আমার মনে পড়ে না আমি শুনেছি।
অমৃত... বিষের স্রোতে
সনাতন বৈরাগীকে দেখলে মনে হবে এরকম মানুষ তো প্রায়ই রাস্তায় চলতে ফিরতে চোখে পড়ে। বিশেষত্ব বলতে তো কিছু নেই!
এই যে আমার বারান্দায়
একফালি রোদ এসে পড়েছে ...
দাবানল
গরম পাত্র কি দিয়ে ধরিস?
সাঁড়াশি... সাঁড়াশি না পেলে কাপড়...
ভিড়
মহাপুরুষের আশ্রমের প্রাঙ্গণে বিশাল ভিড়। লাইনের শেষ দেখা যাচ্ছে না।
ছেলেটা যখন ক্লাস সিক্সে পড়ে
তার মা একদিন তার আঙুলে একটা সাদা পাথর দেওয়া আংটি পরিয়ে দিল
বলল, দেখিস বাবু, তোর মন অনেক শান্ত হবে
ছেলেটার মন কোনোদিন শান্ত হল না,
বিদ্যালয়
শোক হঠাৎ এসে দাঁড়ালো
অবাস্তব
আমিও বললাম, অবাস্তব ...
অতি সাধারণ যে
কোনো একটা অখ্যাত গলির মোড়ে
অখ্যাত একটা ছোট্টো রুটির দোকান ছিল
বোকা হওয়া দোষের কিছু নয়
দুঃখ থেকে ত্রাণ
সে নিজেও জানে না
বাঁ হাতের গোড়া থেকে টাটাচ্ছিল। এই হাতের কাঁধের কাছে গোলাটা দুবার বেরিয়ে গিয়েছিল ধড় থেকে। কি যন্ত্রণা, উফ্..., কি যন্ত্রণা খাণ্ডোবাই জানে। আবার খাণ্ডোবার নাম করছে! মন বড় পাজি। কয়লার মত। যতই ধোও রঙ আর যায় না।
নারায়াণ ডাকি কহে
জুকেরবাগেরে
ফেসবুক জুড়ি কেন
ক্রন্দন রোল ওঠে
এক খামচা কষ্ট
কান ঘেঁষে গুলিটা চলে গেল। মানুষ মারার গুলি না, বেলুন ফাটানোর।
পয়লা জানুয়ারী
ভোরের সূর্যের মুখোমুখি
তবে দিগন্তলীন সমুদ্রের সামনে
কি ভোরের সূর্যের মুখোমুখি
দাঁড়াই কি করে?
বিরাট স্বপ্ন
নধরকান্তি বাবু ব্লাড সুগার নিজের ছন্দে নিয়ন্ত্রণে রাখেন। চায়ে চিনি খান না। কারোর বাড়ি গেলে কেউ যদি ভুল করে বা না জিজ্ঞাসা করে চিনি দিয়ে ফেলে চায়ে, মুখেও দেন না সে চা, কিন্তু চায়ের পর দুটো রসগোল্লা ওনার চাই-ই চাই।
Kabir Kabir
একদিন সব রোগ ভালো হয়ে যাবে
ঈর্ষা
তখন আমাদের বাড়ি হয়নি। রেলকলোনিতেই থাকি। এরকম মেঘলা দিন একটা। মায়ের সঙ্গে বসে গল্প হচ্ছে। বিষয়, কেমন বাড়ি মা চাইছেন, কোথায় চাইছেন ইত্যাদি।
ঝুড়ি
মন্দিরটা আছে, তার চাতালে গিয়ে বসল। এতটা উঠতে হাঁফ ধরে না যে তা নয়। ধরে। বুকটা হাপরের মত ওঠে পড়ে।
উঠতে উঠতে ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে, কতবার যে সারাদিন উঠত নামত! শরীরটা বদলে বদলে যাচ্ছে, মনটা না।
বাসিফুল
স্বামীজীর জন্মদিন
অভিমান দুর্বলের রাগ
হয়। যে নিজেকে ভাবে অশক্ত, অক্ষম তারই অভিমান হয়। সে নিজেকে উপেক্ষিত, বঞ্চিত ইত্যাদি নানা
কিছু ভেবে ভেবে রোষানলে পুড়ে মরে। কিন্তু কাজের কাজ কি কিছু হয়? হয় না।
এখন ঘুরেফিরে
মাথার মধ্যে
হোয়াটসঅ্যাপে
টেক্সটে, ফোনে
শ্মশানযাত্রী
খবরটা রটতেই রাত দুটো থেকে লোক জমা হতে শুরু করল। কনকনে ঠাণ্ডায় বারুইদের উঠানে এক এক করে লোক জমছে। পেয়ারা গাছে বসে থাকা প্যাঁচাটা ডাকছে না। লোক দেখছে। এত রাতে এত লোক! আধখানা খাওয়া চাঁদটাও যেন থমকে দাঁড়িয়ে, এত মানুষ!
আমি ম'লে ঘুচিবে জঞ্জাল
ভোকাল কর্ডে আঁচড়
যেই না বলেছে, ওমিক্রন যদি হবে জ্বর নেই কেন?
কিছু মোহ
ছোটোবেলা থেকে বাবা-মা, শিক্ষক, গুরুগম্ভীর আত্মীয়,পাড়ার দাদা-জেঠু-কাকা, নানা দেবদেবী প্রমুখদের ভয় পেতে পেতে, ভয়ের উপর একটা দুর্বলতা জন্মে যায়।
সে ভয় পেতে চায়, ভয় দেখাতে চায়, ভয় নিয়ে ব্যবসা করতে চায়। যে কোনোভাবেই হোক ভয়ের নাগাল পেরিয়ে বাঁচতে চায় না। ভয়ও তাই ছাড়তে চায় না।...
ভালোবাসায় পাঁক জমেছে
কান পেতে শুনলো
আপ্রাণ চাইত
সে একা হবে না ...
অপচয়
কিছু তো এদিক, ওদিক ...
হাতের উপর হাত রাখা আজ সত্যিই সহজ নয়
স্যানিটাইজার হাতের নাগালে না হলে...
খদ্দের
দোকান বন্ধ করে নন্দদুলাল মাফলারটা জড়িয়ে বেরোতে যাবে, এমন সময় একজন এসে দাঁড়ালো।
সূচ
সমস্যা..... বুঝলে