Skip to main content

যেদিন ও কাঁদবে

দাদা, হয়ে গেছে, আসুন।

  পরিতোষ আকাশের দিকে তাকিয়ে, গঙ্গার জলে পা ডুবিয়ে বসেছিল। তার একমাত্র মেয়ে, পনেরো বছর বয়েস, তার পুড়ে যাওয়া শেষ। এবার তার নাভি খুঁজতে নামবে ডোম। সারাজীবন কত মানুষের নাভি সে কুড়িয়েছে কে জানে? জাহ্নবী চলে যেতোই। তার রোগের চিকিৎসা আবিষ্কার হয়নি যে। একজন মানুষ আর কতদিন বিছানায় বন্দী হয়ে কাটাতে পারে? বরং ভাবনা ছিল, সে চলে গেলে রাখি মেয়েটাকে নিয়ে একা পারবে? ...

দ্য ব্ল্যাঙ্ক স্লেট

অনুভবের অনেক নাম আছে। একটা নাম - ইচ্ছা। ইচ্ছা, আমার অনুভব। যদি সব কোলাহল থেকে সরে
আসো, যদি নিজের মধ্যে ডুবে দেখো, দেখবে অবাস্তব থেকে বাস্তবের দিকে চুঁইয়ে চুঁইয়ে যা নামছে, সে অনুভবের নাম, ইচ্ছা। সে অন্ধকার থেকে রূপ নিচ্ছে। সে নিজেকে জন্ম দিচ্ছে। ইচ্ছা। ...

কুয়াশার আড়ালে

কুয়াশার আড়ালে

কিছু লুকিয়ে রাখতে নেই ...

Behind the veil of mist

Behind the veil of mist
Nothing should be kept hidden

সতর্ক আর সচেতন

সতর্ক আর সচেতন - দুটো এক শব্দ কি? নয়। আমার দাঁতে ব্যথা, আমি সতর্ক হয়ে আছি, এই বুঝি ব্যথা লাগল। ঠাণ্ডা, গরম, কঠিন খাবার এড়িয়ে যাচ্ছি। ব্রাশ করছি সতর্কভাবে। আবার কারোর দাঁতে কোনো সমস্যা নেই, তবু সে দাঁতের যত্ন নিয়ে ভীষণ সচেতন। দুবেলা ব্রাশ করা, খুব ঠাণ্ডা-গরম এড়িয়ে যাওয়া ইত্যাদি ইত্যাদির মাধ্যমে।

মোটে চারটে অক্ষর

দেখুন, শব্দগুলো তো আগেও শুনেছি, মানে আর কি জ্ঞান হওয়া ইস্তক শুনে আসছি। কিন্তু এমন অসামান্য
স্পষ্ট, সুরে উচ্চারণ, সত্যিই আমার মনে পড়ে না আমি শুনেছি।

অমৃত... বিষের স্রোতে

সনাতন বৈরাগীকে দেখলে মনে হবে এরকম মানুষ তো প্রায়ই রাস্তায় চলতে ফিরতে চোখে পড়ে। বিশেষত্ব বলতে তো কিছু নেই!

দাবানল

গরম পাত্র কি দিয়ে ধরিস?

সাঁড়াশি... সাঁড়াশি না পেলে কাপড়...

ভিড়

মহাপুরুষের আশ্রমের প্রাঙ্গণে বিশাল ভিড়। লাইনের শেষ দেখা যাচ্ছে না।

ছেলেটা যখন ক্লাস সিক্সে পড়ে

ছেলেটা যখন ক্লাস সিক্সে পড়ে
তার মা একদিন তার আঙুলে একটা সাদা পাথর দেওয়া আংটি পরিয়ে দিল
বলল, দেখিস বাবু, তোর মন অনেক শান্ত হবে
ছেলেটার মন কোনোদিন শান্ত হল না,

বিদ্যালয়

বইয়ের পাতাগুলো একটা বাঁধুনিতে বাঁধা থাকে। খেয়াল পড়ে না। পাতার পর পাতা উলটে যাই, অক্ষরের মর্মে অবগাহন করি, কিন্তু বাঁধুনির কথা মনে থাকে কি?

অবাস্তব

তুমি বললে, অবাস্তব
আমিও বললাম, অবাস্তব ...

অতি সাধারণ যে

কলকাতার
কোনো একটা অখ্যাত গলির মোড়ে
অখ্যাত একটা ছোট্টো রুটির দোকান ছিল

বোকা হওয়া দোষের কিছু নয়

বোকা হওয়া দোষের কিছু নয়। সমস্যার। যখনই বুঝতে পারবেন বোকা হয়ে গেছেন, নিজের কোনো খামতির জন্য বা অন্যের চালাকির জন্য, অনুতপ্ত হবেন না বা ক্ষুব্ধ হবেন না। স্বাভাবিক ঘটনায় ক্ষুব্ধ হওয়াটা অপ্রত্যাশিত বোকামি। যেই না বোঝা গেল, বোকা হলাম, তখনই দেখতে হবে বোকা হওয়ার জন্য যে ক্ষতিটা হল সেটাকে কি করে সামাল দেওয়া যায়।

দুঃখ থেকে ত্রাণ

দুঃখ থেকে ত্রাণ পাওয়ার জন্য কত উপায় মানুষটা করল। কোনোটা কাজে এলো না। তারপর দুঃখ পেতে পেতে একদিন যখন তার দুঃখের ভয়টা চলে গেল, তার মনে হল যেন কদ্দিনের না কাচা কম্বল তার গা থেকে খসে গেল। তখন তার নিজের আগেকার চেষ্টাগুলো মনে পড়ে হাসি পেল, নিজেকে কত নির্বোধ মনে হল। সে খুব হাসল ক'দিন ধরে। লাগাতার হাসল।

সে নিজেও জানে না

বাঁ হাতের গোড়া থেকে টাটাচ্ছিল। এই হাতের কাঁধের কাছে গোলাটা দুবার বেরিয়ে গিয়েছিল ধড় থেকে। কি যন্ত্রণা, উফ্..., কি যন্ত্রণা খাণ্ডোবাই জানে। আবার খাণ্ডোবার নাম করছে! মন বড় পাজি। কয়লার মত। যতই ধোও রঙ আর যায় না।

নারায়াণ ডাকি কহে

নারায়াণ ডাকি কহে
জুকেরবাগেরে
ফেসবুক জুড়ি কেন
  ক্রন্দন রোল ওঠে

এক খামচা কষ্ট

কান ঘেঁষে গুলিটা চলে গেল। মানুষ মারার গুলি না, বেলুন ফাটানোর।

পয়লা জানুয়ারী

পয়লা জানুয়ারী। গিন্নী কম্বল ছেড়ে বেরিয়ে, খাট থেকে নেমে, দেওয়ালে ঝোলানো রামকৃষ্ণদেবের ছবিতে প্রণাম করে বললেন, হ্যাঁ গো, আজ তো কল্পতরু উৎসব, চলো না গো আমরা কাশীপুর মঠে যাই। কদ্দিন যাই না। ...

ভোরের সূর্যের মুখোমুখি

যদি দৈন্যই সত্যি হত অবশেষে
তবে দিগন্তলীন সমুদ্রের সামনে
  কি ভোরের সূর্যের মুখোমুখি
                  দাঁড়াই কি করে?

বিরাট স্বপ্ন

নধরকান্তি বাবু ব্লাড সুগার নিজের ছন্দে নিয়ন্ত্রণে রাখেন। চায়ে চিনি খান না। কারোর বাড়ি গেলে কেউ যদি ভুল করে বা না জিজ্ঞাসা করে চিনি দিয়ে ফেলে চায়ে, মুখেও দেন না সে চা, কিন্তু চায়ের পর দুটো রসগোল্লা ওনার চাই-ই চাই।

Kabir Kabir

When time came to leave this mundane world, Sant Kabir left Kashi, went to Maghar and breathed his last. It is an illusion to believe that you can achieve 'nirvana' if you breathe your last in Kashi--- said Kabir. Your religion, your ethics, your reverence for truth is your own responsibility, he said. He asked us to be mature in our belief, in our religion.

একদিন সব রোগ ভালো হয়ে যাবে

একদিন সব রোগ ভালো হয়ে যাবে। সবাই ঘুম থেকে উঠে বলবে, বাহ্! কই কিচ্ছু তো নেই! সবাই বলবে, সত্যিই জীবন কি আনপ্রেডিক্টেবল না? ...

ঈর্ষা

 

তখন আমাদের বাড়ি হয়নি। রেলকলোনিতেই থাকি। এরকম মেঘলা দিন একটা। মায়ের সঙ্গে বসে গল্প হচ্ছে। বিষয়, কেমন বাড়ি মা চাইছেন, কোথায় চাইছেন ইত্যাদি।

ঝুড়ি

ভীষণ মেঘ করেছে দেখে ঝুনু ঝুড়ি বোনার সব কিছু নিয়ে বাড়ির সামনে যে টিলাটা আছে, সেই টিলার উপর যে শিব
মন্দিরটা আছে, তার চাতালে গিয়ে বসল। এতটা উঠতে হাঁফ ধরে না যে তা নয়। ধরে। বুকটা হাপরের মত ওঠে পড়ে।
উঠতে উঠতে ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে, কতবার যে সারাদিন উঠত নামত! শরীরটা বদলে বদলে যাচ্ছে, মনটা না।

বাসিফুল

বাসিফুল, নষ্টফুলের স্তূপ গঙ্গার ধারে জড়ো করে রাখা। ক্ষ্যাপা বলল, বলো তো, কোন ফুল মন্দিরের, আর কোন ফুল বাজারের?

স্বামীজীর জন্মদিন

(আজ ১২ই জানুয়ারি। স্বামীজীর জন্মদিন। তিনি এককালে স্বদেশমন্ত্র লিখেছিলেন। আজ যদি লিখতেন, তবে কি লিখতেন?)

অভিমান দুর্বলের রাগ

অভিমান দুর্বলের রাগ। সে যতই কাব্যিই অভিমান নিয়ে হোক না কেন, আদতে যে দুর্বল, অভিমান তারই
হয়। যে নিজেকে ভাবে অশক্ত, অক্ষম তারই অভিমান হয়। সে নিজেকে উপেক্ষিত, বঞ্চিত ইত্যাদি নানা
কিছু ভেবে ভেবে রোষানলে পুড়ে মরে। কিন্তু কাজের কাজ কি কিছু হয়? হয় না।

এখন ঘুরেফিরে

এখন ঘুরেফিরে
মাথার মধ্যে
হোয়াটসঅ্যাপে
টেক্সটে, ফোনে

শ্মশানযাত্রী

 খবরটা রটতেই রাত দুটো থেকে লোক জমা হতে শুরু করল। কনকনে ঠাণ্ডায় বারুইদের উঠানে এক এক করে লোক জমছে। পেয়ারা গাছে বসে থাকা প্যাঁচাটা ডাকছে না। লোক দেখছে। এত রাতে এত লোক! আধখানা খাওয়া চাঁদটাও যেন থমকে দাঁড়িয়ে, এত মানুষ!

আমি ম'লে ঘুচিবে জঞ্জাল

একজন হনুমানের একটা ছবি আঁকলেন। ছবিটা এমন, ফ্রেমের মধ্যে হনুমান বসে। লেজটা ফ্রেমের বাইরে বেরিয়ে অনেকখানি।...

কিছু মোহ

কিছু মোহ মানুষ বড় হলেও ছাড়তে পারে না। তার মধ্যে একটা, ভয়ের প্রতি মোহ।
ছোটোবেলা থেকে বাবা-মা, শিক্ষক, গুরুগম্ভীর আত্মীয়,পাড়ার দাদা-জেঠু-কাকা, নানা দেবদেবী প্রমুখদের ভয় পেতে পেতে, ভয়ের উপর একটা দুর্বলতা জন্মে যায়।
সে ভয় পেতে চায়, ভয় দেখাতে চায়, ভয় নিয়ে ব্যবসা করতে চায়। যে কোনোভাবেই হোক ভয়ের নাগাল পেরিয়ে বাঁচতে চায় না। ভয়ও তাই ছাড়তে চায় না।...

ভালোবাসায় পাঁক জমেছে

কুয়ো ঝালাতে লোক এলো। বলল, কদ্দিন পরিষ্কার করা হয় না, এত পাঁক! তাই তো এত গন্ধ!

কান পেতে শুনলো

মানুষটা চাইত
আপ্রাণ চাইত
সে একা হবে না ...

অপচয়

বৃষ্টির সব বিন্দুই কি নদী, খালে, বিলে, সাগরে, চাষের ক্ষেতে গিয়ে পড়ে?
কিছু তো এদিক, ওদিক ...

খদ্দের

দোকান বন্ধ করে নন্দদুলাল মাফলারটা জড়িয়ে বেরোতে যাবে, এমন সময় একজন এসে দাঁড়ালো।

সূচ

সমস্যা..... বুঝলে

মায়ের হুইলচেয়ার

হুইলচেয়ারে সারাটা রাত বসে থাকে ছেলেটা। তার মায়ের হুইলচেয়ার। ছিল।

গন্তব্য, বারাণসী

এত ম্লান হাওড়া স্টেশান দেখব ভাবিনি কোনোদিন। হুইলারের স্টলে ঝুলছে ঝুল। একটা খবরের কাগজ পেলাম না। সব বইয়ের দোকান বন্ধ। শনিবার ছ'টা। আমাদের ট্রেন সাতটা পনেরোয়। অমৃতসর মেল। গন্তব্য, বারাণসী। কারণ, কিছুটা ব্যক্তিগত কাজ, আর কিছুটা প্রিয় শহরটার খোঁজ নিতে। ...