Skip to main content

কাদা কথা

কাদা কথা বলিস না ভাই
কাদা চিন্তাও দুরেই থাক,
কাদায় শুধুই বাড়ে কাদা
বুকের কোণেই আটকে রাখ।

অনেক কাদা সংসারে ভাই
ওসব ঘেঁটে লাভ কি বল?
...

পথে-রথে

আজ ভিতরে না
বাইরে এসো।
তিনি পথে আজ।
তুমিও পথেই নামো
...

কান্তাচার্য্য ও গঙ্গা

(কান্তাচার্য্য ও শপিং মল -এর পরবর্তী অংশ)

   শপিং মল থেকে ফিরে ইস্তক কান্তবাবুর মনে শান্তি নেই। পূর্ণ ও খন্ড তাঁর মাথা খন্ড খন্ড করে তুলছে।

   কিসে মেলে এই দুই পরস্পর বিরুদ্ধ ভাব? তিনি হাসপাতাল দেখেছেন, শ্মশান দেখেছেন; দারুখানা দেখেছেন, জেলখানা দেখেছেন। কোথায় পূর্ণতা? এ তো শুধু হাহাকার, অসহায়তা। গ্লানি আর ধিক্কার। তবে? পূর্ণ কি কল্পনা!
...

বাঁক

কখন মাটির কাছাকাছি ছিলাম, মনে পড়ে না।
পিচে বাঁধানো রাস্তা, স্ট্রিট লাইটের আলোতে
অভ্যস্ত আমার চোখ, রাতের আকাশকে বিশ্বাস করে না।
দূরের মানুষের কাছে থাকার উপায় অনেক আজ,
পাশে কে তুমি? চিনি না।
আমি কথা রাখি না। অত বোকা নাকি?
...

হেস্তনেস্ত

মন বড় গোলমেলে
কেউ তার খোঁজ পেলে
জানিও তো কোন দেশে থাকে?

ভেবে খুঁজে সারাদিন
মাথা করে ঝিমঝিম,
কি করে যে ধরে আনি তাকে!
...

কবীর দোঁহা

কাল কাল সবাই বলে, কেউ না চেনে কাল।
যা কিছু মনের কল্পনা(আশা-স্বপ্ন),তাকেই ভাবে কাল।

কান্তাচার্য্য ও শপিং মল

   দক্ষিণ কলকাতার একটা নামী শপিং মল। দুপুরবেলা। কান্তাচার্য্য তাঁর গিন্নীকে নিয়ে এসেছেন আগেভাগে পূজোর কেনাকাটা সেরে ফেলতে। ভুল বললাম, গিন্নী অর্থাৎ কিনা তারাসুন্দরী দেবী কান্তবাবুকে নিয়ে এসেছেন। সে যাই হোক। তারা দেবী এ দোকান সে দোকান ঘোরেন, পিছনে পিছনে ব্যাগের বস্তা নিয়ে কান্তবাবু। কিছুক্ষণ ঘোরার পর তিনি বললেন
...

তবু

পাওয়ার হিসাব মেলে নি কোনোদিন,
তবু করতে হয়, অভ্যেস।
তুলনা করে শান্তি পাই নি কোনোদিন,
তবু করতে হয়, অভ্যেস।
...

নিজের জন্য

প্রেমকে হতে দিয়ো না অবিশ্বস্ত
খারাপ লাগবে।
দেখবে শ্রাবণের মেঘ তোমার থেকে মুখ ফিরিয়ে,
দিঘীর জলে নিজের ছায়াকে পাবে ভয়
জল নাড়িয়ে ছবি গুলিয়ে কি পাবে?
...

ফেরো

যে উত্তাপ বুকে কোথাও নেই
তাকে কোথায় খুঁজব?

চলা

ফিরব বলে পথের ধারে একলা দাঁড়ালাম।
ফেরা হল না।

তুমি এসো না

তুমি এসো না।
আমার পুরোনো কথা মনে পড়বে।

পাগলিনী

   আমরা বন্ধুরা পুরী থেকে ফিরছি। রাত আটটার ডাউন পুরী হাওড়া এক্সপ্রেস। বেশ কিছুটা আগেই স্টেশানে পৌঁছে গেছি। ট্রেন দেওয়াই ছিল প্ল্যাটফর্মে। কামরায় উঠতেই আমরা অবাক। আমাদের সিটে বসে একজন বাইশ তেইশ বছরের মেয়ে, শতচ্ছিন্ন পোশাক, উশকোখুশকো চুল। আচরণে বুঝলাম মানসিক ভারসাম্যহীন। কি করি, অস্বস্তি লাগতে শুরু করল।
...

কবীর দোঁহা

বিনা প্রেম ধৈরয নাই,বিনা বিরহ বৈরাগ।
বিনা সদগুরু না যায় রে, মনের কালো দাগ।।

তোর জন্যে

আমার সারাটা আকাশ তোকে দিলাম
তুই ওড়।
আমার গোটা হৃদয় তোকে দিলাম
তুই ঘুমা।
আমার সবটা শক্তি তোকে দিলাম
...

কবীর দোঁহা

পাথর পড়ুক সে সুখের মাথায়, যে প্রভুর নাম ভুলিয়ে দেয়।
বলিহারি সে দু:খ কে, যে ক্ষণে ক্ষণে নাম স্মরায়।।

কবীর দোঁহা

মনই দিলে তো নিজের সব দিলে,
মনের সাথে শরীর।
দেওয়ার আর কি থাকে বাকি, সে কথাই বলে কবীর।।

অপূর্ণ

লোকটা দূরের দিকে তাকিয়ে চলত।
দেখল না পায়ের কাছেই ম্যানহোল ছিল।
সারা বছর শীতের পোষাক জমাল।
বুঝল না শীত পার হয়ে বসন্তও বিদায়ের পথে।

কবীর দোঁহা

সব ঘটে আমার প্রভু বসে, শূণ্য একটিও নয়।
বলিহারি সেই ঘটকে, যেথা প্রভু প্রকাশিত হয়।।

কবীর দোঁহা

সব ঘটে আমার প্রভু বসে, শূণ্য একটিও নয়।
বলিহারি সেই ঘটকে, যেথা প্রভু প্রকাশিত হয়।।

তোমার জন্যে

তোমার চোখে জল।
জানি মনে পড়ছে তোমার।

কবীর দোঁহা

পাপ পূণ্যের নাই শঙ্কা,স্বর্গ নরকে না যাই।
কবীর কহে শুন ভাই সাধু,যাব সেথায়, যেথায় আছি সদাই।।

কবীর দোঁহা

পাপ পূণ্যের নাই শঙ্কা,স্বর্গ নরকে না যাই।
কবীর কহে শুন ভাই সাধু,যাব সেথায়, যেথায় আছি সদাই।।

কবীর দোঁহা

তোর হৃদয়ে প্রভু বসে, তাই না দেখতে পাস।
হৃদ-মন্দিরে না যদি পেলি, পাথরে কি খুঁজে পাস।।

পূর্ণতার পূর্বে

হাতের আগুনে না, মনের আগুনে পুড়ল
জ্বলে উঠল সব।
আকাশে তাকালো
ভাবল কোটি সূর্য্য জ্বলে উঠবে
জ্বলল না।
মাটিতে তাকাল
...

কান্তাচার্য্য ও কেন?

   ঘটনাটা ঘটল কান্তাবাবু অফিস থেকে ফেরার পর। কান্তাবাবু মানে আমাদের কান্তাচার্য্য। একটা সাধারণ চাকরি করেন কোলকাতায়, বেসরকারি। শ্যামনগরে পৈতৃক বাড়ি। বাড়িতে বর্তমানে তিনি, তাঁর গিন্নি আর বারো বছরের ছেলে। এই নিয়ে তাঁর সংসার। মোটামুটি স্বচ্ছল অবস্থা। সমস্যাও কিছু নেই তেমন সংসারে। তবে যেটি আছে তা হল কান্তাবাবুর ভাবার বাতিক।
...

কবীর দোঁহা

নয়নে যেমন নয়নতারা, প্রভু তেমনি তোর ঘরে।
মূর্খ রে তুই না বুঝে,বাইরে খুঁজিস মরে।।

কবীর দোঁহা

ধীরে রে মন ধীরে ধীরে, ধীরেই সব কিছু হয়।
মালী সেঁচুক শত ঘড়া,ঋতুতেই ফল উপজায়।।

কবীর দোঁহা

চিন্তা বড় ডাকিনী, তোর হৃদয় চিরে খায়।
বৈদ্য বেচারা কি করে,কত আর বিধান জানায়।।

তোতা কাহিনী

বাচ্চাটা এখন চুপ করেই থাকে।
আর জানতে চায় না মাছওয়ালাকে
তার মাছের দাম কত।
বুবাইকে জিজ্ঞাসা করে না
তার স্নান হয়ে গেছে কি না।
ফুলপিসিকেও জানতে চায় না
তাঁর পূজো হয়ে গেছে কি না।
...

বন্ধনহীন গ্রন্থি

উত্তর কলকাতার ঘটনা। আমার এক আত্মীয়া থাকতেন সেখানে। আমি ছোটবেলায় বাবা-মায়ের সাথে প্রায়ই যেতাম সপ্তাহান্তে। বড় হয়ে একাই যেতাম ওনার বিশাল লাইব্রেরীর আকর্ষণে। ওনাদের বাড়ির কটা বাড়ি পরেই ছিল বুলু পিসিদের বাড়ি। আমার মজা লাগত ওদের ছাদটা দেখতে। খোলা ছাদ, মাঝে দোলনা আর
...

কেউ ডাকে না

কে ডাকছে?
কেউ না।
আজকাল বড় কেউ ডাকে না কাউকে।
প্রয়োজন শুধু ছিনিয়ে নিতে আসে।
তাকে কি ডাক বলা যায়?
না বোধহয়!
...

গাছ মেঘ আর মরুভূমি

চারাগাছটা মরুভূমি পেল।
নদী না, পুকুর না, খাল-বিল কিছুই না,
শুধু মরুভূমি পেল।
চোখ মেলে দেখল চারিদিকে শুধু বালি আর বালি।
মাথার উপর গনগনে সূর্য্য।
বালি কাঁটাগাছ নুড়ি পোকা সবাই অপেক্ষায় থাকল
...

রূপান্তর

প্রেম খুঁজে পেল আমায়।
শরীরকে স্পর্শ করে হল উত্তেজিত।

শরণাগতি

শরৎকালের সকাল। গুরু বসেছেন ধ্যানে। তাঁর সেবক ব্যস্ত আশ্রমের নানাবিধ কাজে। চারিদিকে শান্ত স্নিগ্ধ পরিবেশ। কাজ সেরে শিষ্য বসলেন আশ্রমের দাওয়ায় আসন পেত

চক্র

সকাল থেকে রাত্রি কয়েকটা ধাঁদা
সমাধান করতে হয়।

অভিমান

আমার অভিমানগুলো সরিয়ে দাও।
আমি যেদিকে তাকাইনি কোনদিন
সে দিকেও ফিরব।
যে গান শুনিনি অবজ্ঞায়
সে গান শুনব আজ, তুমি আবার গাও।
...

নিজের সাথে বোঝাপড়া

স্রোতের সাথে ভাসবি,
নাকি ডুব সাঁতারে তরবি।
এটা তোরই উপর।

বাইরে থেকে দেখবি,
নাকি ঘরের ভিতর ঢুকবি।
...

মনকে বোঝাও

আর কিছু না, আর কিছু না
মনকে বোঝাও।

রামকেও না শ্যামকেও না
যদুকেও না মধুকেও না।
মনকে বোঝাও।
...

বরং

আর পালাব না।
সেই ভাল
বরং আগুনেই পুড়ি।
শেষে কিছু তো থাকবে বাকি।
...