Skip to main content

শরণাগতি

শরৎকালের সকাল। গুরু বসেছেন ধ্যানে। তাঁর সেবক ব্যস্ত আশ্রমের নানাবিধ কাজে। চারিদিকে শান্ত স্নিগ্ধ পরিবেশ। কাজ সেরে শিষ্য বসলেন আশ্রমের দাওয়ায় আসন পেত

চক্র

সকাল থেকে রাত্রি কয়েকটা ধাঁদা
সমাধান করতে হয়।

অভিমান

আমার অভিমানগুলো সরিয়ে দাও।
আমি যেদিকে তাকাইনি কোনদিন
সে দিকেও ফিরব।
যে গান শুনিনি অবজ্ঞায়
সে গান শুনব আজ, তুমি আবার গাও।
...

নিজের সাথে বোঝাপড়া

স্রোতের সাথে ভাসবি,
নাকি ডুব সাঁতারে তরবি।
এটা তোরই উপর।

বাইরে থেকে দেখবি,
নাকি ঘরের ভিতর ঢুকবি।
...

মনকে বোঝাও

আর কিছু না, আর কিছু না
মনকে বোঝাও।

রামকেও না শ্যামকেও না
যদুকেও না মধুকেও না।
মনকে বোঝাও।
...

বরং

আর পালাব না।
সেই ভাল
বরং আগুনেই পুড়ি।
শেষে কিছু তো থাকবে বাকি।
...

অপরূপ রুপ

স্নানে গেছেন কমলাক্ষ। তিনি ভাস্কর। গ্রামের প্রান্তে ছোট একটা কুটিরে তাঁর কর্মশালা।

তুমি কোন পথে যে এলে

কাপড়খানা নিয়ে তার আর দুশ্চিন্তার অন্ত নেই। খুব দামী কাপড়। তার গুরুর শরীর জুড়ে থাকত এই বস্ত্র। তাঁর শেষ স্মৃতি এটি, এ কি হেলা করবার জিনিস! একটু দাগ যেন না লাগে, গন্ধ যেন না হয়। আহা, কি ধবধবে সাদা! গুরুচরিত্রের মতই শুভ্র। সে যত দেখে তার চোখ তত যায় জুড়িয়ে। কিন্তু কি করে রাখবে সে একে খাঁটি?

অনেক ভেবে সে গেল নগরের সবচেয়ে নামী কাঠের কারিগরের কাছে।
...

এলে নয়ন মাঝে

বেশ কিছু বছর আগের কথা। শিয়ালদা থেকে কোনো একটা আপ ট্রেনে উঠেছি। বাড়ি ফিরছি, কাঁচরাপাড়ায়। সকাল এগারোটার আশেপাশে হবে। বর্ষা কাল। লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে কয়েকদিন ধরে। ফাঁকা ট্রেন। আমি দু'পাশের জানলা থেকে বেশ কিছুটা সরে মাঝামাঝি বসলাম। ট্রেন ছাড়ল। আমি একটা বই বার করে পড়তে শুরু করলাম। ট্রেন এগোতে লাগল আর ভীড়ও আসতে আসতে বাড়তে লাগল।
   আগরপাড়া থেকে একটা পরিবার উঠে আমার পাশের সিটগুলোতে বসল।
...

ভয়ংকর

তুমি পূর্ণিমাতে অমাবস্যা খোঁজ
আগুন জ্বেলে খোঁজ অন্ধকার।
নিজের বিশ্বাসগুলোর সাথেই নও বিশ্বস্ত।
মুখের চেয়ে ভরসা রাখো মুখোশে।
তবু কি অহংকার তোমার!
অপ্রিয় কথা বলতেই পার অনায়াসে।
...
Subscribe to