জানলা
খোলা জানলা
বাতাস এলো তোমার গন্ধ নিয়ে
বন্ধ জানলা
আমার গন্ধে বাতাস উঠল ভারী হয়ে
উনুন খুঁড়ে
অনেক শরীরের স্বাদ পেতে পেতে
যে মানুষটা হৃদয়ের স্বাদ ভুলল-
সেদিন সে বুকে হাত দিয়ে দেখে
খুব বড় একটা অন্ধকার গর্ত
তার অনেক নীচে একটা গরম চাটু
সে জল খুঁজছে এখন, উনুন খুঁড়ে।
তোমার দৃষ্টি
তোমার দৃষ্টি
আমার অদৃষ্টের পথ ঘিরে
তোমার হাসি
আমার বাধা-বিঘ্ন চিরে
খোঁজ
সাজানো কথা ক্লান্ত হয়ে ফিরে
নীরবতায় ঘুমিয়ে পড়ে রোজ
নীরবতা সারা আকাশ চেয়ে
ধ্রুবতারার আবার আনে খোঁজ
লাল টকটকে সিঁদুর
বাজার করতে ফুটো ব্যাগ
জল আনতে ফুটো হাঁড়ি
কুটনো কুটতে ভোঁতা বঁটি
রান্না করতে বাঁকা বাসন
যে হাত দুটোতে এ সংসার-
সে হাতে দুটো সাদা ধবধবে শাঁখা
আর তাতে লাল টকটকে সিঁদুর
নীল আঁচল
তখন মা অসুস্থ। তবু কয়েকদিন কিছুটা সুস্থ আছেন দেখে নিজেই একদিন আমায় বললেন, সারা দিন আমায় নিয়ে থাকিস, বাইরে কোথাও থেকে একটু ঘুরে আয়।
মরার তার সময় আছে নাকি
রোজ রাতে যে মরতে পারলেই বাঁচে
পরের দিন সে সবার আগে ওঠে
ফুল চোরকে দেয় গালি
উঠোন ধুয়ে, চা বসায়
মরার তার সময় আছে নাকি?
বৃত্ত
সবই আছে, সবই হচ্ছে
তবু কোথায় যেন
একটা ছেড়ে যাওয়ার ব্যাথা
একটা শূন্যতা,
তরী মাঝ সমুদ্রে বলে?
জানি না।
এত গতি, এত টানাটানি, কাড়াকাড়ি
হাসি কান্না আশা হতাশা - সব কোন কালের গহ্বরে হচ্ছে লীন?
সেখানে গেলে কি আমার ফেলে আসা অতীতের সাথে আবার হবে দেখা?
কেউই জানি না।
তবু মনে হয়,
মন বোধহয় কিছুটা তার আভাস রাখে।
মেঘ রোদকে বলল
মেঘ রোদকে বলল, ধর
ছায়া দীঘির জলকে বলল, ছোঁ
ফুল মৌমাছিকে বলল, আয়
ঝরাপাতা গাছকে বলল, যাই
প্রাণ অনন্ত অসীমকে বলল, আছি
তখনই বাধে গোল
অনেকে বাড়ির সামনের দরজার সাথে সাথে পেছনের দরজাও রাখে খোলা,
চালাকি করে।
যারা সামনে দিয়ে আসতে না পারে
তারা ঘুর পথে পিছনের দিক দিয়ে ঢোকে নির্দ্বিধায়।
মাঝে মাঝে -
কিছু পেছনের দরজা দিয়ে ঢোকা লোক সামনের দরজা দিয়ে ঢুকতে যায়
আচমকাই, অন্ধকারের ধাঁদায়
আর তখনই বাধে গোল।