ফুলকি
ছেলের গোত্র কি?
মেয়ের?
এ বাবা!
এ গোত্র চলে না যে!
নমো শুদ্দুরের সাথে বামুন!
আরে মিত্তিররা কি গোত্রের হয়?
কি বললেন?
আর, পাল? কর্মকার?
আরে শুনতে পাচ্ছি না যে....
বাঁক
দিয়া
তুমি চোরাবালি না ভুলভুলাইয়া
কি সুখ বলতে পারো?
তোমার শিখায় জ্বলে পুড়ে
কাজল হয়ে
তোমার চোখের কিনারাতেই
বদল
স্যুটকেশটা হাতে করে রিকশায় উঠল
তারপর উঠল ট্রেনে
শুলো বাঙ্কে
দু'জোড়া সতর্ক চোখ থাকল চেয়ে -
যেন নীচে না পড়ে
শুধু কালের অপেক্ষা
তবে কি সব ভণ্ডামী ছিল?
হাতে হাত রাখা
কাঁধে হাত রাখা
হাসিগুলো ছিল সৌজন্যের?
প্রাণের না?
তবে এত অসহিষ্ণুতা কেন?
তবে কি গোপনে গোপনে সবাই আমরা
বারুদ সাজাচ্ছিলাম?
শাণ দিয়ে রাখছিলাম ছুরি, কাটারী?
কথা ছিল
কথা ছিল একসাথে যাব স্নানে
দীঘির জলে
একসাথে দেব ডুব
একসাথে উঠব পাড়ে
বনসাই
একটা বটগাছের বনসাই
তার আকার এখন
একজন প্রমাণ লোকের হাঁটুর কাছাকাছি
তাতেই হল সুবিধা
গাছটা পেল না মাথা তুলতে
গাছটা পেল না মোটা গুঁড়ি বানাতে
গাছটা পেল না আকাশের নাগাল,
তার ডালপালা ছড়িয়ে
আবার একটা মৃত্যু
আবার একটা মৃত্যু! না ইতিহাসের দৃষ্টিতে নতুন কিছু না। শুধু ইতিহাসের গতিপথটা বুঝছি না।
বার্টান্ড রাসেলের দুটো উক্তি ভীষণ ভাবে মনে আসছে। ওনার জীবনের একদম শেষের দিকে একটা টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে, ওনাকে আগামী প্রজন্মের জন্য কিছু বলতে বলা হয়েছিল (ইউটিউবে প্রাপ্য)।
টেবিল ক্লথ
টেবিল ক্লথের উপরে এত নক্সা কেটেছো কেন?
আমায় একটা সাদা টেবিল ক্লথ আনিয়ে দাও
টেবিলের ওপর রাখা
কাগজ, কালি, পেন ছুঁড়ে ছুঁড়ে ফেলেছো
বহুবার
যেই ওরা আড়াল করেছে নক্সা,
লোককে দেখিও তোমার টেবিল ক্লথ নিজের সারা গায়ে জড়িয়ে
আমার টেবিল থেকে সরিয়ে নাও
তোমার রঙীন সূতোর নক্সা কাটা টেবিল ক্লথ
আমার অসুবিধা হচ্ছে
উদারচেতা
কলকাতায় কিছু বিশেষ রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষ, কবি ইত্যাদিরা জমায়েত হয়ে গোমাংস ভক্ষণ করে প্রতিবাদ জানালেন - খাবারে কোনো ফতোয়া মানছি না।
অবশ্যই এঁরা উদারচেতা। তা প্রমাণ করার জন্য পশ্চিমবঙ্গ তথা কলকাতার চেয়ে নিরাপদ স্থানও নেই, এও তাঁরা ভালভাবেই জানেন।