Skip to main content

নয়


বাতাস ঢুকল পর্দা উড়িয়ে
এসেই প্রশ্ন, গলা জড়িয়ে

এসেছিল বুঝি, ফিরে গেল?

কি ভাবে খবর হল?

তোমার গায়ে এখনো যে তার গন্ধ

যা অসভ্য! আগল করি বন্ধ

লজ্জা হল?

বয়েই গেল

মরবি নাকি!

সে আর বাকি?

কতবার মলি? তাও গোনা হয়?

হাজার কোটি উনিশ লক্ষ নয়

নয়েই শেষে আটকে গেল, কি ভয়?

মরণ


ভ্রমর বাতাসকে বলল, তুমি ভারী বুদ্ধু।
বাতাস বলল, কেন? 
ভ্রমর বলল, সারাদিন থাকো ফুলের আশেপাশে, তবু চাও না একবিন্দু মধু। 
বাতাস হাসল। ভ্রমর বলল, হাসলে যে! লুকালে বুঝি কিছু? 
বাতাস বলল, না তো। 
ভ্রমর বললে, বলো তবে কি পাও?
বাতাস বলল, ওর গন্ধ।
ভ্রমর ফুলকে বলল, আর তুমি কি পাও?
ফুল বলল, ওর স্পর্শ।

চিরশুচি


ওরা বলল তোমায় 
       অশুচি
             দুশ্চরিত্রা
                      লজ্জাহীনা

বাগান


সব বাগানের দরজায় তালা থাকে না
এমনকি সব বাগান পাঁচিলে ঘেরাও না

কিছু কিছু বাগান এমন আছে -
যেখানে ঘেঁটু ফুল সেজে 
    পারিজাত ফোটে গাছে

গেছি সে বাগানে বারেবারে সব ভুলে
মালির দু'হাত সুরভিত নানা ফুলে
সে বিনা দ্বিধায় দিতে পারে সব ফুল
    তেমন তোমার নেওয়ার সাজি হলে

তোমার সাথে বারোমাস


দিনরাত সব পুড়ছে
ছাদেতে না ঘুমানো রাত
আকাশে তারারা প্রতিবেশী
       তুমি উদাসী উন্মুখ
আমার উদাস আত্মসুখ

বাইরে ঘন বর্ষা
অনালোক ঘরবার
আমার হাত-বালিশের উপর
       তোমার ঘুমন্ত মুখ
আমার অতল আত্মসুখ

মামু

আমি আর আমার জান- মামু...আমার দিদির মেয়ে। 
 
ওর সাথে আমার প্রথম দেখা হল ওর ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরই। নার্স বললে, দেখে যান। দেখি একটা ট্রের উপর সদ্য ইহজগতে আসা ছোট্ট মানুষটি। নাভির সাথে তখনও মায়ের শরীর থেকে আসা ডেটা কেবিলের কিয়দংশ লেগে। 
 

সবাই আলাদা আলাদা শুয়ে

সবাই আলাদা আলাদা শুয়ে। কেউ কারোর পাশে নেই। শুকনো কিছু পাতা উড়ে বেড়ায় ওদের উপর দিয়ে। ওরা টের পায় না। মাটির কাছে থাকলেও চারদিকে তাদের অসংবেদনশীল আস্তরণ। তার উপরে আসা যাওয়ার তারিখ লেখা। তারাই কথা বলে এখন।

অজগর

(কাল - প্রাক্ স্বাধীনতা; স্থান - বাংলার অখ্যাত একটি গ্রাম)

তুমিও তাই বলবে?


যে রাস্তাটা অর্ধেক হেঁটে ফিরে গিয়েছিলে
আমি এখনো ঠিক সেখানেই দাঁড়িয়ে

দেখতে দেখতে কত কি পাল্টে গেল
কত কেউ এলো গেলো
আমি এক বিন্দুও নড়িনি
                      দেখো

অন্ধকারের রাজা

হাসিতে রঙ করা মুখগুলোর পিছনে ঘন জঙ্গলের অন্ধকার। 

অন্ধকারগুলোর গন্ধ খুব চেনা। ফিসফিস শব্দ আসে। স্পষ্ট না। মাঝে মাঝে দীর্ঘশ্বাস। কোনো রাতজাগা পাখির ডানা ঝাপটানোর শব্দ। ফোঁপানো কান্না। চাপা আর্তনাদ। এদিক ওদিক থেকে উঁকি দেয় তীক্ষ্ম রক্তচক্ষু, তাতে খোদাই করা প্রতিহিংসার নেশা। 

Subscribe to