নয়
বাতাস ঢুকল পর্দা উড়িয়ে
এসেই প্রশ্ন, গলা জড়িয়ে
এসেছিল বুঝি, ফিরে গেল?
কি ভাবে খবর হল?
তোমার গায়ে এখনো যে তার গন্ধ
যা অসভ্য! আগল করি বন্ধ
লজ্জা হল?
বয়েই গেল
মরবি নাকি!
সে আর বাকি?
কতবার মলি? তাও গোনা হয়?
হাজার কোটি উনিশ লক্ষ নয়
নয়েই শেষে আটকে গেল, কি ভয়?
মরণ
চিরশুচি
ওরা বলল তোমায়
অশুচি
দুশ্চরিত্রা
লজ্জাহীনা
বাগান
সব বাগানের দরজায় তালা থাকে না
এমনকি সব বাগান পাঁচিলে ঘেরাও না
কিছু কিছু বাগান এমন আছে -
যেখানে ঘেঁটু ফুল সেজে
পারিজাত ফোটে গাছে
গেছি সে বাগানে বারেবারে সব ভুলে
মালির দু'হাত সুরভিত নানা ফুলে
সে বিনা দ্বিধায় দিতে পারে সব ফুল
তেমন তোমার নেওয়ার সাজি হলে
তোমার সাথে বারোমাস
মামু
সবাই আলাদা আলাদা শুয়ে
সবাই আলাদা আলাদা শুয়ে। কেউ কারোর পাশে নেই। শুকনো কিছু পাতা উড়ে বেড়ায় ওদের উপর দিয়ে। ওরা টের পায় না। মাটির কাছে থাকলেও চারদিকে তাদের অসংবেদনশীল আস্তরণ। তার উপরে আসা যাওয়ার তারিখ লেখা। তারাই কথা বলে এখন।
অজগর
তুমিও তাই বলবে?
যে রাস্তাটা অর্ধেক হেঁটে ফিরে গিয়েছিলে
আমি এখনো ঠিক সেখানেই দাঁড়িয়ে
দেখতে দেখতে কত কি পাল্টে গেল
কত কেউ এলো গেলো
আমি এক বিন্দুও নড়িনি
দেখো