ব্যথাই যখন হৃদয়
সুখের সময় মনের খোঁজ কোথায়? যেমন দাঁতে ব্যথা না হলে দাঁত কোথায়?
আধখানা
রোদ্দুরের মধ্যে দিয়ে ট্রেনের হলুদ কামরাগুলো গেল দৌড়ে
পিছনে পিছনে দৌড়ালো আমার মন
সবটা না। কিছুটা মন থেকে গেল ওভারব্রিজের উপর।
সবটুকু মন নিয়ে হারিয়ে যেতে পেরেছে কে কবে চিরটাকালের জন্য?
থেকে যাওয়া মন ডাক পাঠালো, বলল,
"ফিরে আয়। পাপোশে পা মুছে ঘরে ঢোক"।
মাধুরী, আপনাকে
বসুক, দোল খাক
তারের উপর বসে আছে একটা নীলকন্ঠ পাখি। ট্রেনটা দাঁড়িয়ে। জানলা দিয়ে তাকিয়ে বসে শীলা। ভেলোর থেকে ফিরছে। ডাক্তারের জবাব নিয়ে।
খামতি যা থেকে গেল সে নিয়ে ভাবতে ইচ্ছা নেই। যা পাওয়া গেল সে নিয়েও গর্ব করতে সাধ নেই। এখন ফিরলেই হয়। ক্লান্তি।
তবু হারালো না
এক্কাদোক্কা খেলতে খেলতে কখনো হারিয়ে গেছে ঘুঁটি?
ভোরের মত শীতল হ
আবেগী মন আর বিচারী মন। কোন মনের কথা শুনবে? আবেগী মন জেগে উঠলে বিচারী মন কোথায়? মানুষের এ দ্বন্দ্বের সমাধান কিসে? কোথায়?
দেশলাই এক প্যাকেট, বাতাসা দুশো, চা পাতা একশো, সিগারেট দুটো, মশা মারার ধূপ একটা…. এই তো?
ভাঙন
তিনি কোনো ভারতীয় পুরষ্কার পাননি। তাঁকে বহু শিক্ষিত, উচ্চশিক্ষিত ভারতীয় চিনতেন না। সে বড় কথা নয়, কৈলাস সত্যার্থীকেও সিংহভাগ ভারতীয় চিনতেন না, তিনি নোবেল পাওয়ার আগে অবধি। আমাদের পত্রপত্রিকাতেও বড় করে কোনো প্রতিবেদন আমি অন্তত পড়িনি। সেও বড় কথা নয়, ওসব নিয়ে লিখলে পড়বে কে?
উত্তর চায় না, নিজেকে চায়
গুরুদুয়ারার বাইরে এসে যখন দাঁড়ালো কনক তখন সন্ধ্যে হয়ে এসেছে প্রায়। হাতটা জিভে দিয়ে বাকি হালুয়াটা আবার চেখে দেখল। লোভের জন্য নয়। একটা স্বাদ পাওয়ার জন্য। যে স্বাদটা ছিঁড়ে যাচ্ছিল ভিতর থেকে।
স্কুটিতে উঠল। কানে এখনও ভজনের সুর আসছে। স্কুটি স্টার্ট করল। দোকান খোলার সময় হয়ে যাচ্ছে যে!
অনাদর
মৃত্যুর মত অভিমান তোমার
শীতল
সাড়া দেওয়ার অভ্যাস ভুলেছ
কুলুঙ্গিতে রাখা অভিযোগ
পুড়তে পুড়তে
সারা দেওয়াল কালি
প্রশ্ন
সমস্যাটা হল একটা দিয়ে সবটা ব্যাখ্যা করা যায় না। যে রাজনীতি বোঝে, সে ভাবে রাজনীতি দিয়ে সবটা ব্যাখ্যা করবে। যে যৌনতা বোঝে সে ভাবে যৌনতা দিয়ে ব্যাখ্যা করাই বুঝি