আর যাই করো
আর যাই করো
কিছুটা জমি বাঁচিয়ে রাখো
ঘর তুলো না সবটাতে
একটা ছোটো উঠোন রাখো
তাতে গাছ না হয় নাই লাগালে
জানি ভীষণ তোমার ব্যস্ততা
ঘাসই না হয় থাকুক
তারা শিশিরে ভিজুক ভোরবেলা
প্রেম-শরীর
সব শেষে দেখি, ঘরের কোণেতে দ্বীপ জ্বেলে যান কবীর
হিন্দু না ভাই, না মুসলিম, প্রেমে গড়া প্রেম-শরীর
না মন্দিরে, না মসজিদে, না জঙ্গলে, না গুহাকোণে
প্রতি শ্বাসে শ্বাসে, সেই আছে ভাই, প্রতি প্রাণে, প্রতি মনে
চিরশান্তির সুর আসে ভেসে কোন পুরাকাল থেকে
প্রতি আলোকেতে সেই আছে দেখি, সারাটা বিশ্ব ব্যেপে
প্রেমেতে সত্যে করূণায় গড়া ক্ষমার আলোতে স্নিগ্ধ
এত রক্ত কেন?
কদিন আগে ট্রেনে ভারতের পশ্চিম প্রান্ত থেকে পূবের দিকে ফিরছিলাম। ট্রেনটা বিকালবেলা আসল টাটাতে। সশস্ত্র পুলিশবাহিনী উঠল দলে দলে। পনেরো মিনিট অন্তর অন্তর টহল চলছে আমাদের চোখের সামনে দিয়ে। কেন? শুনলাম খড়গপুর অবধি বিপদসঙ্কুল পথ।
চেয়ো না
যে শিখার আলোতে তুমি বাঁচো
সে আলোকেই নাও শুধু কাছে
যে প্রদীপের সে শিখা
সে প্রদীপকে চেয়ো না, থাক
যাবে পুড়ে
সে আগুনকে বুকে নেবে -
এমন শ্মশান কি তোমাতে আছে?
রাত
সব রাত সমান নয়
কিছু রাত ঘুমকে ঘুম পাড়িয়ে
বুকের উপর স্লেট পেনসিল নিয়ে বসে
কিছু না মেলা হিসাব মেলাবার জেদ ধরে,
মেলে কি?
সারারাত হিজিবিজি কেটে
ভোরের বেলা ক্লান্ত দেহে যায় ফিরে
রেখে যায় কিছু বিষন্ন চকের দাগ
না ঘুমানো আরক্ত চোখের কোণে
দিদি
ভাইফোঁটা
ফেসবুকে জুড়ে আছো যত দিদি বোন
কপালটা পেতে আছি, মন দিয়ে শোন
পড়ুক না পড়ুক কাঁটা যমের দুয়ারে
আমার কপালে তোর আঙুল ছোঁয়ারে
ভাই বল, দাদা বল, যা খুশী তা বল
প্রাণের প্রার্থনা এই, সুখে পথ চল
এসো
সকাল থেকে অনেকবার হাত থেকে এটা ওটা পড়েছে,
(ফেলেছি? না না, কক্ষণো না)
এবার তো এসো!
আমার জন্য না হোক
অন্তত প্রাচীন প্রবাদটাকে সত্যি করতে এসো, থাকুক ওর মান
তবু এসো
মন্থন
এখনো মন্থন চলছে
এখনো বেরোচ্ছে পেঁজা পেঁজা বিষ
এখনো মন্থন চলছে
এখনো অপেক্ষায় আছি অমৃতের
অমৃত আসবে, না হলে-
এত হলাহল রয়ে যাবে নিরুত্তর
তা হয় না
অনুরোধ
পথে নেমেছি
হাতের মুঠোয় নিয়েছি কয়েকটা বীজ
ছড়াতে ছড়াতে যাচ্ছি রাস্তার দু'ধারে
ওরা গাছ হবে - আশা রাখি
যে তুমি আসছ আমার পরে
তোমার জন্য রাখলাম ক'টা গাছ
ওরা ছায়া দেবে তোমায়