Skip to main content

অবসেসান


নতুন বাথরুম। নতুন টাইলস। নতুন ফ্ল্যাশ, কমোড। গরম জল, ঠাণ্ডা জল আলাদা আলাদা কল। নতুন দামী শাওয়ার। 
     রোজ দেখতে ভাল লাগে। চাকরীর পর খুব ইচ্ছা ছিল এরকম একটা বাথরুম হবে রণিতের। হলও। নিম্ন মধ্যবিত্তের এই বড় সাধ, তার এটাই বারবার মনে হয়।

শূন্য আমি


ফুল তোলার কথা ছিল
তুলিনি

চন্দন বাটার কথা ছিল
বাটিনি

মালা গাঁথার কথা ছিল
গাঁথিনি

ভোগ রাঁধার কথা ছিল
রাঁধিনি

বেলা গেল, বেলা হল, বেলা গেল
তবু উঠিনি, উঠিনি, উঠিনি

"তুমি তো নাই, নাস্তিক আমি!"
বলে পাশ কাটালাম বাইরে

রাঙিয়ে গেল হৃদয় গগন


আসন্ন সন্ধ্যা। অস্তমিত রবি পশ্চিমাকাশে। চারদিক তপস্বীর মত শান্ত, বিরহীর মত উদাস। ঘর ফেরা পাখির দল ফিরে গেছে খানিক আগে। মেঘের ফাঁকে ফাঁকে শেষবেলার সূর্যের সোনালী আভা। যেন পুরবী বাজছে বাতাসে বাতাসে। বাতাসের ভেজা আঁচলে যেন কান্নাভেজা সুর। 

আপনি কি বলেন?

এবারের পূজোর ছুটিতে আমরা বন্ধুরা মিলে অজন্তা বেড়াতে গিয়েছিলাম। ফর্দাপুর বলে অজন্তা সংলগ্ন একটা জায়গায় একরাত্রি হোটেল বাস করতে হয়েছিল। 
সকালবেলা হোটেলের বয় আমাদের ঘরে চা দিতে এলো। ঘরের দ্রব্যসামগ্রীর দিকে ধাঁ করে একনজরে চোখ বুলিয়েই, হঠাৎ তার মুখটা সলজ্জ দুষ্টু হাসিতে রক্তিম হয়ে উঠল। তারপর একটু সংকোচের সাথেই বলল, সাহাব, এক বাত পুছে?
বললুম, বোলো।

ওরা আছে, আশেপাশে


তোমার ফেলে যাওয়া কয়েকটা গ্রীষ্মের রাত
তোমার হেঁটে যাওয়া কয়েকটা বর্ষার সন্ধ্যে
তোমার কুয়াশা ঢাকা কিছু উষ্ণ আলিঙ্গন

এখনও ছায়ার মত আমার সাথে ফেরে

যখন মাঝরাতে কয়েকটা কুকুরের সাথে হাঁটি
যখন মাঝরাতে ঘুম ভেঙে জলতেষ্টা পায়
যখন মাঝরাতে দূরে রেলগাড়ির আওয়াজ শুনি

তখনও

পণ


মন্ত্রমুগ্ধের মত চেয়ে বসে আছে দম্পতি। দত্তক নেবে। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। মা হতে না পারার মাশুল। অপমান।
অনাথ শিশু ধুলোতে। না খাওয়া, রুগ্ন শরীর। উচ্ছিষ্ট যাচকের বেঁচে থাকার সাধ! অসহ্য!
সমাজ। নিয়ম। আইন। উকিল। নির্দেশাবলী।
শিকড় পাথর চিরবে।
পণ। জেদ। স্বপ্ন। দুই ভিখারীর সাধ।

অনাসক্ত

ফুলের সুগন্ধ বাতাসে ভর করে এলো
    দুহাত বাড়ালো
বলল, আমায় নাও

ক'টা সাঁতারে

মাতালটা পুকুরের ধার ঘেঁষে বসে
চিৎকারের সাথে বেরোচ্ছে, বিষবমি,
                      অশ্লীল শব্দ বন্ধনে
    শুনছে কে?
শান্ত পুকুর সন্ধ্যার অন্ধকারে একলা সাক্ষী
কিছু জোনাকি, আধ-ঘুমন্ত কুকুর

আমি

আগুনে হাত দিলাম

লক্ষণরেখা

এ চৌকাঠ আমার লক্ষণরেখা
আমার শৈশব, আমার কৈশোরকে রাখবে আড়াল
আমি জানি বাইরে সব হাত আদর করে না আজ
সব চোখে স্নেহ নেই, আশীর্বাদ নেই সব মনে আজ

বাইরেটা আজ কেন ভাঙা খেলার মত বাজে?
আমার হাঁটা চলা কেন দুদিক খেয়াল রেখে?
মায়ের চোখে এত কেন ভয় একটু দেরি হলে?

জানি না।

Subscribe to