বদ্তমিজ দিল
সাদা শাড়ী পরা পৃথুলা মহিলা সন্ধ্যের অন্ধকারে ধীরে ধীরে হাঁটছেন। কৃষ্ণ মন্দিরের সামনে দাঁড়ালেন। মাথা নীচু করে হাতজোড় করে আঁচলটা বুকের কাছে এনে প্রণাম করলেন। চাবির গোছা ঝনঝন করে উঠল।
একটু দাঁড়াও
তুমি হাতের রেখা গুনো না
তুমি আশেপাশের কথা শুনো না
তুমি উনুনে আঁচ ধরিয়ে একটু আড়ালে যাও
তুমি ভ্যানটা গাছের ছাওয়ায় রেখে একটু দাঁড়াও
তোলপাড়
রাজ্যসভা লোকসভা তোলপাড়
তোলপাড় আলোচক বুদ্ধিজীবী মহল
সেই ভয়াবহ ডিসেম্বরের রাত
আতঙ্ক আক্রোশ ঘিরে আইনি টহল
মাথা ঘিলু চটকাচ্ছে বিবেক বিচার
কত বয়সের অপরাধে দাগী অপরাধী হয়?
আমি ভাবি -
বলো দেখি, কতটা উদাসীন হলে সমাজ
এ ঘৃণ্য প্রবৃত্তিরও কিশোর মস্তিস্কে জন্ম হয়?
আমি
এক আমি পিছন ফিরে
আরেক আমি সামনে তাকিয়ে
তোমার 'আমি' মাঝখানেতে
আসন বিছিয়ে
একখানে তার ছায়া, আরেকখানে কায়া
(লেখাটা আগেই দেওয়া। Samiranদার হাতের ছোঁয়ায় তা আরেক মাত্রায় উন্নীত হল। ধন্যবাদ দাদা।)
অরণ্য
নাবিক
বাসনাগুলোকে নাবিক করেছি। খালাসির কাজে ছিল ওরা। তাদের দিলাম নাবিকের ভার।
লুকোচুরি
খামখেয়ালী রোদ এল ছাদের উপর
এসে বললে, সময় আছে?
বললাম, কেন?
সে বলল,
দাঁড়াব একটু। বসতে বললে বসতেও পারি।
আমি খেলছিলাম ছায়ার সাথে একা, লুকোচুরি।
সে কার্ণিশের কোল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে,
আমায় ইশারায় বলল -
না, ওকে যেতে বলো এক্ষুণি
শীতের কম্বল
যে আলোতে নিজের, অন্যের ভিতরটা দেখা যায় তা হল অনুকম্পা। অন্যের দিকে ফিরলে অন্যকে দেখায়, নিজের মধ্যে ফিরলে নিজেকে চেনায়। না হলে, নিজের অহংকারের জুলুমে অন্যকেও মারি, নিজেও মরি। নিজের ভার লাঘব করলে অন্যের চলার পথে পাথর হই না, আর নিজের বুকের ওপর পাথর হয়ে বসি না।
হ্যাঁ, আমিই
১
---
কোর্টে আজ রায় বেরোবার দিন। থিকথিক করছে ভিড়। আসামী একজন মহিলা। বিবাহিতা। বয়েস ৩৩।
অপরাধ - অসুস্থ স্বামীকে রেললাইনে ধাক্কা মেরে চলন্ত ট্রেনের সামনে ফেলে দেওয়া। দিনেরবেলা, সবার সামনে।
যে ক'দিন আদালতে মামলা চলছিল মেয়েটা একটা শব্দও উচ্চারণ করেনি। যতবার জানতে চাওয়া হয়েছে এর পিছনে কারণ কি? সে নির্বাক থেকেছে।
জাগরণ
একটা কয়েন পড়ল মাটিতে। আমার কানে শব্দ আসল। মনে চমক দিল, আমি ফিরে তাকালাম।